ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা হাতিয়ে বহাল তবিয়তে মাদারীপুরের দুই সহকারী সমাজসেবা অফিসারl Logo যমুনা লাইফের গ্রাহক প্রতারণায় ‘জড়িতরা’ কে কোথায় Logo ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আহসান কামরুল, সম্পাদক জিয়াউর রহমান Logo টাটা মটরস বাংলাদেশে উদ্বোধন করলো টাটা যোদ্ধা Logo আশা শিক্ষা কর্মসূচী কর্তৃক অভিভাবক মতবিনিময় সভা Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন!




টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০ ৬১ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’