ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




ফরিদপুরে হত্যা মামলায় যুবদল নেতাসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর অফিস

ফরিদপুরে হত্যা মামলায় যুবদল নেতাসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আলামত গোপন করার দায়ে ২০১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচ আসামিকেই আরও পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরো এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আসামিরা দুইটি সাজাই একসঙ্গে ভোগ করবেন।

সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন ।

মামলা চলাকালে এ মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিনে থাকলেও আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে তাদের সবার জামিন বাতিল করা হয়। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ফরিদপুর কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার পর আবার তাদের আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা (৩৬) ও তার চার সহযোগী নয়া মোল্লা (৬০), ইমারত মোল্লা (৩২), কালাম মোল্লা (৩৮) ও সিদ্দিক মোল্লা (৩৬)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়নের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা তার সহযোগীরা বিভিন্ন অপরাধ পরিচালিত করতেন। ২০০৬ সালে চর যশোরদী ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের কার্তিক সিকদারের নাবালিকা মেয়ে চঞ্চলা সিকদারকে জোর করে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন সিরাজ। এরপর সিরাজ কার্তিক সিকদারের বাড়িঘর দখল করে নিজে বসবাস শুরু করেন। একই বছরের ১ জুন রাতে সিরাজ ও তার সহযোগীরা কার্তিক সিকদারকে ধরে অমানুষিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায়। আহত কার্তিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয়। পরদিন ২ জুন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় কার্তিক সিকদার।

২০০৭ সালের মার্চে নিহত কার্তিক সিকদারের স্ত্রী মিলনী সিকদার আদালতে সিরাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ফরিদপুরে হত্যা মামলায় যুবদল নেতাসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৭:০০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

ফরিদপুর অফিস

ফরিদপুরে হত্যা মামলায় যুবদল নেতাসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আলামত গোপন করার দায়ে ২০১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচ আসামিকেই আরও পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরো এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আসামিরা দুইটি সাজাই একসঙ্গে ভোগ করবেন।

সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন ।

মামলা চলাকালে এ মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিনে থাকলেও আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে তাদের সবার জামিন বাতিল করা হয়। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ফরিদপুর কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার পর আবার তাদের আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা (৩৬) ও তার চার সহযোগী নয়া মোল্লা (৬০), ইমারত মোল্লা (৩২), কালাম মোল্লা (৩৮) ও সিদ্দিক মোল্লা (৩৬)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়নের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা তার সহযোগীরা বিভিন্ন অপরাধ পরিচালিত করতেন। ২০০৬ সালে চর যশোরদী ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের কার্তিক সিকদারের নাবালিকা মেয়ে চঞ্চলা সিকদারকে জোর করে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন সিরাজ। এরপর সিরাজ কার্তিক সিকদারের বাড়িঘর দখল করে নিজে বসবাস শুরু করেন। একই বছরের ১ জুন রাতে সিরাজ ও তার সহযোগীরা কার্তিক সিকদারকে ধরে অমানুষিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায়। আহত কার্তিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয়। পরদিন ২ জুন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় কার্তিক সিকদার।

২০০৭ সালের মার্চে নিহত কার্তিক সিকদারের স্ত্রী মিলনী সিকদার আদালতে সিরাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।