ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের অবহেলায় সরকারী সম্পত্তির বেহাল দশা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামেউপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য তিন দশক আগে নির্মিত শতাধিক পরিত্যক্ত কোয়ার্টার তদারকির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছেএসব ভবনের দরজা-জানালাসহ নানা উপকরণ। উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টার ব্যবহার না করায় দিনে দিনে বিলুপ্তহয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব একতলাভবন। ১৯৮৮-১৯৯৬ সালে কুড়িগ্রামে বন্টক সুপারভাইজার নামে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য প্রায় ১৭কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৫টি বিএস কোয়ার্টার নির্মিত হয়। একটি কোয়ার্টারে দুজন কর্মকর্তার থাকার কথা; কিন্তুনির্মাণের পর থেকে বন্টক সুপারভাইজার, বর্তমানে উপ-সহকারীকৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে না থাকায় ভবনগুলোজরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জঙ্গলে পরিণত কোয়ার্টারের দরজা-জানালা,ইটসহ নানা উপকরণ চুরি হয়ে যাচ্ছে। মলমূত্রের ভাগাড়ে পরিণতহয়েছে এসব কোয়ার্টার। কোনো কোনো এলাকায় আগের মালিকরা পরিত্যক্ত ভবন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের নয়ারহাট বাজার ও ভেরভেরিতে অবস্থিত দুটি বিএস কোয়ার্টারঘুরে দেখা গেছে, একতলা দুটি ভবনের জরাজীর্ণ ছাদ ও কিছু দেয়াল রয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে দরজা-জানালার চৌকাঠ ও ইট। কোয়ার্টারের ভেতরে ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ। রুমের মেঝেতে মলমূত্রছড়িয়ে আছে। কোনো কোনো রুমে খড় রাখা হয়েছে। একইঅবস্থা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়াটার ।

এলাকাবাসীরা জানায়, মাঝে মধ্যে মাদকসেবীদের আনাগোনাদেখা যায় এসব কোয়ার্টারে। নয়ারহাট বাজারের পাশের এলাকারবাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভবন নির্মাণের পর থেকেকোনো কৃষি কর্মকর্তা ছিল না, এখনো নাই। নজরদারির অভাবেভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে।’স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছে, কৃষি বিভাগের উদাসীনতা, অবহেলা আর গাফিলতির কারণে এসব ভবন দিনে দিনে ধ্বংস হয়েযাচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলেমনে করে তারা।

ভেরভেরি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারের পাশেরবাসিন্দা আলম হোসেন বলেন, ‘গত ১০ বছরে এই কোয়ার্টারে কেউ আসেনি। কৃষি বিভাগের অবহেলায় ভবনটি চোখের সামনেনষ্ট হয়ে গেল।’

ভেরভেরি বন্টকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাআব্দুল গাফফার বলেন, ‘কোয়ার্টার গুলোর দুরবস্থার কথা অফিসকে জানালেও সে রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিনে দিনেজরাজীর্ণ হয়ে ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

’সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম বন্টকের উপ-সহকারীকৃষি কর্মকর্তা (সাবেক বিএস) তরিকুল ইসলাম বলেন,‘কোয়ার্টার গুলো বসবাসের অনুপযোগী বলে পরিবার নিয়ে বাসকরি না। তবে সরকার মাসিক ৫০ টাকা হারে ভাড়া কর্তন করেএখনো।

’কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানপ্রধান বলেন, ‘লোকজন না থাকলে তো ভবন নষ্ট হবেই। কোনোকোনো জায়গায় দেয়াল ভেঙে গেছে। আমরা চাহিদা দেওয়ার পরেওবরাদ্দ না পাওয়ায় ভবনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের অবহেলায় সরকারী সম্পত্তির বেহাল দশা

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামেউপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য তিন দশক আগে নির্মিত শতাধিক পরিত্যক্ত কোয়ার্টার তদারকির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছেএসব ভবনের দরজা-জানালাসহ নানা উপকরণ। উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টার ব্যবহার না করায় দিনে দিনে বিলুপ্তহয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব একতলাভবন। ১৯৮৮-১৯৯৬ সালে কুড়িগ্রামে বন্টক সুপারভাইজার নামে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য প্রায় ১৭কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৫টি বিএস কোয়ার্টার নির্মিত হয়। একটি কোয়ার্টারে দুজন কর্মকর্তার থাকার কথা; কিন্তুনির্মাণের পর থেকে বন্টক সুপারভাইজার, বর্তমানে উপ-সহকারীকৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে না থাকায় ভবনগুলোজরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জঙ্গলে পরিণত কোয়ার্টারের দরজা-জানালা,ইটসহ নানা উপকরণ চুরি হয়ে যাচ্ছে। মলমূত্রের ভাগাড়ে পরিণতহয়েছে এসব কোয়ার্টার। কোনো কোনো এলাকায় আগের মালিকরা পরিত্যক্ত ভবন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের নয়ারহাট বাজার ও ভেরভেরিতে অবস্থিত দুটি বিএস কোয়ার্টারঘুরে দেখা গেছে, একতলা দুটি ভবনের জরাজীর্ণ ছাদ ও কিছু দেয়াল রয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে দরজা-জানালার চৌকাঠ ও ইট। কোয়ার্টারের ভেতরে ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ। রুমের মেঝেতে মলমূত্রছড়িয়ে আছে। কোনো কোনো রুমে খড় রাখা হয়েছে। একইঅবস্থা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়াটার ।

এলাকাবাসীরা জানায়, মাঝে মধ্যে মাদকসেবীদের আনাগোনাদেখা যায় এসব কোয়ার্টারে। নয়ারহাট বাজারের পাশের এলাকারবাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভবন নির্মাণের পর থেকেকোনো কৃষি কর্মকর্তা ছিল না, এখনো নাই। নজরদারির অভাবেভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে।’স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছে, কৃষি বিভাগের উদাসীনতা, অবহেলা আর গাফিলতির কারণে এসব ভবন দিনে দিনে ধ্বংস হয়েযাচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলেমনে করে তারা।

ভেরভেরি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারের পাশেরবাসিন্দা আলম হোসেন বলেন, ‘গত ১০ বছরে এই কোয়ার্টারে কেউ আসেনি। কৃষি বিভাগের অবহেলায় ভবনটি চোখের সামনেনষ্ট হয়ে গেল।’

ভেরভেরি বন্টকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাআব্দুল গাফফার বলেন, ‘কোয়ার্টার গুলোর দুরবস্থার কথা অফিসকে জানালেও সে রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিনে দিনেজরাজীর্ণ হয়ে ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

’সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম বন্টকের উপ-সহকারীকৃষি কর্মকর্তা (সাবেক বিএস) তরিকুল ইসলাম বলেন,‘কোয়ার্টার গুলো বসবাসের অনুপযোগী বলে পরিবার নিয়ে বাসকরি না। তবে সরকার মাসিক ৫০ টাকা হারে ভাড়া কর্তন করেএখনো।

’কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানপ্রধান বলেন, ‘লোকজন না থাকলে তো ভবন নষ্ট হবেই। কোনোকোনো জায়গায় দেয়াল ভেঙে গেছে। আমরা চাহিদা দেওয়ার পরেওবরাদ্দ না পাওয়ায় ভবনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।