ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




করোনায় মৃত ব্যক্তির কফিনে গাঁজা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল শেবাচিমে করোয়না উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ব্যক্তির কফিনে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। গভীর রাতে করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির জন্য আনা কফিনে পাওয়া গেছে ২১ পুরিয়া গাঁজা। রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সামনে ঘটেছে এই ঘটনা। নেশা দ্রব্য গাঁজা চালান পাচারের আগেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহযোগিতায় চলে গেছে পুলিশের হাতে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই খুঁজে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত দারোয়ান অতবা মৃত ব্যক্তির ছেলে জড়িত রয়েছে মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আব্দুল হালিম নামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলাতলা গ্রামের মৃত কদম আলী’র ছেলে। এরপর রোববার রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। করোনা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের দেহ হাসপাতাল থেকে নিতে হলে কফিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে কারণেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাফনের জন্য একটি কাঠের তৈরি কফিন আনা হয় বাহির থেকে।

মৃতদেহ বহন করা শেবাচিম এলাকার বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক লিটন জানান, ‘কফিনে মৃতদেহ প্রবেশ করার ঠিক আগ মুহূর্তে কফিনের ভেতরে কাগজে মোড়ানো কিছু বস্তু চোখে পড়ে। তখন মৃত ব্যক্তির ছেলে সোহাগ মিয়া ওগুলো ময়লা আবর্জনা বলে ছুড়ে ফেলে। কিন্তু সে-ই আবার ওই কাগজে মোড়ানো ওই বস্তু কফিনে ভরে মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তোলে।

চালক লিটন আরও জানান, ‘সোহাগের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এ কারণে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় কল সেন্টার ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি অবগত করেন। মুহূর্তের মধ্যে এসআই মিজান এর নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানার দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাগজে মোড়ানো প্যাকেট থেকে ২১ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পাশাপাশি রাতে সোহাগসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তথ্য নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘কফিন কোথা থেকে এবং কে এনেছে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। তাছাড়া কফিনের ভেতরে কে গাঁজা রেখেছে সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগরিই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনায় মৃত ব্যক্তির কফিনে গাঁজা

আপডেট সময় : ১১:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

বরিশাল শেবাচিমে করোয়না উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ব্যক্তির কফিনে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। গভীর রাতে করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির জন্য আনা কফিনে পাওয়া গেছে ২১ পুরিয়া গাঁজা। রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সামনে ঘটেছে এই ঘটনা। নেশা দ্রব্য গাঁজা চালান পাচারের আগেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহযোগিতায় চলে গেছে পুলিশের হাতে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই খুঁজে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত দারোয়ান অতবা মৃত ব্যক্তির ছেলে জড়িত রয়েছে মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আব্দুল হালিম নামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলাতলা গ্রামের মৃত কদম আলী’র ছেলে। এরপর রোববার রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। করোনা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের দেহ হাসপাতাল থেকে নিতে হলে কফিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে কারণেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাফনের জন্য একটি কাঠের তৈরি কফিন আনা হয় বাহির থেকে।

মৃতদেহ বহন করা শেবাচিম এলাকার বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক লিটন জানান, ‘কফিনে মৃতদেহ প্রবেশ করার ঠিক আগ মুহূর্তে কফিনের ভেতরে কাগজে মোড়ানো কিছু বস্তু চোখে পড়ে। তখন মৃত ব্যক্তির ছেলে সোহাগ মিয়া ওগুলো ময়লা আবর্জনা বলে ছুড়ে ফেলে। কিন্তু সে-ই আবার ওই কাগজে মোড়ানো ওই বস্তু কফিনে ভরে মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তোলে।

চালক লিটন আরও জানান, ‘সোহাগের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এ কারণে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় কল সেন্টার ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি অবগত করেন। মুহূর্তের মধ্যে এসআই মিজান এর নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানার দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাগজে মোড়ানো প্যাকেট থেকে ২১ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পাশাপাশি রাতে সোহাগসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তথ্য নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘কফিন কোথা থেকে এবং কে এনেছে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। তাছাড়া কফিনের ভেতরে কে গাঁজা রেখেছে সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগরিই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।