ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




পথে পথে চাঁদাবাজি, আকাশ ছুঁয়েছে পেয়ারার দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি: 
পেয়ারার জন্য বিখ্যাত ঝালকাঠি, বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার ৫৫টি গ্রাম। দক্ষিণের এই তিন জেলা থেকে প্রতিদিন এই পেয়ার সড়ক ও নৌপথে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। কিন্তু পথে পথে ব্যাপক চাঁদাবাজির কারণে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি বড় শহরে পেয়ারার দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন পেয়ারার স্থানীয় পাইকার ও পরিবহন চালকরা।

ভরা মৌসুমে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে পাইকারী ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি মূল্যের পেয়ারা ঢাকার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। যদিও ঝালকাঠি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে তৎপর রয়েছে তারা।

দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা জুড়ে এখন বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার বেচাকেনা জমে উঠেছে। এখানকার ভিমরুলী, শতদাশকাঠিসহ বিভিন্ন গ্রামের ভাসমান হাট থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মিষ্ট জাতের এই দেশি পেয়ারা সরবরাহ হচ্ছে। দূর-দূরান্তের পাইকাররা প্রতিদিন সড়ক ও নৌ-পথে এখান থেকে পেয়ারা কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় আড়তে বিক্রি করছেন।

কার্টুনভর্তি এই পেয়ারা যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

কিন্তু পাইকার ও ট্রাক চালকদের অভিযোগ, পেয়ারা পরিবহনে বরিশালের ভূরঘাটা থেকে পথে পথে চলে চাঁদাবাজি। সড়কে পুলিশকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিটমানি কিংবা চাঁদা দিতে হয়। ফেরিঘাটেও চাঁদা দিতে হয় স্থানীয় দালালদের। ফলে দুই থেকে তিনশ টাকা মণ দরে গ্রামের হাটের পেয়ারা ঢাকা-চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় হাজার টাকায়। খুচরা পর্যায়ে গ্রামের ৫ থেকে ৭ টাকা কেজির পেয়ারা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শহরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকারও বেশি দামে।

সুশান্ত দাস নামে এক পিকআপ চালক বলেন, রাস্তায় পুলিশকে ১০০ টাকা দিলে নিতে চায় না, ৫০০ টাকা দিতে হয়।

যদিও জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঝালকাঠি সীমানায় পেয়ারাসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনে কঠোরভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ জেলায় কোনোভাবেই কেউ পণ্য পরিবহনে হয়রানি হয় না। তবে অন্যত্র কেউ হয়রানি হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

চাষিরা নৌকায় করে পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছেন হাটে।

জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সর্বদা সতর্ক রয়েছে। ঝালকাঠি থেকে পেয়ার পরিবহনে কেউ কোনো সমস্যায় পড়বেন না।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এ বছর বরিশাল বিভাগে মোট ৩ হাজার ৩২০ হেক্টরে দেশি জাতের পেয়ারার চাষ হয়েছে। এবার শ্রাবণ ও ভাদ্র এই দু’মাসে সাড়ে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেয়ারার উৎপাদন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পথে পথে চাঁদাবাজি, আকাশ ছুঁয়েছে পেয়ারার দাম

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি: 
পেয়ারার জন্য বিখ্যাত ঝালকাঠি, বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার ৫৫টি গ্রাম। দক্ষিণের এই তিন জেলা থেকে প্রতিদিন এই পেয়ার সড়ক ও নৌপথে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। কিন্তু পথে পথে ব্যাপক চাঁদাবাজির কারণে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি বড় শহরে পেয়ারার দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন পেয়ারার স্থানীয় পাইকার ও পরিবহন চালকরা।

ভরা মৌসুমে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে পাইকারী ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি মূল্যের পেয়ারা ঢাকার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। যদিও ঝালকাঠি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে তৎপর রয়েছে তারা।

দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা জুড়ে এখন বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার বেচাকেনা জমে উঠেছে। এখানকার ভিমরুলী, শতদাশকাঠিসহ বিভিন্ন গ্রামের ভাসমান হাট থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মিষ্ট জাতের এই দেশি পেয়ারা সরবরাহ হচ্ছে। দূর-দূরান্তের পাইকাররা প্রতিদিন সড়ক ও নৌ-পথে এখান থেকে পেয়ারা কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় আড়তে বিক্রি করছেন।

কার্টুনভর্তি এই পেয়ারা যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

কিন্তু পাইকার ও ট্রাক চালকদের অভিযোগ, পেয়ারা পরিবহনে বরিশালের ভূরঘাটা থেকে পথে পথে চলে চাঁদাবাজি। সড়কে পুলিশকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিটমানি কিংবা চাঁদা দিতে হয়। ফেরিঘাটেও চাঁদা দিতে হয় স্থানীয় দালালদের। ফলে দুই থেকে তিনশ টাকা মণ দরে গ্রামের হাটের পেয়ারা ঢাকা-চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় হাজার টাকায়। খুচরা পর্যায়ে গ্রামের ৫ থেকে ৭ টাকা কেজির পেয়ারা রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শহরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকারও বেশি দামে।

সুশান্ত দাস নামে এক পিকআপ চালক বলেন, রাস্তায় পুলিশকে ১০০ টাকা দিলে নিতে চায় না, ৫০০ টাকা দিতে হয়।

যদিও জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঝালকাঠি সীমানায় পেয়ারাসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনে কঠোরভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ জেলায় কোনোভাবেই কেউ পণ্য পরিবহনে হয়রানি হয় না। তবে অন্যত্র কেউ হয়রানি হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

চাষিরা নৌকায় করে পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছেন হাটে।

জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সর্বদা সতর্ক রয়েছে। ঝালকাঠি থেকে পেয়ার পরিবহনে কেউ কোনো সমস্যায় পড়বেন না।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এ বছর বরিশাল বিভাগে মোট ৩ হাজার ৩২০ হেক্টরে দেশি জাতের পেয়ারার চাষ হয়েছে। এবার শ্রাবণ ও ভাদ্র এই দু’মাসে সাড়ে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেয়ারার উৎপাদন হবে।