ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




জাতিসংঘে তুলে ধরা হলো ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১০ বার পড়া হয়েছে

 

 

সকালের সংবাদ ডেস্কঃ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইনের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত দূরদর্শী ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’-এর কথা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’-এর উপর ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্লেনারির এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘পৃথিবী নামক গ্রহে টেকসই জীবন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধি আনতে স্বাস্থ্যকর মহাসাগর অপরিহার্য। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ মিমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদসমূহ অধিকতর আহরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে শুরু করে।

সে কারণেই বাংলাদেশে এখন সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) একটি নতুন ‘উন্নয়ন ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্র বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনঃব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পূনরূদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারী এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এসকল বিষয়গুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০’ তে সুনিপুণভাবে সন্নিবেশন করা হয়েছে।’

‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’ সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এ সকল তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজির অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এ ক্ষেত্রে মৎস্য ভতুর্কি সংক্রান্ত ডব্লিউটিও এর নেগোসিয়েশান সম্পূর্ণ করার উপর বিশেষ জোর দেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।

তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজে গতি আনার বিষয়টিও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন।

সমুদ্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমণের বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার উদ্বেগের কথা জানান। এ সকল অনিয়মতান্ত্রিক মানব চলাচল মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সমুদ্র বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্র বিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে তিনি বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জাতিসংঘে তুলে ধরা হলো ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

 

 

সকালের সংবাদ ডেস্কঃ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইনের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত দূরদর্শী ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’-এর কথা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’-এর উপর ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্লেনারির এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘পৃথিবী নামক গ্রহে টেকসই জীবন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধি আনতে স্বাস্থ্যকর মহাসাগর অপরিহার্য। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ মিমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদসমূহ অধিকতর আহরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে শুরু করে।

সে কারণেই বাংলাদেশে এখন সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) একটি নতুন ‘উন্নয়ন ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্র বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনঃব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পূনরূদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারী এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এসকল বিষয়গুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০’ তে সুনিপুণভাবে সন্নিবেশন করা হয়েছে।’

‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’ সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এ সকল তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজির অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এ ক্ষেত্রে মৎস্য ভতুর্কি সংক্রান্ত ডব্লিউটিও এর নেগোসিয়েশান সম্পূর্ণ করার উপর বিশেষ জোর দেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।

তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজে গতি আনার বিষয়টিও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন।

সমুদ্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমণের বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার উদ্বেগের কথা জানান। এ সকল অনিয়মতান্ত্রিক মানব চলাচল মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সমুদ্র বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্র বিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে তিনি বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।