ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদের পর ফের বেদখল কিছু জমি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় ফের বেদখল হয়ে গেছে কিছু জমি। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে নতুন করে স্থাপনা গড়ছে দখলদারদের সিন্ডিকেট। এদিকে, বন্দর ও কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

চট্টগ্রামের সদরঘাটে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে সাম্পান চালক সমবায় সমিতির কার্যালয় নির্মাণ করেছেন প্রজন্মলীগ নেতা আবু কায়সার। কর্ণফুলীর তীর থেকে উচ্ছেদের পর আবারও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে কার্যালয়টি। নদী তীরের জমি দখল ও লিজ না নিয়েও ৩টি ঘাট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আবু কায়সারের বিরুদ্ধে। তার মতো আরো অনেকে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাট নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি করছে।

চট্টগ্রাম প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবু কায়সার বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ঘাট ইজারা দিয়েছে আমাকে এটা করার অনুমতি দেয়নি, ১০০ ভাগ অবৈধ আমি স্বীকার করছি। কিন্তু এটা আমরা শুধু একটা সংগঠনের কাজ করছি মাঝি-মাল্লারা মিলে।

প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই আবারো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে পরিবেশবিদদের অভিযোগ। পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এর সঙ্গে রাজনৈতিক নির্ল্পিপ্ততা গভীরভাবে যুক্ত। প্রশাসনিক অপেশাদারিত্ব গভীরভাবে যুক্ত। এবং সুশীল সমাজের যে ভূমিকা সেটাও বিচ্ছিন্নভাবে খন্ড খন্ড।’

নদীতীরের জমি ইজারা দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে জমি ইজারা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক সভায় এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা আপনারা কোন কনটেক্সটে কর্ণফুলী নদীর জায়গাগুলো শিল্প-কারখানাসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিচ্ছেন। যেই হোক না কেন আপনার জায়গাগুলো উদ্ধার করেন।’

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ও জেলা প্রশাসন কর্ণফুলীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দখলদারদের কাছ থেকে ১০ একর জমি উদ্ধার করে। কিন্তু নানা জটিলতায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ আছে গত দেড় বছর ধরে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘মামলারযে সর্বশেষ রায়টি সেটা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর আদেশ হয়েছে। তাদের যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে তাদের দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদের পর ফের বেদখল কিছু জমি

আপডেট সময় : ০৯:১৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় ফের বেদখল হয়ে গেছে কিছু জমি। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে নতুন করে স্থাপনা গড়ছে দখলদারদের সিন্ডিকেট। এদিকে, বন্দর ও কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

চট্টগ্রামের সদরঘাটে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে সাম্পান চালক সমবায় সমিতির কার্যালয় নির্মাণ করেছেন প্রজন্মলীগ নেতা আবু কায়সার। কর্ণফুলীর তীর থেকে উচ্ছেদের পর আবারও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে কার্যালয়টি। নদী তীরের জমি দখল ও লিজ না নিয়েও ৩টি ঘাট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আবু কায়সারের বিরুদ্ধে। তার মতো আরো অনেকে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাট নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি করছে।

চট্টগ্রাম প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবু কায়সার বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ঘাট ইজারা দিয়েছে আমাকে এটা করার অনুমতি দেয়নি, ১০০ ভাগ অবৈধ আমি স্বীকার করছি। কিন্তু এটা আমরা শুধু একটা সংগঠনের কাজ করছি মাঝি-মাল্লারা মিলে।

প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই আবারো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে পরিবেশবিদদের অভিযোগ। পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এর সঙ্গে রাজনৈতিক নির্ল্পিপ্ততা গভীরভাবে যুক্ত। প্রশাসনিক অপেশাদারিত্ব গভীরভাবে যুক্ত। এবং সুশীল সমাজের যে ভূমিকা সেটাও বিচ্ছিন্নভাবে খন্ড খন্ড।’

নদীতীরের জমি ইজারা দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে জমি ইজারা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক সভায় এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা আপনারা কোন কনটেক্সটে কর্ণফুলী নদীর জায়গাগুলো শিল্প-কারখানাসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিচ্ছেন। যেই হোক না কেন আপনার জায়গাগুলো উদ্ধার করেন।’

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ও জেলা প্রশাসন কর্ণফুলীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দখলদারদের কাছ থেকে ১০ একর জমি উদ্ধার করে। কিন্তু নানা জটিলতায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ আছে গত দেড় বছর ধরে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘মামলারযে সর্বশেষ রায়টি সেটা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর আদেশ হয়েছে। তাদের যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে তাদের দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’