ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী




১৪০০ বছর আগেই মহামারির সময় কোয়ারেন্টিনের কথা বলেছেন মুহাম্মদ (সা.)- মার্কিন গবেষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

মহামারির সময় নামাজ ও কোয়ারেন্টিনের কথা বলেছেন মুহাম্মদ (সা.): মার্কিন গবেষক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক’

মার্কিন একজন গবেষক বলেছেন, মহামারির সময় নামাজ ও কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মার্কিন ম্যাগাজিন নিউজউইকে এক মতামতধর্মী লেখায় স্কলার ও অধ্যাপক ক্রেইগ কনসিডাইন।
কেবল নামাজের মাধ্যমে করোনাভাইরাসকে হারানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মার্কিন এই গবেষক লিখেন, মহামারি প্রতিরোধ ও লড়াইয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
ইমিউনোলজিস্ট ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে হাদিসের বরাত দিয়ে কনসিডাইন বলেছেন, ১৪০০ বছর আগেই এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন মুহাম্মদ (সা.)।
মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যদি তুমি শুনতে পাও যে কোনও জায়গায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছে, তাহলে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকো; কিন্তু তুমি যেখানে আছো সেখানে প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে ওই স্থান ত্যাগ করো না।
মহানবী (সা.) আরও বলেন, তাদের সংক্রামক রোগ রয়েছে তাদের সুস্থদের থেকে দূরে থাকা উচিত। কনসিডাইন তার লেখায়, নবীজীর আরেকটি হাদিস, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নত ঈমানের অঙ্গ’ সেটিরও উল্লেখ করেন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাত ধোয়ার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন মুহাম্মদ (সা.)। তিনি বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর তোমাদের হাত ধোও; কেননা ঘুমের সময় তোমার হাত কোথায় ছিল তা তুমি জানো না।
নবীজীর আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।
কিন্তু কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কী করবে হবে? এ বিষয়ে মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলাই রোগ ও ওষুধ সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক রোগের চিকিৎসাও তিনি সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো।
বিশ্বাস ও যুক্তির মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রাখতে হবে- সে বিষয়ে কনসিডাইন বলেন, সম্প্রতি অনেকেই বলছেন যে সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টিনের বেসিক নিয়ম মানার চেয়ে নামাজ পড়াটা উত্তম হবে।
রোগের চিকিৎসায় নামাজ একমাত্র ওষুধের বিষয়ে মুহাম্মদ (সা.) কী বলতেন? এমন বিষয়ে নবীজীর আরেকটি হাদিস তুলে ধরেন মার্কিন এই গবেষক। আল-তিরমিজীতে বর্ণিত ওই হাদিসে বলা হয়, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি উট বেঁধে রেখে আল্লাহর ওপর ভরসা করব, না বন্ধনমুক্ত রেখে? তিনি বললেন, উট বেঁধে নাও, অতঃপর আল্লাহর ওপর ভরসা করো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১৪০০ বছর আগেই মহামারির সময় কোয়ারেন্টিনের কথা বলেছেন মুহাম্মদ (সা.)- মার্কিন গবেষক

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক’

মার্কিন একজন গবেষক বলেছেন, মহামারির সময় নামাজ ও কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মার্কিন ম্যাগাজিন নিউজউইকে এক মতামতধর্মী লেখায় স্কলার ও অধ্যাপক ক্রেইগ কনসিডাইন।
কেবল নামাজের মাধ্যমে করোনাভাইরাসকে হারানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মার্কিন এই গবেষক লিখেন, মহামারি প্রতিরোধ ও লড়াইয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
ইমিউনোলজিস্ট ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে হাদিসের বরাত দিয়ে কনসিডাইন বলেছেন, ১৪০০ বছর আগেই এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন মুহাম্মদ (সা.)।
মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যদি তুমি শুনতে পাও যে কোনও জায়গায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছে, তাহলে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকো; কিন্তু তুমি যেখানে আছো সেখানে প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে ওই স্থান ত্যাগ করো না।
মহানবী (সা.) আরও বলেন, তাদের সংক্রামক রোগ রয়েছে তাদের সুস্থদের থেকে দূরে থাকা উচিত। কনসিডাইন তার লেখায়, নবীজীর আরেকটি হাদিস, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নত ঈমানের অঙ্গ’ সেটিরও উল্লেখ করেন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাত ধোয়ার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন মুহাম্মদ (সা.)। তিনি বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর তোমাদের হাত ধোও; কেননা ঘুমের সময় তোমার হাত কোথায় ছিল তা তুমি জানো না।
নবীজীর আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।
কিন্তু কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কী করবে হবে? এ বিষয়ে মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলাই রোগ ও ওষুধ সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক রোগের চিকিৎসাও তিনি সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো।
বিশ্বাস ও যুক্তির মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রাখতে হবে- সে বিষয়ে কনসিডাইন বলেন, সম্প্রতি অনেকেই বলছেন যে সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টিনের বেসিক নিয়ম মানার চেয়ে নামাজ পড়াটা উত্তম হবে।
রোগের চিকিৎসায় নামাজ একমাত্র ওষুধের বিষয়ে মুহাম্মদ (সা.) কী বলতেন? এমন বিষয়ে নবীজীর আরেকটি হাদিস তুলে ধরেন মার্কিন এই গবেষক। আল-তিরমিজীতে বর্ণিত ওই হাদিসে বলা হয়, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি উট বেঁধে রেখে আল্লাহর ওপর ভরসা করব, না বন্ধনমুক্ত রেখে? তিনি বললেন, উট বেঁধে নাও, অতঃপর আল্লাহর ওপর ভরসা করো।