ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




মরদেহের পেট কেটে বের করা হলো ১৫৫০ পিস ইয়াবা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনতে খেয়ে নেন ১৫৫০ পিস ইয়াবা। পরে অসুস্থ্য হয়ে তিনি মারা গেলে পেট কেটে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম শুকুর আলী। তিনি টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে ৩১প্যাকেটে ১৫৫০পিস ইয়াবা খেয়ে বহন করার সময় পাবনায় ধরা পড়েন শুকুর আলী। পরে দুজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ১৫০ পিস ইয়াবা সহ ধরা পড়লে তারা পুলিশকে জানায় শুকুরের কাছ থেকে ইয়াবা কেনার কথা। তথ্য পেয়ে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তার পেটে ইয়াবা দেখা যায়। তার পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, তার মৃত্যুর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, ইয়াবা বড়িগুলোর কিছু পেটের গরমে গলে যায়। একারণেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, উদ্ধার করা ইয়াবা আলামত হিসেবে পাবনায় পাঠানো হবে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। নওশাদ আলী বলেন, প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তাদের কাছে আরো ইয়াবা আছে। পরে তারা স্বীকার করে যে ইয়াবা শুকুরের পেটের ভেতর আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মরদেহের পেট কেটে বের করা হলো ১৫৫০ পিস ইয়াবা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনতে খেয়ে নেন ১৫৫০ পিস ইয়াবা। পরে অসুস্থ্য হয়ে তিনি মারা গেলে পেট কেটে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম শুকুর আলী। তিনি টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে ৩১প্যাকেটে ১৫৫০পিস ইয়াবা খেয়ে বহন করার সময় পাবনায় ধরা পড়েন শুকুর আলী। পরে দুজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ১৫০ পিস ইয়াবা সহ ধরা পড়লে তারা পুলিশকে জানায় শুকুরের কাছ থেকে ইয়াবা কেনার কথা। তথ্য পেয়ে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তার পেটে ইয়াবা দেখা যায়। তার পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, তার মৃত্যুর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, ইয়াবা বড়িগুলোর কিছু পেটের গরমে গলে যায়। একারণেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, উদ্ধার করা ইয়াবা আলামত হিসেবে পাবনায় পাঠানো হবে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। নওশাদ আলী বলেন, প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তাদের কাছে আরো ইয়াবা আছে। পরে তারা স্বীকার করে যে ইয়াবা শুকুরের পেটের ভেতর আছে।