ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




এসএসসি পাস এমবিবিএস, ২০০ নারীকে ডাক্তারি প্রশিক্ষণ! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল; 
নাম মো. রফিকুল ইসলাম। বয়স ৩৮। এসএসসি পাস করে একটি ওষুধের দোকানে কিছুদিন কাজ করেছেন। এর কিছুদিন পর নিজেকে এমবিবিএস, ডিসিএইচ (ভারত), মেডিসিন, মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন রফিকুল।

এই পরিচয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা ছাড়াও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে প্রায় ২০০ জন নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ শহরের চৌমাথা হাওলাদার মার্কেটে রফিকুলের চেম্বার। চেম্বারের পাশেই তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণের নামে ২০০ জন নারীর কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। রফিকুল বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মোল্লার ছেলে।

র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সবার চোখে ধুলা দিয়ে হাওলাদার মার্কেটে চেম্বার নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রফিকুল ইসলাম। প্রায় দুই মাস ধরে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। তার অপচিকিৎসায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে দালালদের মাধ্যমে নিজের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসতেন রফিকুল। রফিকুলের চিকিৎসা ডিগ্রি না থাকলেও একটি কেন্দ্র খুলে ২০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।

বিষয়টি নজরে এলে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় চিকিৎসক হিসেবে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রফিকুল। রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেছেন এসএসসি পাস করেছেন। এরপর আর লেখাপড়া করেননি।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম আরও বলেন, আটকের পর রফিকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে রফিকুলকে এক বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এসএসসি পাস এমবিবিএস, ২০০ নারীকে ডাক্তারি প্রশিক্ষণ! 

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল; 
নাম মো. রফিকুল ইসলাম। বয়স ৩৮। এসএসসি পাস করে একটি ওষুধের দোকানে কিছুদিন কাজ করেছেন। এর কিছুদিন পর নিজেকে এমবিবিএস, ডিসিএইচ (ভারত), মেডিসিন, মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন রফিকুল।

এই পরিচয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা ছাড়াও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে প্রায় ২০০ জন নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ শহরের চৌমাথা হাওলাদার মার্কেটে রফিকুলের চেম্বার। চেম্বারের পাশেই তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণের নামে ২০০ জন নারীর কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। রফিকুল বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মোল্লার ছেলে।

র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সবার চোখে ধুলা দিয়ে হাওলাদার মার্কেটে চেম্বার নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রফিকুল ইসলাম। প্রায় দুই মাস ধরে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। তার অপচিকিৎসায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে দালালদের মাধ্যমে নিজের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসতেন রফিকুল। রফিকুলের চিকিৎসা ডিগ্রি না থাকলেও একটি কেন্দ্র খুলে ২০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।

বিষয়টি নজরে এলে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় চিকিৎসক হিসেবে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রফিকুল। রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেছেন এসএসসি পাস করেছেন। এরপর আর লেখাপড়া করেননি।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম আরও বলেন, আটকের পর রফিকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে রফিকুলকে এক বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম।