ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




চট্রগ্রাম কারাগারের সেই জেলার কিশোরগঞ্জের কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার মো. সোহেল রানা বিশ্বাসকে কিশোরগঞ্জের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর তাকে কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুন নূরের আদালত আগামী সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেলকে গ্রেফতার করে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করা হলেও পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ভৈরবে তল্লাশি চালিয়ে রেল পুলিশ তাকে আটক করে। নগদ টাকা ছাড়াও এ সময় তার নিজের, স্ত্রী ও তার শ্যালকের নামে আড়াই কোটি টাকার তিনটি এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, বিভিন্ন ব্যাংকের ৫টি চেকবই ও ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল মজিদ যুগান্তরকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করে ফেনসিডিল ও নগদ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে এবং মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। তল্লাশি চালানোর সময় তিনি প্রথমে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং হুমকি-ধমকিও দেন। বলেন, ‘ভালো হচ্ছে না, তোমাকে দেখে নেব। পরে এক পর্যায়ে তিনি (সোহেল) ঘাবড়ে যান এবং ঘামতে থাকেন। অসুস্থ অনুভব করলে পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চেক-আপের পর তাকে আবার থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়।’ রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি থানা হাজতে ছিলেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস শুক্রবার ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে সকাল ৭টায় এই বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, চেক ও ফেনসিডিল ব্যাগে ভরে চট্টগ্রাম থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতি দিলে রেলওয়ে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েন।

এ সময় ১২ বোতল ফেনসিডিল ও বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের নামে ১ কোটি টাকা, তার স্ত্রী হোসনে আরার নামে ১ কোটি টাকা ও শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করেন। ২৮ অক্টোবর ইস্যু করা তার নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেকও উদ্ধার করা হয়।

টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রেফতার সোহেল রানা ভৈরব থানার ওসিকে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওসিকে বলেন, এই টাকা আমার শ্যালকের। সে মাদকের ব্যবসা করে। আমি তার পার্টনার।

যুগান্তরের এই প্রতিবেদকও আসামি সোহেল রানার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সোহেল রানা জানান, এই টাকা মাদক বিক্রির ও আত্মীয়স্বজনের।

সূত্র জানায়, তল্লাশির পর ব্যাগসহ তাকে প্রথমে ভৈরব রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্যাগের ভেতর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। এত বিপুল অংকের নগদ অর্থ গুনতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। থানায় আনার পরই তিনি তার পরিচয় দেন।
335Shares

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চট্রগ্রাম কারাগারের সেই জেলার কিশোরগঞ্জের কারাগারে

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার মো. সোহেল রানা বিশ্বাসকে কিশোরগঞ্জের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর তাকে কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুন নূরের আদালত আগামী সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেলকে গ্রেফতার করে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করা হলেও পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ভৈরবে তল্লাশি চালিয়ে রেল পুলিশ তাকে আটক করে। নগদ টাকা ছাড়াও এ সময় তার নিজের, স্ত্রী ও তার শ্যালকের নামে আড়াই কোটি টাকার তিনটি এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, বিভিন্ন ব্যাংকের ৫টি চেকবই ও ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল মজিদ যুগান্তরকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করে ফেনসিডিল ও নগদ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে এবং মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। তল্লাশি চালানোর সময় তিনি প্রথমে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং হুমকি-ধমকিও দেন। বলেন, ‘ভালো হচ্ছে না, তোমাকে দেখে নেব। পরে এক পর্যায়ে তিনি (সোহেল) ঘাবড়ে যান এবং ঘামতে থাকেন। অসুস্থ অনুভব করলে পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চেক-আপের পর তাকে আবার থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়।’ রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি থানা হাজতে ছিলেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস শুক্রবার ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে সকাল ৭টায় এই বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, চেক ও ফেনসিডিল ব্যাগে ভরে চট্টগ্রাম থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতি দিলে রেলওয়ে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েন।

এ সময় ১২ বোতল ফেনসিডিল ও বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের নামে ১ কোটি টাকা, তার স্ত্রী হোসনে আরার নামে ১ কোটি টাকা ও শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করেন। ২৮ অক্টোবর ইস্যু করা তার নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেকও উদ্ধার করা হয়।

টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রেফতার সোহেল রানা ভৈরব থানার ওসিকে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওসিকে বলেন, এই টাকা আমার শ্যালকের। সে মাদকের ব্যবসা করে। আমি তার পার্টনার।

যুগান্তরের এই প্রতিবেদকও আসামি সোহেল রানার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সোহেল রানা জানান, এই টাকা মাদক বিক্রির ও আত্মীয়স্বজনের।

সূত্র জানায়, তল্লাশির পর ব্যাগসহ তাকে প্রথমে ভৈরব রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্যাগের ভেতর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। এত বিপুল অংকের নগদ অর্থ গুনতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। থানায় আনার পরই তিনি তার পরিচয় দেন।
335Shares