ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’!




চট্টগ্রাম বন্দরে বুলবুলের প্রভাব: ধকল কাটাতে লাগবে এক সপ্তাহেরও বেশি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্কে তিন দিন বন্ধ থাকার পর ফের চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ওই তিন দিনের ধকল কাটিয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে তিন দিন বাইরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো বন্দর জলসীমায় প্রবেশ করলে জাহাজজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে বন্দর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।

দেশের আমদানি-রফতানির প্রায় ৯০ শতাংশই হয় এই বন্দর দিয়ে। ওইদিন রাতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয় জেটিতে পণ্য ওঠানামসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম। বিপদ সংকেত তুলে নেয়ার পর রোববার দুপুর থেকে কাজকর্ম শুরু হয়।

তবে বন্দরে জাহাজ চলাচল জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় রোববার খুব বেশি কাজ হয়নি। মূলত সোমবার সকাল থেকে বন্দর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে।

বিপদ সংকেত ঘোষণার পর পণ্য হ্যান্ডলিং বন্ধ করে দিয়ে জেটি ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত ১২২টি জাহাজকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল কুতুবদিয়া-কক্সবাজার গভীর সমুদ্রের দিকে। ক্রেনসহ পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে এগুলো ঢেউ বা বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো বিপদ হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বন্দরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তৎপর রয়েছেন।

এরই মধ্যে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার গভীর সমুদ্রের দিকে পাঠিয়ে দেয়া জাহাজগুলোকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জেটির ১৮টি জাহাজের মধ্যে রোববার কয়েকটি এবং বাকিগুলো সোমবার জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে।

বেঁধে রাখা হ্যান্ডলিং সরঞ্জামাদির বাঁধন খুলে সচল করা হয়েছে। জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত ১০৪টি জাহাজের অনেকগুলো থেকেই পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।’

তিন দিন বন্দরে পণ্য খালাস ও ডেলিভারি কার্যত বন্ধ ছিল। এর প্রভাবে জাহাজজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘তিন দিন জাহাজ থেকে কোনো কনটেইনার নামেনি। তাই কনটেইনারজট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই।

এ অবস্থায় পণ্য ওঠানামা এবং ডেলিভারি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে হয়তো এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বেশকিছু জাহাজ বন্দরসীমার বাইরে ছিল। সেগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।

এখন এসব জাহাজ প্রবেশ করলে জাহাজের একটা জট তৈরি হতে পারে। তবে তা বোঝা যাবে আরও দু-একদিন পর। যদি একবার জাহাজজট তৈরি হয়, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে এক সপ্তাহের আরও বেশি সময় লাগতে পারে।’

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) যুগ্মসচিব আতাউল করিম রঞ্জু বলেন, গত তিন দিনে বহির্নোঙরে অবস্থানরত ২৫টি মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস হওয়ার কথা ছিল। দেড়শ’ লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করার কথা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতের কারণে এ তিন দিন লাইটার জাহাজ যেতে পারেনি। সোমবার সকাল থেকে লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে গিয়ে পণ্য খালাস শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চট্টগ্রাম বন্দরে বুলবুলের প্রভাব: ধকল কাটাতে লাগবে এক সপ্তাহেরও বেশি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্কে তিন দিন বন্ধ থাকার পর ফের চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ওই তিন দিনের ধকল কাটিয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে তিন দিন বাইরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো বন্দর জলসীমায় প্রবেশ করলে জাহাজজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে বন্দর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।

দেশের আমদানি-রফতানির প্রায় ৯০ শতাংশই হয় এই বন্দর দিয়ে। ওইদিন রাতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয় জেটিতে পণ্য ওঠানামসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম। বিপদ সংকেত তুলে নেয়ার পর রোববার দুপুর থেকে কাজকর্ম শুরু হয়।

তবে বন্দরে জাহাজ চলাচল জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় রোববার খুব বেশি কাজ হয়নি। মূলত সোমবার সকাল থেকে বন্দর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে।

বিপদ সংকেত ঘোষণার পর পণ্য হ্যান্ডলিং বন্ধ করে দিয়ে জেটি ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত ১২২টি জাহাজকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল কুতুবদিয়া-কক্সবাজার গভীর সমুদ্রের দিকে। ক্রেনসহ পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে এগুলো ঢেউ বা বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো বিপদ হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বন্দরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তৎপর রয়েছেন।

এরই মধ্যে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার গভীর সমুদ্রের দিকে পাঠিয়ে দেয়া জাহাজগুলোকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জেটির ১৮টি জাহাজের মধ্যে রোববার কয়েকটি এবং বাকিগুলো সোমবার জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে।

বেঁধে রাখা হ্যান্ডলিং সরঞ্জামাদির বাঁধন খুলে সচল করা হয়েছে। জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত ১০৪টি জাহাজের অনেকগুলো থেকেই পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।’

তিন দিন বন্দরে পণ্য খালাস ও ডেলিভারি কার্যত বন্ধ ছিল। এর প্রভাবে জাহাজজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘তিন দিন জাহাজ থেকে কোনো কনটেইনার নামেনি। তাই কনটেইনারজট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই।

এ অবস্থায় পণ্য ওঠানামা এবং ডেলিভারি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে হয়তো এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বেশকিছু জাহাজ বন্দরসীমার বাইরে ছিল। সেগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।

এখন এসব জাহাজ প্রবেশ করলে জাহাজের একটা জট তৈরি হতে পারে। তবে তা বোঝা যাবে আরও দু-একদিন পর। যদি একবার জাহাজজট তৈরি হয়, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে এক সপ্তাহের আরও বেশি সময় লাগতে পারে।’

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) যুগ্মসচিব আতাউল করিম রঞ্জু বলেন, গত তিন দিনে বহির্নোঙরে অবস্থানরত ২৫টি মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস হওয়ার কথা ছিল। দেড়শ’ লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করার কথা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতের কারণে এ তিন দিন লাইটার জাহাজ যেতে পারেনি। সোমবার সকাল থেকে লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে গিয়ে পণ্য খালাস শুরু করেছে।