ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বায়ু দূষণে বছরে মৃত্যু ১২ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২ ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, বায়ুদূষণে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ২০ বছরে বায়ুদূষণজনিত রোগ বালাইয়ের কারণে মৃত্যু ৯ শতাংশ বেড়েছে। ১৫ বছরে প্লাস্টিক দূষণও বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে শহরাঞ্চলের মানুষ। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘সবুজ শহর উদ্যোগ’ বিষয়ে আলোচনায় সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ। বাতাসের মান উন্নয়নে ইটভাটা বন্ধের পাশাপাশি রাজধানীতে যানবাহন কমাতে স্কুলবাস চালুর বিকল্প নেই। এ ছাড়া যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী রাখাও বায়ুদূষণের একটা কারণ। কেউ এটা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্পায়ন নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশে শিল্পায়ন খুব বড় আকারে হয়নি। তার পরও কেন এত বায়ুদূষণ? উন্নত দেশগুলোতে বড় আকারের শিল্পায়ন হলেও দূষণ এত কম কী করে হয়? তার মানে বায়ুদূষণের জন্য শিল্পায়নকে দায়ী করতে পারব না। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য ঢাকা শহরের আশপাশের ইটভাটা সবচেয়ে বেশি দায়ী। ইটভাটার কারণে আকাশে দূষণ ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর একটি বিষয় উন্মুক্তভাবে নির্মাণকাজ করা। বিদেশে উন্মুক্তভাবে বালি বা মাটি রাখতে কিংবা সরবরাহ করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে ওই ব্যবস্থা নেই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। না নিতে পারলে দূষণ আটকানো যাবে না। শহরে বাইরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে বর্জ্যরে স্তূপ। ওখানে তো বর্জ্য রাখার কথা নয়। আরেকটি হচ্ছে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। খাল-বিল বন্ধ করে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। একসময় ব্রিজ ছিল, রাস্তার সুবিধার জন্য কালভার্ট করে চিরদিনের জন্য নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যানবাহনের দূষণ কমাতে হলে আমাদের ইলেকট্রিক বাহনের দিকে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ইলেকট্রিক কারের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ। কাস্টমসে আলাদা এসএস কোডও নেই। আসলে যারা যেখানে কাজ করার কথা, তারা সেভাবে করছেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় মানুষকে সচেতন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বায়ু দূষণে বছরে মৃত্যু ১২ লাখ

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, বায়ুদূষণে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ২০ বছরে বায়ুদূষণজনিত রোগ বালাইয়ের কারণে মৃত্যু ৯ শতাংশ বেড়েছে। ১৫ বছরে প্লাস্টিক দূষণও বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে শহরাঞ্চলের মানুষ। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘সবুজ শহর উদ্যোগ’ বিষয়ে আলোচনায় সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ। বাতাসের মান উন্নয়নে ইটভাটা বন্ধের পাশাপাশি রাজধানীতে যানবাহন কমাতে স্কুলবাস চালুর বিকল্প নেই। এ ছাড়া যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী রাখাও বায়ুদূষণের একটা কারণ। কেউ এটা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্পায়ন নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশে শিল্পায়ন খুব বড় আকারে হয়নি। তার পরও কেন এত বায়ুদূষণ? উন্নত দেশগুলোতে বড় আকারের শিল্পায়ন হলেও দূষণ এত কম কী করে হয়? তার মানে বায়ুদূষণের জন্য শিল্পায়নকে দায়ী করতে পারব না। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য ঢাকা শহরের আশপাশের ইটভাটা সবচেয়ে বেশি দায়ী। ইটভাটার কারণে আকাশে দূষণ ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর একটি বিষয় উন্মুক্তভাবে নির্মাণকাজ করা। বিদেশে উন্মুক্তভাবে বালি বা মাটি রাখতে কিংবা সরবরাহ করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে ওই ব্যবস্থা নেই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। না নিতে পারলে দূষণ আটকানো যাবে না। শহরে বাইরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে বর্জ্যরে স্তূপ। ওখানে তো বর্জ্য রাখার কথা নয়। আরেকটি হচ্ছে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। খাল-বিল বন্ধ করে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। একসময় ব্রিজ ছিল, রাস্তার সুবিধার জন্য কালভার্ট করে চিরদিনের জন্য নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যানবাহনের দূষণ কমাতে হলে আমাদের ইলেকট্রিক বাহনের দিকে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ইলেকট্রিক কারের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ। কাস্টমসে আলাদা এসএস কোডও নেই। আসলে যারা যেখানে কাজ করার কথা, তারা সেভাবে করছেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় মানুষকে সচেতন করা।