ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




বিয়ের ১০ দিনের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে!  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

মাত্র এগারো দিন আগে ধূমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের (১৯)। শ্বশুরবাড়িতে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর বাবার বাড়ি ফিরে আসে গত শুক্রবার। আর গত শনিবার বিকালেই তার ঘর ভাঙ্গে।

বর মোনছের আলী (৩২) শ্বশুর বাড়ি এসে নববধূ নূরন্নাহারকে তালাক দিয়ে শাশুড়ি মাজেদা বেগমকে (৪০) বিয়ে করে। দুদিন আগের শাশুড়ি মাজেদা এখন মোনছের আলীর ঘরণী হয়ে দিব্যি সংসার করছেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটাআটা গ্রামে।

জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র মোনছের আলী গত ২ অক্টোবর গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের কন্যা নূরন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। মেয়ের সাথে এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থানের পর গত শুক্রবার বর কনেসহ নিজবাড়ি ফেরেন।

শনিবার সকালে নূরন্নাহার বরের সাথে সংসার করবেন না বলে বায়না ধরেন। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শাশুড়ি মাজেদা বেগম তখন নূরন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সংসার করবেন বলে জানান। এমতাবস্থায় অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন।

হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্যরা সালিশি বৈঠকে বসেন। সামাজিক বিচারে মাজেদা বেগম ও মোনছের আলীকে মারধর করা হয়। এরপর পুরা পরিবারের সম্মতিতে নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তালাক দেন।

এরপর বর মোনছের আলী নবপরিণীতা নূরন্নাহারকে তালাক দেন। পরে একই অনুষ্ঠানের সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সাথে মাজেদা বেগমের এক লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।

হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত এসব কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার, গ্রাম্য মাতব্বর এবং ওই পরিবারের সকল সদস্যের সম্মতিতে দুটি তালাক এবং একটি বিবাহের কাজ একই অনুষ্ঠানে সম্পাদন করা হয়।

ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান, পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়ি বিয়ে করার ঘটনায় আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে মোনছের ও মাজেদাকে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার জানান, শাশুড়ি বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সকলের সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়ের সম্মতি দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিয়ের ১০ দিনের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে!  

আপডেট সময় : ০১:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

মাত্র এগারো দিন আগে ধূমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের (১৯)। শ্বশুরবাড়িতে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর বাবার বাড়ি ফিরে আসে গত শুক্রবার। আর গত শনিবার বিকালেই তার ঘর ভাঙ্গে।

বর মোনছের আলী (৩২) শ্বশুর বাড়ি এসে নববধূ নূরন্নাহারকে তালাক দিয়ে শাশুড়ি মাজেদা বেগমকে (৪০) বিয়ে করে। দুদিন আগের শাশুড়ি মাজেদা এখন মোনছের আলীর ঘরণী হয়ে দিব্যি সংসার করছেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটাআটা গ্রামে।

জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র মোনছের আলী গত ২ অক্টোবর গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের কন্যা নূরন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। মেয়ের সাথে এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থানের পর গত শুক্রবার বর কনেসহ নিজবাড়ি ফেরেন।

শনিবার সকালে নূরন্নাহার বরের সাথে সংসার করবেন না বলে বায়না ধরেন। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শাশুড়ি মাজেদা বেগম তখন নূরন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সংসার করবেন বলে জানান। এমতাবস্থায় অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন।

হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্যরা সালিশি বৈঠকে বসেন। সামাজিক বিচারে মাজেদা বেগম ও মোনছের আলীকে মারধর করা হয়। এরপর পুরা পরিবারের সম্মতিতে নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তালাক দেন।

এরপর বর মোনছের আলী নবপরিণীতা নূরন্নাহারকে তালাক দেন। পরে একই অনুষ্ঠানের সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সাথে মাজেদা বেগমের এক লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।

হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত এসব কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার, গ্রাম্য মাতব্বর এবং ওই পরিবারের সকল সদস্যের সম্মতিতে দুটি তালাক এবং একটি বিবাহের কাজ একই অনুষ্ঠানে সম্পাদন করা হয়।

ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান, পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়ি বিয়ে করার ঘটনায় আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে মোনছের ও মাজেদাকে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার জানান, শাশুড়ি বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সকলের সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়ের সম্মতি দেন।