ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজি, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় একজনের পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম নড়িয়ার ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় পুলিশের সোর্স মো. শাহাদাত হোসেন পথচারী সুলতান শেখের কাছে থেকে পুলিশের নাম করে চাদাঁবাজি করে। পরে ভোজেশ্বর ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম গিয়ে ওই সোর্সের পক্ষ নেয়। এ কারণে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি কনস্টেবল তরিকুলের বিরুদ্ধে বিভাগীর ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং সোর্সকে আটক করা হয়েছে।’

তবে তরিকুলকে প্রত্যাহারের কারণ জানাতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এমএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘তরিকুল ফাড়ির ইনচার্জকে না জানিয়ে যাওয়ার কারণে ক্লোজ করা হয়েছে।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী ফোন করে কনস্টেবল তরিকুল ইসলামকে বলে “একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছি। আপনি আসেন।” সেখানে তরিকুল গিয়ে দেখে শাহাদাতই ব্যবসায়ী। এ কারণে শাহাদাতকে আটক করে।’

তবে ঘটনার শিকার সুলতান শেখ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সুলতান শেখ নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে বাজার শেষে তার মেয়েকে নিয়ে রিকশা করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে পুলিশের সোর্স শাহাদাত হোসেন তার রিকশার গতিরোধ করে ১০০ টাকা চান। শাহাদাত সুলতানের পকেটে হাত দিয়ে বলেন, ‘আপনার পকেটে ইয়াবা আছে।’ সে সময় ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এর একপর্যায়ে সেখান থেকে কনেস্টেবল তরিকুল সুলতান শেখকে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফতেজংপুর বাজারের পরিত্যক্ত এক ভাঙ্গারির দোকানে নিয়ে যান। আর সুলতানের সঙ্গে থাকা মেয়েকে একটি গাড়িতে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

এরপর সুলতানের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন পুলিশ কনস্টেবল তরিকুল। সুলতান শেখ উপায়ান্ত না পেয়ে তার বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। পরে সুলতানের স্ত্রী খুকু মনি তার কানের দুল বন্ধক রেখে ৭ হাজার টাকা নিয়ে এসে ঘটনাস্থলে কান্নাকাটি স্বামীকে ছাড়িয়ে নেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে তারিকুল ইসলামকে আটক করে নড়িয়া থানা ও ভোজেশ্বর ফাঁড়িতে খবর দেয়।

এ বিষয়ে সুলতান শেখের স্ত্রী খুকুমনি বলেন, ‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার স্বামীকে আটক করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমি অনেক চেষ্টা করে ৭ সাত হাজার টাকা দিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনি। পরে ফতেজংপুর বাজারের লোকজন জানতে পেরে পুলিশ সদস্যকে আটক করে নড়িয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজি, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় একজনের পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম নড়িয়ার ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় পুলিশের সোর্স মো. শাহাদাত হোসেন পথচারী সুলতান শেখের কাছে থেকে পুলিশের নাম করে চাদাঁবাজি করে। পরে ভোজেশ্বর ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম গিয়ে ওই সোর্সের পক্ষ নেয়। এ কারণে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি কনস্টেবল তরিকুলের বিরুদ্ধে বিভাগীর ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং সোর্সকে আটক করা হয়েছে।’

তবে তরিকুলকে প্রত্যাহারের কারণ জানাতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এমএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘তরিকুল ফাড়ির ইনচার্জকে না জানিয়ে যাওয়ার কারণে ক্লোজ করা হয়েছে।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী ফোন করে কনস্টেবল তরিকুল ইসলামকে বলে “একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছি। আপনি আসেন।” সেখানে তরিকুল গিয়ে দেখে শাহাদাতই ব্যবসায়ী। এ কারণে শাহাদাতকে আটক করে।’

তবে ঘটনার শিকার সুলতান শেখ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সুলতান শেখ নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে বাজার শেষে তার মেয়েকে নিয়ে রিকশা করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে পুলিশের সোর্স শাহাদাত হোসেন তার রিকশার গতিরোধ করে ১০০ টাকা চান। শাহাদাত সুলতানের পকেটে হাত দিয়ে বলেন, ‘আপনার পকেটে ইয়াবা আছে।’ সে সময় ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এর একপর্যায়ে সেখান থেকে কনেস্টেবল তরিকুল সুলতান শেখকে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফতেজংপুর বাজারের পরিত্যক্ত এক ভাঙ্গারির দোকানে নিয়ে যান। আর সুলতানের সঙ্গে থাকা মেয়েকে একটি গাড়িতে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

এরপর সুলতানের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন পুলিশ কনস্টেবল তরিকুল। সুলতান শেখ উপায়ান্ত না পেয়ে তার বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। পরে সুলতানের স্ত্রী খুকু মনি তার কানের দুল বন্ধক রেখে ৭ হাজার টাকা নিয়ে এসে ঘটনাস্থলে কান্নাকাটি স্বামীকে ছাড়িয়ে নেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে তারিকুল ইসলামকে আটক করে নড়িয়া থানা ও ভোজেশ্বর ফাঁড়িতে খবর দেয়।

এ বিষয়ে সুলতান শেখের স্ত্রী খুকুমনি বলেন, ‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার স্বামীকে আটক করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমি অনেক চেষ্টা করে ৭ সাত হাজার টাকা দিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনি। পরে ফতেজংপুর বাজারের লোকজন জানতে পেরে পুলিশ সদস্যকে আটক করে নড়িয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।’