ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




প্রকৌশলী রমিজ অবৈধ সম্পদের ‘কুমির’! ঢাকাতেই ৫টি বাড়ি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৯ ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ; রাজধানীতেই ৫টি বাড়ি, গাজীপুরে একরের পর একর জমি। জন্মভূমি কুমিল্লাতেও একই অবস্থা। পিছিয়ে নেই স্ত্রীও। তার নামেও রয়েছে জমাজমি আর পুঁজিবাজারে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ।

সম্পদের এই ‘কুমির’ ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার।

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। এরই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রমিজ উদ্দিনকে তার সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন। দুদক সূত্র জানায়, রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তে গিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় পেয়েছেন।

জানা গেছে, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাততলা, মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ২০২ ব্লক-ডি তে ৪.৫ কাঠা জমির উপর ৫টি দোকান ও টিনসেড বাড়ি, পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ির তথ্য পেয়েছে।

টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে।

এ ছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর অনুন্ধান কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে দুদক প্রাথমিকভাবে রমিজের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এসব সম্পদের তথ্য পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রকৌশলী রমিজ অবৈধ সম্পদের ‘কুমির’! ঢাকাতেই ৫টি বাড়ি

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক ; রাজধানীতেই ৫টি বাড়ি, গাজীপুরে একরের পর একর জমি। জন্মভূমি কুমিল্লাতেও একই অবস্থা। পিছিয়ে নেই স্ত্রীও। তার নামেও রয়েছে জমাজমি আর পুঁজিবাজারে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ।

সম্পদের এই ‘কুমির’ ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার।

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। এরই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রমিজ উদ্দিনকে তার সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন। দুদক সূত্র জানায়, রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তে গিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় পেয়েছেন।

জানা গেছে, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাততলা, মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ২০২ ব্লক-ডি তে ৪.৫ কাঠা জমির উপর ৫টি দোকান ও টিনসেড বাড়ি, পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ির তথ্য পেয়েছে।

টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে।

এ ছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর অনুন্ধান কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে দুদক প্রাথমিকভাবে রমিজের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এসব সম্পদের তথ্য পায়।