ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




নির্বাচনী উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয় : সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্র ধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে ইতোমধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে, এই উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয়।

তিনি বলেন, এটা বলার এবং বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে, ইতোমধ্যেই নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় সাধারণ মানুষ ও বিচারকদের মধ্যে একটা অদৃশ্য কৃত্রিম দেয়াল ছিল। সেটি ক্রমেই সরে যাচ্ছে। আমি মনে করি যারা বিচার করবেন এবং যাদের বিচার করবেন তাদের মধ্যে এতো বড় দেয়াল থাকার প্রয়োজন ছিল না। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেই দেয়াল আরও কিছুটা শিথিল হবে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারবেন তারা কী চায়? নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্র আরও প্রশস্ত হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, আমাদের কাজ শুধু ৩০ ডিসেম্বর। সেদিন ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বুঝাবুঝি না হয়, সবাই যেন নির্বাচনী আচারণ বিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেয়া। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, আপনারা বিচারক। কে সাদা? কে কালো? কে রঙিন?-সেটা বিচারকদের একেবারেই দেখার বিষয় নয়। বিচার কার্যটাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবেন এটাই আমাদের কামনা। বিচার করে কাউকে একেবারে জেলে পাঠিয়ে দেবেন এটাও কাম্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই প্রয়োগ করবেন যোগ করেন তিনি।

সিইসি বলেন, সেই অনাদিকাল থেকে বিচারকদের মানুষ অগাধ শ্রদ্ধা করে। কাজীর আমল থেকেই বিচারকেরা যে সিদ্ধান্ত দিতেন সেটা মানুষ মান্য করতো, এখনও করে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী, আপনারা যদি মাঠে থাকেন, আপানাদের পদচারনায় এই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। মানুষ যেনো ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সিইসি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে নির্বাচনের পরের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিনে যতটা না সংঘাত হয়, তার থেকে বেশি সংঘাত হয় নির্বাচনের পরের দিন। অতিউৎসাহী কিছু লোক ও প্রতিহিংসা পরায়নের কারণে এসব হয়ে থাকে। ভোটের পরের দিন মিছিলের কারণে অনেকের মনে আঘাত লাগে, অনেকে কষ্ট পায়। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন, সজাগ থাকবেন। নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটাকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।

পরিশেষে সিইসি বলেন, কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকবে। হাজার হাজার মানুষ থাকবে। সব রাজনৈতিক দল একটি পজেটিভ মনোভাব নিয়ে নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে। এত বড় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা যখন মাঠে যাবেন আর কোনো সংঘাত ঘটবে বলেও মনে করি না। আপনারা সফল ও সার্থক নির্বাচন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নির্বাচনী উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয় : সিইসি

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্র ধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে ইতোমধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে, এই উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয়।

তিনি বলেন, এটা বলার এবং বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে, ইতোমধ্যেই নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় সাধারণ মানুষ ও বিচারকদের মধ্যে একটা অদৃশ্য কৃত্রিম দেয়াল ছিল। সেটি ক্রমেই সরে যাচ্ছে। আমি মনে করি যারা বিচার করবেন এবং যাদের বিচার করবেন তাদের মধ্যে এতো বড় দেয়াল থাকার প্রয়োজন ছিল না। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেই দেয়াল আরও কিছুটা শিথিল হবে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারবেন তারা কী চায়? নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্র আরও প্রশস্ত হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, আমাদের কাজ শুধু ৩০ ডিসেম্বর। সেদিন ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বুঝাবুঝি না হয়, সবাই যেন নির্বাচনী আচারণ বিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেয়া। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, আপনারা বিচারক। কে সাদা? কে কালো? কে রঙিন?-সেটা বিচারকদের একেবারেই দেখার বিষয় নয়। বিচার কার্যটাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবেন এটাই আমাদের কামনা। বিচার করে কাউকে একেবারে জেলে পাঠিয়ে দেবেন এটাও কাম্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই প্রয়োগ করবেন যোগ করেন তিনি।

সিইসি বলেন, সেই অনাদিকাল থেকে বিচারকদের মানুষ অগাধ শ্রদ্ধা করে। কাজীর আমল থেকেই বিচারকেরা যে সিদ্ধান্ত দিতেন সেটা মানুষ মান্য করতো, এখনও করে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী, আপনারা যদি মাঠে থাকেন, আপানাদের পদচারনায় এই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। মানুষ যেনো ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সিইসি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে নির্বাচনের পরের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিনে যতটা না সংঘাত হয়, তার থেকে বেশি সংঘাত হয় নির্বাচনের পরের দিন। অতিউৎসাহী কিছু লোক ও প্রতিহিংসা পরায়নের কারণে এসব হয়ে থাকে। ভোটের পরের দিন মিছিলের কারণে অনেকের মনে আঘাত লাগে, অনেকে কষ্ট পায়। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন, সজাগ থাকবেন। নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটাকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।

পরিশেষে সিইসি বলেন, কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকবে। হাজার হাজার মানুষ থাকবে। সব রাজনৈতিক দল একটি পজেটিভ মনোভাব নিয়ে নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে। এত বড় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা যখন মাঠে যাবেন আর কোনো সংঘাত ঘটবে বলেও মনে করি না। আপনারা সফল ও সার্থক নির্বাচন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।