ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




কলেজের একমাত্র পরীক্ষার্থীও ফেল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী: 
জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিছামতি আদর্শ কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীও ফেল করেছে। একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজেরও। গত বছর মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এই কলেজে। সেবার ওই পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়।

এবার বোর্ডে কেউ পাস করেনি এমন কলেজ দাঁড়িয়েছে সাতে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকওলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে। ৯ জন পরীক্ষার্থী ছিল চককামদেব আদর্শ কলেজ থেকে। এই ৯ জনও যোগ হয়েছে ফেলের তালিকায়।

জয়পুরহাট সদরের জয়পুরহাট নৈশ বিদ্যালয়ের তিন জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল। গত বছর এই কলেজ থেকে অংশ নেয় সাত পরীক্ষার্থী। সেবারও সবাই ছিল ফেলের তালিকায়।

এবার রাজশাহীর দুর্গাপুরের দাবিপুর কলেজ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে দু’জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ফেল করেছে প্রত্যেকেই। বুধবার দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রামানিক।

তিনি বলেন, শূন্যপাসের এমন কলেজগুলো সবেমাত্র পাঠদানে অনুমতি পেয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও একেবারেই কম। তবে এদের পাস করা উচিত ছিল। কেউ পাস না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে শিক্ষাবোর্ড।

এর আগে ২০১৮ সালে রাজশাহী বোর্ডে শূন্যপাস কলেজ ছিল ৬টি। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১টি, ২০১৬ সালে ৮টি, ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন।
এ বছর ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। ফলাফল সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কলেজের একমাত্র পরীক্ষার্থীও ফেল!

আপডেট সময় : ০৪:১৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী: 
জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিছামতি আদর্শ কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীও ফেল করেছে। একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজেরও। গত বছর মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এই কলেজে। সেবার ওই পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়।

এবার বোর্ডে কেউ পাস করেনি এমন কলেজ দাঁড়িয়েছে সাতে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকওলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে। ৯ জন পরীক্ষার্থী ছিল চককামদেব আদর্শ কলেজ থেকে। এই ৯ জনও যোগ হয়েছে ফেলের তালিকায়।

জয়পুরহাট সদরের জয়পুরহাট নৈশ বিদ্যালয়ের তিন জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল। গত বছর এই কলেজ থেকে অংশ নেয় সাত পরীক্ষার্থী। সেবারও সবাই ছিল ফেলের তালিকায়।

এবার রাজশাহীর দুর্গাপুরের দাবিপুর কলেজ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে দু’জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ফেল করেছে প্রত্যেকেই। বুধবার দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রামানিক।

তিনি বলেন, শূন্যপাসের এমন কলেজগুলো সবেমাত্র পাঠদানে অনুমতি পেয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও একেবারেই কম। তবে এদের পাস করা উচিত ছিল। কেউ পাস না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে শিক্ষাবোর্ড।

এর আগে ২০১৮ সালে রাজশাহী বোর্ডে শূন্যপাস কলেজ ছিল ৬টি। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১টি, ২০১৬ সালে ৮টি, ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন।
এ বছর ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। ফলাফল সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।