ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




সরিষা মৌসুমে সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ টন

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। আর এই সরিষার মাঠের পাশে শত শত মৌ বাক্স বসিয়ে মৌমাছি দিয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরিষার আবাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মধুর উৎপাদন নিয়ে খুশি খামার মালিকরা। তবে উৎপাদিত মধুর সঠিক বাজারমূল্য না পাওয়ায় লোকসানের কথা জানিয়েছে তারা। লোকসানে কাটাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি ব্যবসায়ীদের।

উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর এই তিন জেলাজুড়ে বিস্তৃত চলনবিল। বর্ষাকালে এই চলনবিলের চারপাশ পানিতে টইটুম্বুর থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে চলনবিল যেন এক টুকরো হলুদের স্বর্গরাজ্য। চলবিল ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। আর তাই এখন এলাকাজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।

এই হলুদরাঙা সরিষার মাঠে মৌমাছি দিয়েই মধু আহরণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মৌ চাষিরা। ক্ষেতের পাশে বিশেষভাবে তৈরি শত শত মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে তারা। বিশেষভাবে তৈরি প্রতিটি মৌ বাক্সে ৭ থেকে ৮টি মৌচাক বা কলোনি থাকে। সারাদিন মৌমাছিগুলো সরিষা ফুল থেকে একটু একটু করে মধু সংগ্রহ করে এসব মৌচাকে জমায়। আর মৌয়ালরা ৭ দিন পর পর ধোঁয়ার মাধ্যমে চাক থেকে মৌমাছি সরিয়ে মৌচাকগুলো একটি মেশিনে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মধু উত্তোলন করে। পড়ে উৎপাদিত মধু বিভিন্ন পাত্রে ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের ফলে প্রতিটি ফুলে পরাগায়ণ হয়, এতে সরিষার ফলনও বেশি পাওয়া যায় বলে জানায় কৃষকরা।

আদর্শ মৌ খামারের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মধুর উৎপাদন বেশ ভালো হচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। মধুর সঠিক দাম নিশ্চিতে সরকারিভাবে বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিও করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মৌ চাষিদের সুবিধার্থে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় একটি মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় সরিয়ার আবাদ হয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, যেখান থেকে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০ টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরিষা মৌসুমে সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ টন

আপডেট সময় : ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। আর এই সরিষার মাঠের পাশে শত শত মৌ বাক্স বসিয়ে মৌমাছি দিয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরিষার আবাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মধুর উৎপাদন নিয়ে খুশি খামার মালিকরা। তবে উৎপাদিত মধুর সঠিক বাজারমূল্য না পাওয়ায় লোকসানের কথা জানিয়েছে তারা। লোকসানে কাটাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি ব্যবসায়ীদের।

উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর এই তিন জেলাজুড়ে বিস্তৃত চলনবিল। বর্ষাকালে এই চলনবিলের চারপাশ পানিতে টইটুম্বুর থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে চলনবিল যেন এক টুকরো হলুদের স্বর্গরাজ্য। চলবিল ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। আর তাই এখন এলাকাজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।

এই হলুদরাঙা সরিষার মাঠে মৌমাছি দিয়েই মধু আহরণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মৌ চাষিরা। ক্ষেতের পাশে বিশেষভাবে তৈরি শত শত মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে তারা। বিশেষভাবে তৈরি প্রতিটি মৌ বাক্সে ৭ থেকে ৮টি মৌচাক বা কলোনি থাকে। সারাদিন মৌমাছিগুলো সরিষা ফুল থেকে একটু একটু করে মধু সংগ্রহ করে এসব মৌচাকে জমায়। আর মৌয়ালরা ৭ দিন পর পর ধোঁয়ার মাধ্যমে চাক থেকে মৌমাছি সরিয়ে মৌচাকগুলো একটি মেশিনে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মধু উত্তোলন করে। পড়ে উৎপাদিত মধু বিভিন্ন পাত্রে ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের ফলে প্রতিটি ফুলে পরাগায়ণ হয়, এতে সরিষার ফলনও বেশি পাওয়া যায় বলে জানায় কৃষকরা।

আদর্শ মৌ খামারের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মধুর উৎপাদন বেশ ভালো হচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। মধুর সঠিক দাম নিশ্চিতে সরকারিভাবে বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিও করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মৌ চাষিদের সুবিধার্থে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় একটি মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় সরিয়ার আবাদ হয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, যেখান থেকে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০ টন।