ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতা, সেই মা গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ ৭০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি; 
পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার অভিযোগে মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে রামগড় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

শুক্রবার ওই ছাত্রীর চাচা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ওই ছাত্রীর বাবা মো. আবুল কাশেমকে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য মা মনোয়ারা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত আবুল কাশেম পলাতক রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মেয়েটি জানায়, তার বাবা গত ২ জুলাই রাতে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও ২/৩ বার ধর্ষণের শিকার হয় সে। বাবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি মেয়েটি। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার বাবাকে বলে, কাল আমার কোরআন মাজিদ পরীক্ষা। আমার সঙ্গে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। কিন্তু এতেও মন গলেনি বাবা নামধারী ওই পাষণ্ডের।

মেয়েটি আরও জানায়, সে চিৎকার করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরত। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে ফেলারও হুমকি দিত তার বাবা। ঘটনাটি প্রথমে সে তার দাদিকে বলে। কিন্তু দাদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় মেয়েটি গত ১৪ জুলাই তার চাচাকে বিষয়টি জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতা, সেই মা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি; 
পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার অভিযোগে মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে রামগড় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

শুক্রবার ওই ছাত্রীর চাচা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ওই ছাত্রীর বাবা মো. আবুল কাশেমকে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য মা মনোয়ারা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত আবুল কাশেম পলাতক রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মেয়েটি জানায়, তার বাবা গত ২ জুলাই রাতে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও ২/৩ বার ধর্ষণের শিকার হয় সে। বাবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি মেয়েটি। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার বাবাকে বলে, কাল আমার কোরআন মাজিদ পরীক্ষা। আমার সঙ্গে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। কিন্তু এতেও মন গলেনি বাবা নামধারী ওই পাষণ্ডের।

মেয়েটি আরও জানায়, সে চিৎকার করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরত। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে ফেলারও হুমকি দিত তার বাবা। ঘটনাটি প্রথমে সে তার দাদিকে বলে। কিন্তু দাদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় মেয়েটি গত ১৪ জুলাই তার চাচাকে বিষয়টি জানায়।