ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




কারাগারে স্বাস্থ্যের দুর্নীতিতে আলোচিত আবজাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার বরখাস্ত হওয়া হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে আবজাল হোসেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তার পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর রহমান এই আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ২৭ জুন আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২৮৪ কোটি টাকা পাচার, ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আট কোটি টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কারাগারে স্বাস্থ্যের দুর্নীতিতে আলোচিত আবজাল

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার বরখাস্ত হওয়া হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে আবজাল হোসেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তার পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর রহমান এই আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ২৭ জুন আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২৮৪ কোটি টাকা পাচার, ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আট কোটি টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।