ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




মায়ের মার খেয়ে চাচার ঘরে রাত্রীযাপন, অন্তঃসত্ত্বা হলো ভাতিজি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

বরিশালের মুলাদীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় চাচা ইদ্রিস হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ।

এর আগে, ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় নির্যাতিতা মুলাদির ডিক্রিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। দণ্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস হাওলাদার উপজেলার ডিক্রিচর গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে এবং সম্পর্কে নির্যাতিতার চাচা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাজমা বেগম শিউলী। তিনি জানান, নির্যাতিতা তার সৎ মায়ের সঙ্গে মুলাদীর ডিক্রিরচর গ্রামে থাকতো। তার বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সৎ মায়ের হাতে মার খেয়ে ইদ্রিসের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নির্যাতিতা। ওই রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইদ্রিস। এই ঘটনা কাউকে বললে তাকে ও তার বাবাকে (শিশুটির বাবা) হত্যার হুমকি দেয় ইদ্রিস।

এর কিছুদিন পর সৎ মা নির্যাতিতার শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভুক্তভোগী সব ঘটনা বলে দেয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইদ্রিসকে একমাত্র আসামি করেন।

একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন খান ইদ্রিসকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ছয়জনে জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মায়ের মার খেয়ে চাচার ঘরে রাত্রীযাপন, অন্তঃসত্ত্বা হলো ভাতিজি

আপডেট সময় : ১২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

বরিশালের মুলাদীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় চাচা ইদ্রিস হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ।

এর আগে, ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় নির্যাতিতা মুলাদির ডিক্রিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। দণ্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস হাওলাদার উপজেলার ডিক্রিচর গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে এবং সম্পর্কে নির্যাতিতার চাচা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাজমা বেগম শিউলী। তিনি জানান, নির্যাতিতা তার সৎ মায়ের সঙ্গে মুলাদীর ডিক্রিরচর গ্রামে থাকতো। তার বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সৎ মায়ের হাতে মার খেয়ে ইদ্রিসের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নির্যাতিতা। ওই রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইদ্রিস। এই ঘটনা কাউকে বললে তাকে ও তার বাবাকে (শিশুটির বাবা) হত্যার হুমকি দেয় ইদ্রিস।

এর কিছুদিন পর সৎ মা নির্যাতিতার শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভুক্তভোগী সব ঘটনা বলে দেয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইদ্রিসকে একমাত্র আসামি করেন।

একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন খান ইদ্রিসকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ছয়জনে জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।