ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




কবরীর গুলশানের গুলশানের বাড়ি ‘দখলের চেষ্টা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: অভিনয়শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী মৃত্যুর আগে তার গুলশানের বাড়িটি নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। এখন তার ছোট ছেলে শাকের ওসমান চিশতী বাড়িটি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কয়েকজন কবরীর সেই বাড়িতে প্রবেশ করে। বহিরাগত লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ৯৯৯- এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন কবরীপুত্র শাকের। পুলিশ এসে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে। পরে পুলিশের পরামর্শে পরদিন গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাকের।

জিডিতে শাকের অভিযোগ করেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার বাসার সিঁড়িতে কিছু মানুষের আনাগোনার আওয়াজ পাই। সিসি ক্যামেরায় দেখি, গ্রাউন্ড ফ্লোরের সব বাতি নেভানো। সিঁড়িতে পায়ের আওয়াজ পেয়ে ইন্টারকমে ফোন করি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ফোন না ধরায় আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০ মিনিট পর রাত ২টা ৫০ মিনিটে ক্যামেরায় দেখি তিন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন, পরে একটি মোটরসাইকেলে করে তারা চলে যান। আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দায়িত্বরত পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। আনুমানিক রাত সোয়া তিনটায় পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ড সব লাইট জ্বালিয়ে দেন। গার্ড জানান, বাসার কেয়ারটেকার সহিদুল ইসলামের কথায় তিনি লাইট নিভিয়েছিলেন।’

শনিবার তদন্তকারী গুলশান থানার আজিজুল হক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার কবরী ম্যাডামের ছেলের অভিযোগ পেয়ে আমরা তাদের গুলশান লেক রোডের বাড়িতে যাই। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাই। সহিদুল ও সিকিউরিটি গার্ড যে লাইট নিভিয়েছিলেন, তার প্রমাণও তাৎক্ষণিকভাবে পেয়েছি। আমরা আরও তদন্ত করছি।

শাকের চিশতী ওই গণমাধ্যমকে বলেন, তার মা বেঁচে থাকা অবস্থায় এই বাড়ি নিয়ে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। মাকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ওরা ভেবেছে, মা এখন আর নেই। এখন সহজে বাড়িটি দখল করতে পারবে! দেশে তো আইন-আদালত সব আছে।

উল্লেখ্য, বাড়ির জমিটি কবরীর। তিনি একটি ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে পাঁচতলা বাড়িটি নির্মাণ করান। নিচতলায় তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল তিনি গুলশান থানায় একটি জিডি করেছিলেন। ওই জিডিতে তিনি বাড়িটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। সে সময় কবরী একটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তার বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের মালিকেরা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছেন না। তারা বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কবরীর গুলশানের গুলশানের বাড়ি ‘দখলের চেষ্টা’

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: অভিনয়শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী মৃত্যুর আগে তার গুলশানের বাড়িটি নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। এখন তার ছোট ছেলে শাকের ওসমান চিশতী বাড়িটি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কয়েকজন কবরীর সেই বাড়িতে প্রবেশ করে। বহিরাগত লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ৯৯৯- এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন কবরীপুত্র শাকের। পুলিশ এসে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে। পরে পুলিশের পরামর্শে পরদিন গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাকের।

জিডিতে শাকের অভিযোগ করেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার বাসার সিঁড়িতে কিছু মানুষের আনাগোনার আওয়াজ পাই। সিসি ক্যামেরায় দেখি, গ্রাউন্ড ফ্লোরের সব বাতি নেভানো। সিঁড়িতে পায়ের আওয়াজ পেয়ে ইন্টারকমে ফোন করি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ফোন না ধরায় আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০ মিনিট পর রাত ২টা ৫০ মিনিটে ক্যামেরায় দেখি তিন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন, পরে একটি মোটরসাইকেলে করে তারা চলে যান। আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দায়িত্বরত পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। আনুমানিক রাত সোয়া তিনটায় পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ড সব লাইট জ্বালিয়ে দেন। গার্ড জানান, বাসার কেয়ারটেকার সহিদুল ইসলামের কথায় তিনি লাইট নিভিয়েছিলেন।’

শনিবার তদন্তকারী গুলশান থানার আজিজুল হক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার কবরী ম্যাডামের ছেলের অভিযোগ পেয়ে আমরা তাদের গুলশান লেক রোডের বাড়িতে যাই। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাই। সহিদুল ও সিকিউরিটি গার্ড যে লাইট নিভিয়েছিলেন, তার প্রমাণও তাৎক্ষণিকভাবে পেয়েছি। আমরা আরও তদন্ত করছি।

শাকের চিশতী ওই গণমাধ্যমকে বলেন, তার মা বেঁচে থাকা অবস্থায় এই বাড়ি নিয়ে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। মাকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ওরা ভেবেছে, মা এখন আর নেই। এখন সহজে বাড়িটি দখল করতে পারবে! দেশে তো আইন-আদালত সব আছে।

উল্লেখ্য, বাড়ির জমিটি কবরীর। তিনি একটি ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে পাঁচতলা বাড়িটি নির্মাণ করান। নিচতলায় তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল তিনি গুলশান থানায় একটি জিডি করেছিলেন। ওই জিডিতে তিনি বাড়িটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। সে সময় কবরী একটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তার বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের মালিকেরা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছেন না। তারা বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছিলেন।