ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু, ১০ দিন পর লাশ উত্তোলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষিকা নওশিদ আহমেদ দিয়ার (২৯) মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দাফনের ১০ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য ওই শিক্ষিকার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শেরপুরের কবরস্থান থেকে দিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শিরিন আক্তার ও আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। তিনি জানান, আদালতে নির্দেশ মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালের মর্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি ময়নাতদন্ত করবেন।

শুক্রবার বিকেলেই দিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ডা. আজহারুর রহমান তুহিন, ডা. ইকরামুল রেজা ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.শওকত হোসেন জানান, সদর হাসপাতালের বিশেষ টিম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন। ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়া ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহমেদ দিয়া গর্ভবতী অবস্থায় গত ৩০ অক্টোবর খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। আগাম অপারেশনের মাধ্যমে তার ডেলিভারি করা হয়। সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়। ৪ নভেম্বর পুনরায় দিয়ার শরীর খারাপ হলে তাকে আবার ওই হাসপাতালে নেয়া হয়।

দিয়ার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল মৃত্যু হতে পারে জেনেও দিয়ার শরীরে ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মুখে অক্সিজেন দিয়ে দুপুরে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন তারা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই দিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার ক্লিনিকের দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল এবং মো. শাহাদাৎ হোসেন রাসেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু, ১০ দিন পর লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষিকা নওশিদ আহমেদ দিয়ার (২৯) মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দাফনের ১০ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য ওই শিক্ষিকার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শেরপুরের কবরস্থান থেকে দিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শিরিন আক্তার ও আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। তিনি জানান, আদালতে নির্দেশ মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালের মর্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি ময়নাতদন্ত করবেন।

শুক্রবার বিকেলেই দিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ডা. আজহারুর রহমান তুহিন, ডা. ইকরামুল রেজা ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.শওকত হোসেন জানান, সদর হাসপাতালের বিশেষ টিম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন। ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়া ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহমেদ দিয়া গর্ভবতী অবস্থায় গত ৩০ অক্টোবর খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। আগাম অপারেশনের মাধ্যমে তার ডেলিভারি করা হয়। সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়। ৪ নভেম্বর পুনরায় দিয়ার শরীর খারাপ হলে তাকে আবার ওই হাসপাতালে নেয়া হয়।

দিয়ার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল মৃত্যু হতে পারে জেনেও দিয়ার শরীরে ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মুখে অক্সিজেন দিয়ে দুপুরে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন তারা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই দিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার ক্লিনিকের দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল এবং মো. শাহাদাৎ হোসেন রাসেল।