ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




রিকশাচালকদের অবরোধে ছাড় পাচ্ছে না রুগীরাও! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মালিবাগ রেলগেট মোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন কাঁচামালের ব্যবসায়ী মো. হারুন। রামপুরার বাসার সামনে থেকে কোনো রকমে একটি রিকশা নিয়ে সকাল ১০টায় রওনা দেন তিনি। কিন্তু আবুল হোটেলের মোড়ে আসতেই অবরোধকারীরা রিকশা আটকে দেন। অবরোধকারীদের কাছে কাকুতি মিনতি করেও ছাড়া পাননি তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটেই হাসাপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন হারুন।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিন সড়ক থেকে রিকশা তুলে দেয়ার প্রতিবাদে মালিবাগ রেলগেট, আবুল হোটেল মোড়ে রিকশাচালকদের অবরোধের কারণে হারুনের মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবরোধকারীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষ যেমন রেহায় পাচ্ছেন না, তেমনি রেহাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অসুস্থরাও।

ভোগান্তির বিষয়ে হারুন বলেন, অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য রামপুরার বাসা থেকে রিকশা করে আসছিলাম। কিন্তু আবুল হোটেলে আসার পরেই রিকশা আটকে দেয়া হলো। অসুস্থ স্ত্রীর কথা বলে হাত ধরে মিনতি জানিয়েও ছাড়া পাইনি। ফলে বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। বাসায় যাওয়ার সময় কী হবে বুঝতে পারছি না।

কাকরাইলে একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য খিলগাঁও থেকে বের হন অসুস্থ ফাতেমা। রাস্তায় তাকেও আটকে দেন অবরোধকারীরা। মালিবাগ মোড়ে এসে তার রিকশা আটকে দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে অসুস্থ ফাতেমাকে রেলগেট মড়ের একটি দোকানের সিঁড়িতে বসে থাকতে দেখা যায়।

অসুস্থ এ নারী বলেন, ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখানে আসতেই আটকে দেয়া হলো। আমি অসুস্থ মানুষ। হাঁটতে পারছি না। রিকশা করে বাসায় ফিরে যাব তাও যেতে দেয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে এখানে বসে আছি। আমার স্বামীকে ফোন করছি, সে এসে আমাকে নিয়ে যাবে।

হারুন, ফাতেমার মতো সেগুনবাগিচা থেকে বাড্ডা যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়েন জসিম উদ্দিন। পরিবার নিয়ে তিনি সিএনজি করে বাড্ডার একটি হাসপাতালে আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রেলগেট মোড়ে আসতেই অবরোধকারীরা তাদের সিএনজি আটকে রাস্তায় নামিয়ে দেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, রিকশাচালকরা যা করছে তা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে যেতে দেয়া হচ্ছে না, এটা কোনো মানুষের আচরণের মধ্যে পড়ে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রিকশাচালকদের অবরোধে ছাড় পাচ্ছে না রুগীরাও! 

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মালিবাগ রেলগেট মোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন কাঁচামালের ব্যবসায়ী মো. হারুন। রামপুরার বাসার সামনে থেকে কোনো রকমে একটি রিকশা নিয়ে সকাল ১০টায় রওনা দেন তিনি। কিন্তু আবুল হোটেলের মোড়ে আসতেই অবরোধকারীরা রিকশা আটকে দেন। অবরোধকারীদের কাছে কাকুতি মিনতি করেও ছাড়া পাননি তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটেই হাসাপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন হারুন।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিন সড়ক থেকে রিকশা তুলে দেয়ার প্রতিবাদে মালিবাগ রেলগেট, আবুল হোটেল মোড়ে রিকশাচালকদের অবরোধের কারণে হারুনের মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবরোধকারীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষ যেমন রেহায় পাচ্ছেন না, তেমনি রেহাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অসুস্থরাও।

ভোগান্তির বিষয়ে হারুন বলেন, অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য রামপুরার বাসা থেকে রিকশা করে আসছিলাম। কিন্তু আবুল হোটেলে আসার পরেই রিকশা আটকে দেয়া হলো। অসুস্থ স্ত্রীর কথা বলে হাত ধরে মিনতি জানিয়েও ছাড়া পাইনি। ফলে বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। বাসায় যাওয়ার সময় কী হবে বুঝতে পারছি না।

কাকরাইলে একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য খিলগাঁও থেকে বের হন অসুস্থ ফাতেমা। রাস্তায় তাকেও আটকে দেন অবরোধকারীরা। মালিবাগ মোড়ে এসে তার রিকশা আটকে দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে অসুস্থ ফাতেমাকে রেলগেট মড়ের একটি দোকানের সিঁড়িতে বসে থাকতে দেখা যায়।

অসুস্থ এ নারী বলেন, ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখানে আসতেই আটকে দেয়া হলো। আমি অসুস্থ মানুষ। হাঁটতে পারছি না। রিকশা করে বাসায় ফিরে যাব তাও যেতে দেয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে এখানে বসে আছি। আমার স্বামীকে ফোন করছি, সে এসে আমাকে নিয়ে যাবে।

হারুন, ফাতেমার মতো সেগুনবাগিচা থেকে বাড্ডা যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়েন জসিম উদ্দিন। পরিবার নিয়ে তিনি সিএনজি করে বাড্ডার একটি হাসপাতালে আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রেলগেট মোড়ে আসতেই অবরোধকারীরা তাদের সিএনজি আটকে রাস্তায় নামিয়ে দেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, রিকশাচালকরা যা করছে তা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে যেতে দেয়া হচ্ছে না, এটা কোনো মানুষের আচরণের মধ্যে পড়ে না।