ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’