ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




শুঁটকি রপ্তানিখাত হতে পারে দেশে বৃহৎ আয়রে উৎস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

হাফিজুর রহমানঃ বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও সমুদ্র ঘেরা হওয়ায় দেশে প্রাকৃতিক ভাবেই বিশাল পরিমাণ মাছের উৎস রয়েছে। আর এজন্যই মাছে ভাতে বঙ্গালীর প্রবাদ প্রচলিত। এদেশে নদী ও সামুদ্রিক মাছের বিশাল পরিমাণ আহরণ থাকায় আহরিত মাছের একটি অংশ শুঁটকি সংরক্ষণ হয়। দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশী এই শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অথচ এই পেশায় সম্পৃক্তদের প্রতিনিয়ত পুলিশ ও পরিবহনে পথে পথে হয়রানী, দালাল চক্রের জিম্মিদশা সহ বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতায় পিছিয়ে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় শুঁটকির এই খাত।

অসংখ্য প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিশাল পরিমাণে শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজারের লুনিয়াছাটা ও নাজিরারটেকে বর্তমানে ২০ এর অধিক রপ্তানিমুখী শুঁটকির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় শুঁটকি ডিহাইড্রেড করে রপ্তানি উপযোগী করা হয়। তবে এই সম্ভাবনার খাত কে এগিয়ে নিতে সরকারের কিছু দ্রুত পদক্ষেপ জরুরী। যেমন এই খাতে ছোট বড় ব্যাংক লোন,শুঁটকি সংরক্ষণকারী পেশাজীবীদের সামাজিক স্বীকৃতি, পুলিশি হয়রানি বন্ধে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন শুঁটকি রপ্তানীকারকগণ।

সারাদেশে নদী নালা, খালবিল, ও সগরের উপকুল অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবেই বিশাল শুঁটকি সংরক্ষণের পেশায়জড়িত প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। তারা নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় শুঁটকি সংরক্ষণ করে স্থানীয় মহাজনদের পাইকারি সরবরহ করে। সেখান থেকেই সারাদেশের শুটকির চাহিদা মেটানো হয়।

বর্তমানে দেশে ও দেশের বাইরে আমাের শুঁটকির প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। যার মধ্যে ৩০০ কোটি দেশে ও বিদেশে রপ্তানী হয় ২০০ কোট টাকার মত। রপ্তানি পণ্য তালিকায় ভোজন রসিকদের অত্যন্ত প্রিয় এবং সুস্বাদু বিশেষ স্থান দখল করে আছে শুঁটকি। আমাদের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় উৎপাদিত শুঁটকি অত্যন্ত সীমিত পর্যায়ে বেসরকারিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রাপ্ততথ্য থেকে জানা যায়, আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, বৃটেন, আমেরিকা, চীন, হংকং, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে বিশাল পরিমাণে শুঁটকির রপ্তানি হচ্ছে। জানা যায়, আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজারের লুনিয়াছাটা ও নাজিরার থেকে বর্তমানে আহরিত হয় রপ্তানিমুখী এসব শুঁটকি। পরে কারখানায় শুঁটকি ডিহাইড্রেড করে রপ্তানি উপযোগী করা হয়। বাংলাদেশে ডিহাইড্রেশন সীফুড রপ্তানিকারক সমিতি সূত্র গণমাধ্যমকে জানান, ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রতিবছর প্রায় ২শ’ কোটি টাকা মূল্যের ডিহাইড্রেড শুঁটকি রপ্তানি করা হয়েছে। শুঁটকি রপ্তানিকারক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, শুঁটকি রপ্তানিতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করতে পারলে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হাজার কোটি টাকা পূর্ণ করা সম্ভব। আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা যেমন; কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, রাঙ্গাদিয়া, সোনাদিয়া, মহেশখালী, খুরুশকুল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, বাংলাবাজার, কক্সবাজার এয়ারপোর্ট বিচসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকাতেও শুঁটকি উৎপন্ন হয়ে থাকে। দেশের এই সম্ভাবনাময় খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সরকারের কিছু কার্যকরী দ্রুত পদক্ষেপ।

শুঁটকি রপ্তানীকারক কক্সবাজার শুঁটকি হাউজের কর্নধার বাতেন মিয়া দৈনিক নতুন কাগজকে বলেন আমরা অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে শুঁটকি রপ্তানী করে থাকি এজন্য রাষ্ট্রীয় তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা কখনোই পাইনা। তারউপর আমাদের খুচরো শুঁটকি সংরক্ষণকারীরা পুলিশ সহ পরিবহন খাতেও হয়রানীর স্বীকার হয়ে থাকে পদেপদে। এবিষয়ে সরকারের স্বদ্বিচ্ছা ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন অনুভব করছি আমরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলায় বছরে ছয় মাসে প্রায় হাজার কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদিত হয়। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় হলো (অক্টোবর থেকে মার্চ) আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম হিসেবে ধরে নেয়া হয়। বানিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শুঁটকি রফতানি আরো বাড়াতে আগ্রহী সরকার। তাই ইতিমধ্যেই রফতানি বাড়াতে আধুনকি সকল সুবিধা সম্বলতি শুঁটকি মহাল স্থাপনরে কাজও শুরু করছে সরকার।

উল্লখ্যে, কক্সবাজারে আধুনকি শুঁটকি মহাল ও ইটপি স্থাপন করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়রে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডসিম্বেরের মধ্যে ৪৫ একর জমরি ওপর ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজাররে খুরুশকুলে ‘একটি আধুনকি শুঁটকি মহাল ও ইটপি নির্মাণ করা হবে। স্থাপনরে কাজটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদশে মৎস্য উন্নয়ন র্কপােরশেন। গত২৮ ফব্রেুয়ারি বিএফডিসির সম্মলেনকক্ষে র্বাষকি কার্যক্রম এবং ভবিষৎ কর্ম পরকিল্পনা বিষায়ক এক পর্যালোচনা সভায় এই কথা জানান বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতরিক্তি সচিব) দিলদার আহমেদ।

কক্সবাজার উপকূল জুড়ে সারা বছরই চলে শুঁটকি উৎপাদনরে কাজ, এটা দশেরে চাহদিা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবকাঠামো সমস্যাসহ শুঁটকি পরবিহনরে ক্ষত্রে পথে পথে পুলশিরে হয়রানরি শিকার হচ্ছেন তারা। প্রশাসন বলছে সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
কক্সবাজার জেলার নাজিরারটকের এলাকায় বসেরকারিভাবে এরই মধ্যইে গড়ে উঠছে দেশের সর্ব বৃহৎ শুটকি পল্লী। শীত মৌসুমে ওই এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকিয়ে প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকে শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যস্ত থাকে শুঁটকি ব্যাবসায় জড়িত মহাজনরাও।
সরকারি সহযোগতিায় নাজিরারটেক মহলকে আধুনিকায়ন করা গেলে আরও বেশি শুঁটকি উৎপাদন ও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতনিধিগণ।

বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ভোলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অঞ্চল থেকেও প্রচুর পরিমাণে শুঁটকি রফতানি করছেন অনেকে। সামুদ্রকি মাছের শুঁটকির পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল থেকে দেশী শুঁটকরি রফতানি বাড়ছে। বর্তমানে আগলৈঝাড়া উপজলোর রাজাপুর শুঁটকি পল্লী থেকেও দেশী শুটকী মাছ বিদেশে রপ্তনী হচ্ছে। প্রকৃতকি পরবিশে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে উৎপাদতি এই শুটকী পল্লীর শুটকীর কদর রয়েছে দেশ বিদেশে সর্বত্র।
এদিকে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে মাছ শুঁটকি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত পরবিারগুলোর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্লাস্টারভত্তিকি আধুনকি শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ-পদ্ধতি চালু করা, রাসায়নিক পর্দাথ ও ধুলাবালি শুঁটকি সরবরাহর ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা, গুণগতমান সম্পন্ন কাঁচামাছ সংগ্রহরে জন্য আধুনকি মৎস্য আহরণ ব্যবস্থা নশ্চিতি করা সহ শুঁটকি মাছরে জন্য অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতকি বাজার সৃষ্টি করার সকল প্রস্তুতি নেওয়াই সরকারের প্রকল্পের মূল উদ্দশ্যে।

দেশের এই বৃহত্তম প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানীকারকদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা মূলক কর্য্যব্যবস্থা গহন করে জরুরী পদক্ষেপ নিলে দেশের উৎপাদিত শুঁটকি রপ্তানীতে শিঘ্রই কয়েক হাজার কোটি টাকার লক্ষমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে মনে করেন এই খাতে জড়িত সংশ্লিষ্টগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শুঁটকি রপ্তানিখাত হতে পারে দেশে বৃহৎ আয়রে উৎস

আপডেট সময় : ১০:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯

হাফিজুর রহমানঃ বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও সমুদ্র ঘেরা হওয়ায় দেশে প্রাকৃতিক ভাবেই বিশাল পরিমাণ মাছের উৎস রয়েছে। আর এজন্যই মাছে ভাতে বঙ্গালীর প্রবাদ প্রচলিত। এদেশে নদী ও সামুদ্রিক মাছের বিশাল পরিমাণ আহরণ থাকায় আহরিত মাছের একটি অংশ শুঁটকি সংরক্ষণ হয়। দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশী এই শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অথচ এই পেশায় সম্পৃক্তদের প্রতিনিয়ত পুলিশ ও পরিবহনে পথে পথে হয়রানী, দালাল চক্রের জিম্মিদশা সহ বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতায় পিছিয়ে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় শুঁটকির এই খাত।

অসংখ্য প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিশাল পরিমাণে শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজারের লুনিয়াছাটা ও নাজিরারটেকে বর্তমানে ২০ এর অধিক রপ্তানিমুখী শুঁটকির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় শুঁটকি ডিহাইড্রেড করে রপ্তানি উপযোগী করা হয়। তবে এই সম্ভাবনার খাত কে এগিয়ে নিতে সরকারের কিছু দ্রুত পদক্ষেপ জরুরী। যেমন এই খাতে ছোট বড় ব্যাংক লোন,শুঁটকি সংরক্ষণকারী পেশাজীবীদের সামাজিক স্বীকৃতি, পুলিশি হয়রানি বন্ধে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন শুঁটকি রপ্তানীকারকগণ।

সারাদেশে নদী নালা, খালবিল, ও সগরের উপকুল অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবেই বিশাল শুঁটকি সংরক্ষণের পেশায়জড়িত প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। তারা নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় শুঁটকি সংরক্ষণ করে স্থানীয় মহাজনদের পাইকারি সরবরহ করে। সেখান থেকেই সারাদেশের শুটকির চাহিদা মেটানো হয়।

বর্তমানে দেশে ও দেশের বাইরে আমাের শুঁটকির প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। যার মধ্যে ৩০০ কোটি দেশে ও বিদেশে রপ্তানী হয় ২০০ কোট টাকার মত। রপ্তানি পণ্য তালিকায় ভোজন রসিকদের অত্যন্ত প্রিয় এবং সুস্বাদু বিশেষ স্থান দখল করে আছে শুঁটকি। আমাদের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় উৎপাদিত শুঁটকি অত্যন্ত সীমিত পর্যায়ে বেসরকারিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রাপ্ততথ্য থেকে জানা যায়, আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, বৃটেন, আমেরিকা, চীন, হংকং, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে বিশাল পরিমাণে শুঁটকির রপ্তানি হচ্ছে। জানা যায়, আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজারের লুনিয়াছাটা ও নাজিরার থেকে বর্তমানে আহরিত হয় রপ্তানিমুখী এসব শুঁটকি। পরে কারখানায় শুঁটকি ডিহাইড্রেড করে রপ্তানি উপযোগী করা হয়। বাংলাদেশে ডিহাইড্রেশন সীফুড রপ্তানিকারক সমিতি সূত্র গণমাধ্যমকে জানান, ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রতিবছর প্রায় ২শ’ কোটি টাকা মূল্যের ডিহাইড্রেড শুঁটকি রপ্তানি করা হয়েছে। শুঁটকি রপ্তানিকারক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, শুঁটকি রপ্তানিতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করতে পারলে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হাজার কোটি টাকা পূর্ণ করা সম্ভব। আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা যেমন; কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, রাঙ্গাদিয়া, সোনাদিয়া, মহেশখালী, খুরুশকুল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, বাংলাবাজার, কক্সবাজার এয়ারপোর্ট বিচসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকাতেও শুঁটকি উৎপন্ন হয়ে থাকে। দেশের এই সম্ভাবনাময় খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সরকারের কিছু কার্যকরী দ্রুত পদক্ষেপ।

শুঁটকি রপ্তানীকারক কক্সবাজার শুঁটকি হাউজের কর্নধার বাতেন মিয়া দৈনিক নতুন কাগজকে বলেন আমরা অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে শুঁটকি রপ্তানী করে থাকি এজন্য রাষ্ট্রীয় তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা কখনোই পাইনা। তারউপর আমাদের খুচরো শুঁটকি সংরক্ষণকারীরা পুলিশ সহ পরিবহন খাতেও হয়রানীর স্বীকার হয়ে থাকে পদেপদে। এবিষয়ে সরকারের স্বদ্বিচ্ছা ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন অনুভব করছি আমরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলায় বছরে ছয় মাসে প্রায় হাজার কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদিত হয়। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় হলো (অক্টোবর থেকে মার্চ) আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম হিসেবে ধরে নেয়া হয়। বানিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শুঁটকি রফতানি আরো বাড়াতে আগ্রহী সরকার। তাই ইতিমধ্যেই রফতানি বাড়াতে আধুনকি সকল সুবিধা সম্বলতি শুঁটকি মহাল স্থাপনরে কাজও শুরু করছে সরকার।

উল্লখ্যে, কক্সবাজারে আধুনকি শুঁটকি মহাল ও ইটপি স্থাপন করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়রে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডসিম্বেরের মধ্যে ৪৫ একর জমরি ওপর ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজাররে খুরুশকুলে ‘একটি আধুনকি শুঁটকি মহাল ও ইটপি নির্মাণ করা হবে। স্থাপনরে কাজটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদশে মৎস্য উন্নয়ন র্কপােরশেন। গত২৮ ফব্রেুয়ারি বিএফডিসির সম্মলেনকক্ষে র্বাষকি কার্যক্রম এবং ভবিষৎ কর্ম পরকিল্পনা বিষায়ক এক পর্যালোচনা সভায় এই কথা জানান বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতরিক্তি সচিব) দিলদার আহমেদ।

কক্সবাজার উপকূল জুড়ে সারা বছরই চলে শুঁটকি উৎপাদনরে কাজ, এটা দশেরে চাহদিা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবকাঠামো সমস্যাসহ শুঁটকি পরবিহনরে ক্ষত্রে পথে পথে পুলশিরে হয়রানরি শিকার হচ্ছেন তারা। প্রশাসন বলছে সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
কক্সবাজার জেলার নাজিরারটকের এলাকায় বসেরকারিভাবে এরই মধ্যইে গড়ে উঠছে দেশের সর্ব বৃহৎ শুটকি পল্লী। শীত মৌসুমে ওই এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকিয়ে প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকে শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যস্ত থাকে শুঁটকি ব্যাবসায় জড়িত মহাজনরাও।
সরকারি সহযোগতিায় নাজিরারটেক মহলকে আধুনিকায়ন করা গেলে আরও বেশি শুঁটকি উৎপাদন ও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতনিধিগণ।

বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ভোলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অঞ্চল থেকেও প্রচুর পরিমাণে শুঁটকি রফতানি করছেন অনেকে। সামুদ্রকি মাছের শুঁটকির পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল থেকে দেশী শুঁটকরি রফতানি বাড়ছে। বর্তমানে আগলৈঝাড়া উপজলোর রাজাপুর শুঁটকি পল্লী থেকেও দেশী শুটকী মাছ বিদেশে রপ্তনী হচ্ছে। প্রকৃতকি পরবিশে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে উৎপাদতি এই শুটকী পল্লীর শুটকীর কদর রয়েছে দেশ বিদেশে সর্বত্র।
এদিকে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে মাছ শুঁটকি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত পরবিারগুলোর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্লাস্টারভত্তিকি আধুনকি শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ-পদ্ধতি চালু করা, রাসায়নিক পর্দাথ ও ধুলাবালি শুঁটকি সরবরাহর ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা, গুণগতমান সম্পন্ন কাঁচামাছ সংগ্রহরে জন্য আধুনকি মৎস্য আহরণ ব্যবস্থা নশ্চিতি করা সহ শুঁটকি মাছরে জন্য অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতকি বাজার সৃষ্টি করার সকল প্রস্তুতি নেওয়াই সরকারের প্রকল্পের মূল উদ্দশ্যে।

দেশের এই বৃহত্তম প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানীকারকদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা মূলক কর্য্যব্যবস্থা গহন করে জরুরী পদক্ষেপ নিলে দেশের উৎপাদিত শুঁটকি রপ্তানীতে শিঘ্রই কয়েক হাজার কোটি টাকার লক্ষমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে মনে করেন এই খাতে জড়িত সংশ্লিষ্টগণ।