ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’!




বরিশালে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিতে অপরাধীদের আশ্রয়!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৬০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধিঃ

বরিশাল মহানগর ২২ নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং এর কমিটি নিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু অভিযোগ। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে স্থানীয় মাদক কারবারি, ভূমিদস্যুতায় লিপ্ত, অস্রবাজ, সন্ত্রাসীদের নিয়ে চলছে এই ওয়ার্ডের কমিউনিটিপুলিশিং এর কার্যক্রম। এ ছাড়াও বিতর্কিত ও রাজনৈতিক দলের বহিস্কৃত লোকজনেরও ঠাই মিলেছে এ কমিটিতে।

জানা গেছে বরিশালের চিন্হিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বেশ কিছু লোক প্রায় বিশজন কমিটির ছত্রছায়ায় তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিবলী, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জু, প্রচার সম্পাদক বাবু, কোষাধ্যক্ষ শানু ও রাজনৈতিক দলের বহিস্কৃত নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সুমা র বিতর্কিত ইতিহাস রয়েছে। এছাড়াও উল্লেখিত বহিস্কৃত নেত্রী সুমা বাদে সকলেরই ফৌজদারী অপরাধের মামলা ও মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আবার অনেকেরই সামাজিকভাবে কোন গ্রহনযোগ্য তা নাই এমন লোকও কম নয়।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে ফোন দিলে সভাপতি প্রফেসর সাইদুল ইসলামের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য যে, বরিশালে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাথে সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অনৈতিক কার্যকলাপ করার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি । কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির অনেক নেতাদের সন্তানদের বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক ব্যবসা কিংবা সেবনসহ নানা অভিযোগ। তবে মাদক নির্মূলসহ সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে বরিশালেও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রলয় চিসিম বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিষয়টি সরাসরি পুলিশ কমিশনার নিজেই নজরদারী করছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ চাচ্ছে সমাজের গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিরা কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হোক। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ কিংবা মাদেকর অভিযোগ নেই।কোনো রাজনৈতিক দলের পদে নেই কিংবা জনপ্রতিনিধিও নয় এমন ব্যক্তিদের হাতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দায়িত্ব দিতে চায় মেট্রোপলিটন পুলিশ। সম্প্রতি বন্দর থানা এলাকায় এক ইউপি সদস্যকে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতা করায় ওই থানার ওসিকে এক হাত নিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মধ্যে যারা বিতর্কিত যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আছে তাদের সম্পর্কে মেট্রোপলিটন পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। বিতর্কিতদের বাদ দিয়েই প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি পুনর্গঠন হবে বলে জানান উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইঞা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশালে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিতে অপরাধীদের আশ্রয়!

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরিশাল প্রতিনিধিঃ

বরিশাল মহানগর ২২ নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং এর কমিটি নিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু অভিযোগ। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে স্থানীয় মাদক কারবারি, ভূমিদস্যুতায় লিপ্ত, অস্রবাজ, সন্ত্রাসীদের নিয়ে চলছে এই ওয়ার্ডের কমিউনিটিপুলিশিং এর কার্যক্রম। এ ছাড়াও বিতর্কিত ও রাজনৈতিক দলের বহিস্কৃত লোকজনেরও ঠাই মিলেছে এ কমিটিতে।

জানা গেছে বরিশালের চিন্হিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বেশ কিছু লোক প্রায় বিশজন কমিটির ছত্রছায়ায় তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিবলী, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জু, প্রচার সম্পাদক বাবু, কোষাধ্যক্ষ শানু ও রাজনৈতিক দলের বহিস্কৃত নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সুমা র বিতর্কিত ইতিহাস রয়েছে। এছাড়াও উল্লেখিত বহিস্কৃত নেত্রী সুমা বাদে সকলেরই ফৌজদারী অপরাধের মামলা ও মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আবার অনেকেরই সামাজিকভাবে কোন গ্রহনযোগ্য তা নাই এমন লোকও কম নয়।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে ফোন দিলে সভাপতি প্রফেসর সাইদুল ইসলামের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য যে, বরিশালে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাথে সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অনৈতিক কার্যকলাপ করার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি । কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির অনেক নেতাদের সন্তানদের বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক ব্যবসা কিংবা সেবনসহ নানা অভিযোগ। তবে মাদক নির্মূলসহ সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে বরিশালেও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রলয় চিসিম বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিষয়টি সরাসরি পুলিশ কমিশনার নিজেই নজরদারী করছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ চাচ্ছে সমাজের গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিরা কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হোক। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ কিংবা মাদেকর অভিযোগ নেই।কোনো রাজনৈতিক দলের পদে নেই কিংবা জনপ্রতিনিধিও নয় এমন ব্যক্তিদের হাতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দায়িত্ব দিতে চায় মেট্রোপলিটন পুলিশ। সম্প্রতি বন্দর থানা এলাকায় এক ইউপি সদস্যকে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতা করায় ওই থানার ওসিকে এক হাত নিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মধ্যে যারা বিতর্কিত যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আছে তাদের সম্পর্কে মেট্রোপলিটন পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। বিতর্কিতদের বাদ দিয়েই প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি পুনর্গঠন হবে বলে জানান উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইঞা