ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




বাবার জন্মদিনে সোহেল তাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে নিজের ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

স্যাটাটটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমাদের সবারই একটি পরিচয় আছে- আমরা সবাই কারও না কারও সন্তান। আমাদের বাবা/মা আছে, দাদা/দাদি, নানা/নানী আছে। তেমনি একটি দেশের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় তার ইতিহাসে। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস হচ্ছে একটি গৌরবের ইতিহাস, মুক্তি ছিনিয়ে আনার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ করে তিরিশ লক্ষ শহীদসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। প্রশ্ন হচ্ছে কেন সেদিন বাংলার যুবকরা, এমনকি ১১/১২ বছর বয়সের কিশোরও স্বেচ্ছায় নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল?’

আজকে আমরা যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করি, তিনি কেন নিজের জীবন বাজি রেখে সেদিন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন? তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য।

সোনার বাংলার স্বপ্ন? কী এমন স্বপ্ন এটা যার জন্য জীবন দিতে তারা প্রস্তুত ছিলেন? এটা কি কোনো সোনা দিয়ে তৈরি ঘর-বাড়ি বা দালান-কোঠা?

উত্তরে তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন যে, সোনার বাংলার স্বপ্ন হচ্ছে এমন একটা সুন্দর দেশ যেখানে সব মানুষ- নারী পুরুষ, গরিব-ধনী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে নিরাপদে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। এমন একটি স্বপ্নের দেশ যেখানে একটি মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না। এমন একটি দেশ যেখানে একটি মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। এমন একটা সোনার বাংলা যেখানে আমাদের সন্তানরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় নির্দ্বিধায় নিরাপদে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। এমন একটি সমাজ ব্যাবস্থা যেখানে প্রাধান্য দেয়া হবে মেধাকে, যেখানে সবাই পাবে ন্যায় বিচার, আইন হবে সবার জন্য সমান, যেখানে দুর্নীতি, দলীয় করণ কোনো স্থান পাবে না।

তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) বলবেন এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর এই স্বপ্ন অর্জনের লক্ষ্যে সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।’

‘শুভ জন্মদিন বঙ্গতাজ – তোমাকে ধন্যবাদ।’

সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বাবার জন্মদিনে সোহেল তাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস

আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে নিজের ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

স্যাটাটটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমাদের সবারই একটি পরিচয় আছে- আমরা সবাই কারও না কারও সন্তান। আমাদের বাবা/মা আছে, দাদা/দাদি, নানা/নানী আছে। তেমনি একটি দেশের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় তার ইতিহাসে। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস হচ্ছে একটি গৌরবের ইতিহাস, মুক্তি ছিনিয়ে আনার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ করে তিরিশ লক্ষ শহীদসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। প্রশ্ন হচ্ছে কেন সেদিন বাংলার যুবকরা, এমনকি ১১/১২ বছর বয়সের কিশোরও স্বেচ্ছায় নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল?’

আজকে আমরা যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করি, তিনি কেন নিজের জীবন বাজি রেখে সেদিন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন? তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য।

সোনার বাংলার স্বপ্ন? কী এমন স্বপ্ন এটা যার জন্য জীবন দিতে তারা প্রস্তুত ছিলেন? এটা কি কোনো সোনা দিয়ে তৈরি ঘর-বাড়ি বা দালান-কোঠা?

উত্তরে তিনি নির্দ্বিধায় বলবেন যে, সোনার বাংলার স্বপ্ন হচ্ছে এমন একটা সুন্দর দেশ যেখানে সব মানুষ- নারী পুরুষ, গরিব-ধনী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে নিরাপদে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। এমন একটি স্বপ্নের দেশ যেখানে একটি মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না। এমন একটি দেশ যেখানে একটি মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। এমন একটা সোনার বাংলা যেখানে আমাদের সন্তানরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় নির্দ্বিধায় নিরাপদে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। এমন একটি সমাজ ব্যাবস্থা যেখানে প্রাধান্য দেয়া হবে মেধাকে, যেখানে সবাই পাবে ন্যায় বিচার, আইন হবে সবার জন্য সমান, যেখানে দুর্নীতি, দলীয় করণ কোনো স্থান পাবে না।

তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) বলবেন এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর এই স্বপ্ন অর্জনের লক্ষ্যে সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।’

‘শুভ জন্মদিন বঙ্গতাজ – তোমাকে ধন্যবাদ।’

সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।