ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




শিক্ষকের লাথিতে হাসপাতালে ছাত্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) শিক্ষকের লাথিতে ছাত্র মো. রায়হান খন্দকার (১৬) কোমরে আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শামছুল আলম। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার খিলবাইছা এলাকায় টিটিসির ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় প্রিয় গোবিন্দ নামে আরও এক ছাত্রকে লাথি মারেন ওই শিক্ষক।

রায়হান ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের দশম শ্রেণির ছাত্র ও সদর উপজেলার বিজয়নগর এলাকার সিরাজ উল্যা খন্দকারের ছেলে। অভিযুক্ত শামছুল আলম ওয়েল্ডিং ট্রেডের সিভিল ইন্সট্রাক্টর।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। ঘটনার সময় ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্র নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। ফ্যানের রেগুলেটর বাড়ানোর জন্য রায়হান বৈদ্যুতিক বোর্ডে হাত দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষক শামছুল ছাত্র রায়হানের কোমরে লাথি মারেন। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে।

ওই শিক্ষকের পায়ে বুটের জুতা ছিল। রায়হানকে উদ্ধার করতে গেলে সহপাঠী প্রিয় গোবিন্দকেও লাথি মারেন শিক্ষক। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রায়হানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে ওই শিক্ষকের হাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রশিদ তালুকদার মোবাইলে কয়েকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিক্ষকের লাথিতে হাসপাতালে ছাত্র

আপডেট সময় : ০১:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) শিক্ষকের লাথিতে ছাত্র মো. রায়হান খন্দকার (১৬) কোমরে আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শামছুল আলম। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার খিলবাইছা এলাকায় টিটিসির ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় প্রিয় গোবিন্দ নামে আরও এক ছাত্রকে লাথি মারেন ওই শিক্ষক।

রায়হান ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের দশম শ্রেণির ছাত্র ও সদর উপজেলার বিজয়নগর এলাকার সিরাজ উল্যা খন্দকারের ছেলে। অভিযুক্ত শামছুল আলম ওয়েল্ডিং ট্রেডের সিভিল ইন্সট্রাক্টর।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। ঘটনার সময় ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্র নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। ফ্যানের রেগুলেটর বাড়ানোর জন্য রায়হান বৈদ্যুতিক বোর্ডে হাত দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষক শামছুল ছাত্র রায়হানের কোমরে লাথি মারেন। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে।

ওই শিক্ষকের পায়ে বুটের জুতা ছিল। রায়হানকে উদ্ধার করতে গেলে সহপাঠী প্রিয় গোবিন্দকেও লাথি মারেন শিক্ষক। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রায়হানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে ওই শিক্ষকের হাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রশিদ তালুকদার মোবাইলে কয়েকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।