ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




পাঁচবিবিতে টানা বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০ ৭৩ বার পড়া হয়েছে

মোস্তাকিম হোসেন,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট): আম্ফানের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ায় জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন। তরমুজের গাছ ও কুড়িগুলোও শুকে পঁেচ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মরা গাছগুলো জমিতে দেখা যাচ্ছে। এতে কৃষদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। লাভের আশায় প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে কৃষকেরা চাষ করে ছিলেন আকারে ছোট খেতে সুস্বাধু বø্যাকবেবী চায়না জাতের তরমুজ। সর্তকতার সাথে পরির্চচা ও কীটনাশক প্রয়োগে অন্য ফসলের তুলনায় এ জাতের তরমুজ চাষে বেশী লাভ বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। কৃষকের এমন লাভের স্বপ্ন কেঁড়ে নিয়েছে আম্ফান ঝড়ে।

পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়াঘাট মহিলা কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী শাহিন জানান, আমিসহ এলাকার কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে চায়না জাতের বø্যাকবেবী তরমুজের চাষ করেছিলাম। বীজ রোপনে পলিথিনের বেড, ঝাঁংলার জন্য বাঁশ ও জিআই তার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি মিলে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রয় হতো এমন আশা নিয়েই চাষ করে ছিলেন তরমুজ। বীজ রোপনের ১ মাস পরেই সবুজ পাতায় ভরে যায় ঝাঁংলা।প্রতিটি গাছেও ধরেছিল অসংখ্য তরমুজ। তিনি আরো বলেন, প্রায় ৩০ হাজার তরমুজ নেটের জালে ভরে ঝাঁংলাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ আম্ফান ঝড়-বৃষ্টিতে তরমুজের সব গাছ মরে যায় ও তরমুজ গুলি শুকে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আম্ফানে একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় পানি জমে গোড়াগুলো পঁচে গাছগুলো মারা যায়। তবে দ্রুত বৃষ্টির পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে কৃষকের এমন ক্ষতি হতো না বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাঁচবিবিতে টানা বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

মোস্তাকিম হোসেন,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট): আম্ফানের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ায় জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন। তরমুজের গাছ ও কুড়িগুলোও শুকে পঁেচ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মরা গাছগুলো জমিতে দেখা যাচ্ছে। এতে কৃষদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। লাভের আশায় প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে কৃষকেরা চাষ করে ছিলেন আকারে ছোট খেতে সুস্বাধু বø্যাকবেবী চায়না জাতের তরমুজ। সর্তকতার সাথে পরির্চচা ও কীটনাশক প্রয়োগে অন্য ফসলের তুলনায় এ জাতের তরমুজ চাষে বেশী লাভ বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। কৃষকের এমন লাভের স্বপ্ন কেঁড়ে নিয়েছে আম্ফান ঝড়ে।

পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়াঘাট মহিলা কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী শাহিন জানান, আমিসহ এলাকার কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে চায়না জাতের বø্যাকবেবী তরমুজের চাষ করেছিলাম। বীজ রোপনে পলিথিনের বেড, ঝাঁংলার জন্য বাঁশ ও জিআই তার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি মিলে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রয় হতো এমন আশা নিয়েই চাষ করে ছিলেন তরমুজ। বীজ রোপনের ১ মাস পরেই সবুজ পাতায় ভরে যায় ঝাঁংলা।প্রতিটি গাছেও ধরেছিল অসংখ্য তরমুজ। তিনি আরো বলেন, প্রায় ৩০ হাজার তরমুজ নেটের জালে ভরে ঝাঁংলাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ আম্ফান ঝড়-বৃষ্টিতে তরমুজের সব গাছ মরে যায় ও তরমুজ গুলি শুকে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আম্ফানে একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় পানি জমে গোড়াগুলো পঁচে গাছগুলো মারা যায়। তবে দ্রুত বৃষ্টির পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে কৃষকের এমন ক্ষতি হতো না বলেও তিনি জানান।