ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ভোগান্তির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ৯২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নানা ঝামেলার পর নমুনা দিতে পারলেও ফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৩ থেকে ৭ দিন। তার চেয়েও ভয়াবহ হলো, ফলাফল নেগেটিভ আসলে তা নাকি জানানোই হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত রিপোর্ট না দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

করোনা উপসর্গ থাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নমুনা জমা দিয়েছিলেন আরও তিন থেকে পাঁচ দিন আগে। কিন্তু ফলাফলের দেখা নেই। তাই প্রতিদিনই তাদের এ অপেক্ষা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ফলাফল না পাওয়ায় তারা অন্য রোগেরও চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

অভিযোগ আছে, আইইডিসিআর থেকে বলা হচ্ছে ফল নেগেটিভ আসলে তা নাও জানানো হতে পারে। আবার যারা দেরি করে জানছেন, করোনা পজেটিভ, তাদের মাধ্যমে করোনা আরো ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

দীর্ঘসূত্রিতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর দায়ী করছে জনবল সংকটকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল না দিতে পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদউয়ানউর রহমান বলেন, টেস্টের ফলাফল যদি ৩-৪ দিন সময় লেগে যায় তাহলে সেটি চিকিৎসা ও আইসোলেশনেরও কাজে লাগছে না। শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের কতজনের টেস্ট করা হয়েছে সেটি রেকর্ড হচ্ছে। আর ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল না দিতে পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে টেস্টের নমুনা আনতে হচ্ছে। যার জন্য ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগছে।

বর্তমানে রাজধানীতে ৯টি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা টেস্টের ফলাফল পাওয়ার এ দীর্ঘসূত্রিতা একদিকে যেমন রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে এর চেয়েও ভয়াবহতা হলো এর মাধ্যমে অতি দ্রুত দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি দ্রুত এর সংকট না কাটাতে করোনা মোকাবিলা দিন দিন আরও বেশি কঠিন হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ভোগান্তির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নানা ঝামেলার পর নমুনা দিতে পারলেও ফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৩ থেকে ৭ দিন। তার চেয়েও ভয়াবহ হলো, ফলাফল নেগেটিভ আসলে তা নাকি জানানোই হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত রিপোর্ট না দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

করোনা উপসর্গ থাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নমুনা জমা দিয়েছিলেন আরও তিন থেকে পাঁচ দিন আগে। কিন্তু ফলাফলের দেখা নেই। তাই প্রতিদিনই তাদের এ অপেক্ষা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ফলাফল না পাওয়ায় তারা অন্য রোগেরও চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

অভিযোগ আছে, আইইডিসিআর থেকে বলা হচ্ছে ফল নেগেটিভ আসলে তা নাও জানানো হতে পারে। আবার যারা দেরি করে জানছেন, করোনা পজেটিভ, তাদের মাধ্যমে করোনা আরো ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

দীর্ঘসূত্রিতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর দায়ী করছে জনবল সংকটকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল না দিতে পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদউয়ানউর রহমান বলেন, টেস্টের ফলাফল যদি ৩-৪ দিন সময় লেগে যায় তাহলে সেটি চিকিৎসা ও আইসোলেশনেরও কাজে লাগছে না। শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের কতজনের টেস্ট করা হয়েছে সেটি রেকর্ড হচ্ছে। আর ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল না দিতে পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে টেস্টের নমুনা আনতে হচ্ছে। যার জন্য ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগছে।

বর্তমানে রাজধানীতে ৯টি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা টেস্টের ফলাফল পাওয়ার এ দীর্ঘসূত্রিতা একদিকে যেমন রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে এর চেয়েও ভয়াবহতা হলো এর মাধ্যমে অতি দ্রুত দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি দ্রুত এর সংকট না কাটাতে করোনা মোকাবিলা দিন দিন আরও বেশি কঠিন হয়ে যেতে পারে।