ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ইলিশ শিকারের দায়ে ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: 

পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী‌তে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারে যাওয়ার অভিযোগে বরিশাল বন্দর থানার এসআই আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে তাদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্ট থেকে ইলিশ মাছ কারেন্ট জাল ও একটি ইঞ্জিনচালিত স্টিলের ট্রলারসহ বরিশাল বন্দর থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।

অভিযোগ ছিল,আটক হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত ১০টার দিকে মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে মোহাম্মাদ আলী এবং মো. জুলফিকার নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে আটকের বিষয়টি জানালেও কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের হস্তান্তর করেন তিনি।

পরে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জও কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে তড়িঘড়ি করে মাইক্রোবাসযোগে বরিশাল বন্দর থানায় পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের ইলিশ শিকার এবং কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আটক হওয়া পুলিশ সদস্যদের এভাবে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন আটকের পর তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছিলেন। আটক হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌপথে নিয়ে আসার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের সঙ্গে ডাঙায় নামেন। এরপর তারা বোটে উঠতে গড়িমসি করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের কাছে রেখে চলে আসি।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাসের কাছে এমন নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি স্যারকে জানিয়েই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌ পুলিশে নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু তারা একটি বাহিনীর সদস্য তাই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ বলেন, এখানে অবৈধভাবে ইলিশ ধরতে আসা কথাটি সঠিক নয়, তারা সীমানা ক্রস করে আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। তাদের আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।

তাদের সঙ্গে ইলিশ মাছ এবং কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে এবং এ সময়ে তাদের সঙ্গে জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটির কোনো সদস্যও ছিলেন না তা হলে কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আপনি তাদের কীভাবে বরিশাল বন্দর থানায় পাঠিয়ে দিলেন- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন স্যার এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান স্যারের নির্দেশে বরিশাল বন্দর থানার ওসি নিজে এসে আটক ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেছেন। এর থেকে বেশি কিছু আমার বলার নেই।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দুইজন হোক কিংবা পাঁচজন, এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইলিশ শিকারের দায়ে ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১২:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: 

পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী‌তে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারে যাওয়ার অভিযোগে বরিশাল বন্দর থানার এসআই আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে তাদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্ট থেকে ইলিশ মাছ কারেন্ট জাল ও একটি ইঞ্জিনচালিত স্টিলের ট্রলারসহ বরিশাল বন্দর থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।

অভিযোগ ছিল,আটক হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত ১০টার দিকে মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে মোহাম্মাদ আলী এবং মো. জুলফিকার নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে আটকের বিষয়টি জানালেও কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের হস্তান্তর করেন তিনি।

পরে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জও কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে তড়িঘড়ি করে মাইক্রোবাসযোগে বরিশাল বন্দর থানায় পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের ইলিশ শিকার এবং কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আটক হওয়া পুলিশ সদস্যদের এভাবে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন আটকের পর তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছিলেন। আটক হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌপথে নিয়ে আসার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের সঙ্গে ডাঙায় নামেন। এরপর তারা বোটে উঠতে গড়িমসি করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের কাছে রেখে চলে আসি।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাসের কাছে এমন নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি স্যারকে জানিয়েই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌ পুলিশে নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু তারা একটি বাহিনীর সদস্য তাই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ বলেন, এখানে অবৈধভাবে ইলিশ ধরতে আসা কথাটি সঠিক নয়, তারা সীমানা ক্রস করে আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। তাদের আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।

তাদের সঙ্গে ইলিশ মাছ এবং কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে এবং এ সময়ে তাদের সঙ্গে জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটির কোনো সদস্যও ছিলেন না তা হলে কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আপনি তাদের কীভাবে বরিশাল বন্দর থানায় পাঠিয়ে দিলেন- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন স্যার এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান স্যারের নির্দেশে বরিশাল বন্দর থানার ওসি নিজে এসে আটক ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেছেন। এর থেকে বেশি কিছু আমার বলার নেই।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দুইজন হোক কিংবা পাঁচজন, এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।