ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদ্বোধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে, বিপুল শক্তি একসাথে শত প্রাণে’- এই শ্লোগানে সীমিত পরিসরে উদ্বোধন হলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এছাড়া ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, সাবেক নেতৃবৃন্দ, বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার এই মহাসংকটকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সত্যিকারভাবে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। বর্তমান সরকার ডিআরইউর এই মহতী কাজের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংকট মোকাবেলা করতে হয় সেটি ডিআরইউ দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা যারা সরকারের সমালোচনা করছি তারাও ডিআরইউ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি। সাংবাদিকদের জন্য অতীতেও কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো।

খুব শীঘ্রই করোনার এই সংকট কেটে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক মহামারি। অনেক উন্নত দেশেই মৃত্যুর হার আমাদের তুলনায় বেশ বেশী। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খারাপ হলে মৃত্যুর হার অনেক বেশী হতো। এই মহামারি মোকাবেলায় আমাদের ঐক্য দরকার।

সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, রাজু আহমেদ, মুরসালিন নোমানী, বর্তমান সহ সভাপতি নজরুল কবীর, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক মো: জাফর ইকবাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, সায়ীদ আবদুল মালিক। এছাড়া সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মোতাহের হোসেন ও মশিউর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি, মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে ডিআরউর প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যেসব সদস্য মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এবার ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে রজতজয়ন্তী পালনের পরিকল্পনা নিয়েছিল কার্যনির্বাহী কমিটি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে বর্তমান কমিটি। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে রজতজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সুবিধাজনক সময়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে, বিপুল শক্তি একসাথে শত প্রাণে’- এই শ্লোগানে সীমিত পরিসরে উদ্বোধন হলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এছাড়া ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, সাবেক নেতৃবৃন্দ, বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার এই মহাসংকটকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সত্যিকারভাবে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। বর্তমান সরকার ডিআরইউর এই মহতী কাজের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংকট মোকাবেলা করতে হয় সেটি ডিআরইউ দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা যারা সরকারের সমালোচনা করছি তারাও ডিআরইউ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি। সাংবাদিকদের জন্য অতীতেও কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো।

খুব শীঘ্রই করোনার এই সংকট কেটে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক মহামারি। অনেক উন্নত দেশেই মৃত্যুর হার আমাদের তুলনায় বেশ বেশী। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খারাপ হলে মৃত্যুর হার অনেক বেশী হতো। এই মহামারি মোকাবেলায় আমাদের ঐক্য দরকার।

সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, রাজু আহমেদ, মুরসালিন নোমানী, বর্তমান সহ সভাপতি নজরুল কবীর, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক মো: জাফর ইকবাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, সায়ীদ আবদুল মালিক। এছাড়া সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মোতাহের হোসেন ও মশিউর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি, মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে ডিআরউর প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যেসব সদস্য মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এবার ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে রজতজয়ন্তী পালনের পরিকল্পনা নিয়েছিল কার্যনির্বাহী কমিটি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে বর্তমান কমিটি। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে রজতজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সুবিধাজনক সময়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনের।