ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




উৎপাদনের তথ্য লুকাচ্ছে হাক্কানি পাল্প!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০ ২৫২ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শাফিক; 

দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি, সিকিউরিটিজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নতুন কিছুই নয়। প্রায় প্রতিদিনই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন না কোন অভিযোগ ওঠেই থাকে। এরমধ্যে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন যেন কোম্পানিগুলোর রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হাজারও অভিযোগ থাকলেও তা রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা বারবারই ব্যর্থ হচ্ছেন। এবার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠেছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের রিরুদ্ধে। কোম্পানিটির উৎপাদিত টিস্যু পেপারের বাজারজাত করণের কার্যক্রম শুরু হলেও তা বিনিয়োগকারীদের জানায় নি কোম্পানিটি। অথচ দুই বছর আগে টিস্যু উৎপাদনের বিষয়ে কোম্পানিটির হাক-ডাকের কমতি ছিল না। শেয়ারনিউজ২৪ডটকমের তথ্যানুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির এমন কোন তথ্য বা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত এমন কোন সিদ্ধান্ত, যা কোম্পানির আয়-ব্যয় কিংবা শেয়ার দরকে প্রভাবিত করতে পারে, সেটা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। আর সেটা জানার অধিকার কোম্পানি সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের রয়েছে। আর এই কারণে কোম্পানিগুলোর মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের অবহিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার বিদ্যমান এ আইনের কোন পরোয়া না করেই, বিষয়টি গোপণ করে রেখেছে।

প্রশ্ন উঠছে, কার স্বার্থে পুরোপুরি উৎপাদনে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত পন্য বাজারজাতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্যগুলো বিনিয়োগকারী ও স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে আড়াল করতে চাইছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। নাকি কোম্পানি কর্তৃপক্ষই জড়িয়ে পড়েছে কোন সুবিধাভোগী ব্যবসায়!

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দুই বছর আগের নেয়া টিস্যু উৎপাদনসহ দুটি প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের অন্ধকারে রেখেছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। যদিও কোম্পানিটির টিস্যু প্রজেক্ট আরো আগে আসার কথা ছিল কিন্তু প্রজেক্ট কস্ট বৃদ্ধির কারণে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কোম্পানিটির সময় লেগে যায়।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে টিস্যু উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি তা বাজারজাতকরণের কার্যক্রমও শুরু করে দিয়েছে কোম্পানিটি। শিগগিরই কোম্পানিটি অন্য প্রজেক্টের বাণ্যিজিক উৎপাদনে যাবে। এতে কোম্পানির আয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। এটা বিনিয়োগকারীদের জন্য মহাখুশির সংবাদ হলেও তা জানায় নি হাক্কানি পাল্প কর্তৃপক্ষ। অথচ তা জানা অধিকার বিনিয়োগকারীদের রয়েছে। আইনেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা না করেই বিষয়টি আড়াল করেছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন হাক্কানি পাল্প সোসাল ইসলামী ব্যাংক, আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন লাভ করে বলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানায়। একই দিনে কোম্পানিটি তাদের ইটিপি প্লান্টকে পরিবর্তন করে আরো উন্নত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, যার দৈনিক ক্যাপাসিটি হচ্ছে ১২০০ কিউবিক মিটার। এই প্রজেক্টে কোম্পানিটির ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এই অর্থ নিজেদের ফান্ড থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয় হাক্কানি পাল্প।

এদিকে সোসাল ইসলামি ব্যাংকের কাছ থেকে নেয় সোয়া ৪২ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানিটি বিএমআরই এবং টিস্যু প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে টিস্যু প্রজেক্ট এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে রাইটিং,প্রিন্টিং এবং গ্লোসি পেপার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটি তাদের টিস্যু পেপার প্রজেক্টের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, টিস্যু পেপার প্রজেক্টের ব্যয় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭১৪ টাকায় উন্নীত করা হয়। ইলেকট্রিক সাব- স্টেশন বসানো, সিভিল ও ফাউন্ডেশন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রজেক্ট কষ্ট বৃদ্ধি করা হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি টিস্যু উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করছে- এটা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দরে উল্লম্ফনও দেখা দিতে পারে। কিন্তু কোম্পানিটি মূল্য সংবেদনশীল এখন প্রকাশ করেনি। এ নিয়ে অবশ্যই কোম্পানির সাথে সম্পৃক্তদের মধ্যে কোন কুটকৌশল থাকতে পারে।

তাদের মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও কর্মকর্তারা মূলসংবেদনশীল তথ্যকে সামনে রেখে বেনামে শেয়ার কিনে ফাঁয়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্য কারোরই অজানা নয়। এই কোম্পানিটির ক্ষেত্রে কি একই ঘটনা ঘটছে কি-না, তার খোজ খবর নেয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের দায়িত্ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উৎপাদনের তথ্য লুকাচ্ছে হাক্কানি পাল্প!

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

এইচ আর শাফিক; 

দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি, সিকিউরিটিজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নতুন কিছুই নয়। প্রায় প্রতিদিনই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন না কোন অভিযোগ ওঠেই থাকে। এরমধ্যে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন যেন কোম্পানিগুলোর রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হাজারও অভিযোগ থাকলেও তা রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা বারবারই ব্যর্থ হচ্ছেন। এবার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠেছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের রিরুদ্ধে। কোম্পানিটির উৎপাদিত টিস্যু পেপারের বাজারজাত করণের কার্যক্রম শুরু হলেও তা বিনিয়োগকারীদের জানায় নি কোম্পানিটি। অথচ দুই বছর আগে টিস্যু উৎপাদনের বিষয়ে কোম্পানিটির হাক-ডাকের কমতি ছিল না। শেয়ারনিউজ২৪ডটকমের তথ্যানুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির এমন কোন তথ্য বা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত এমন কোন সিদ্ধান্ত, যা কোম্পানির আয়-ব্যয় কিংবা শেয়ার দরকে প্রভাবিত করতে পারে, সেটা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। আর সেটা জানার অধিকার কোম্পানি সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের রয়েছে। আর এই কারণে কোম্পানিগুলোর মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের অবহিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার বিদ্যমান এ আইনের কোন পরোয়া না করেই, বিষয়টি গোপণ করে রেখেছে।

প্রশ্ন উঠছে, কার স্বার্থে পুরোপুরি উৎপাদনে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত পন্য বাজারজাতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্যগুলো বিনিয়োগকারী ও স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে আড়াল করতে চাইছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। নাকি কোম্পানি কর্তৃপক্ষই জড়িয়ে পড়েছে কোন সুবিধাভোগী ব্যবসায়!

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দুই বছর আগের নেয়া টিস্যু উৎপাদনসহ দুটি প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের অন্ধকারে রেখেছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। যদিও কোম্পানিটির টিস্যু প্রজেক্ট আরো আগে আসার কথা ছিল কিন্তু প্রজেক্ট কস্ট বৃদ্ধির কারণে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কোম্পানিটির সময় লেগে যায়।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে টিস্যু উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি তা বাজারজাতকরণের কার্যক্রমও শুরু করে দিয়েছে কোম্পানিটি। শিগগিরই কোম্পানিটি অন্য প্রজেক্টের বাণ্যিজিক উৎপাদনে যাবে। এতে কোম্পানির আয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। এটা বিনিয়োগকারীদের জন্য মহাখুশির সংবাদ হলেও তা জানায় নি হাক্কানি পাল্প কর্তৃপক্ষ। অথচ তা জানা অধিকার বিনিয়োগকারীদের রয়েছে। আইনেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা না করেই বিষয়টি আড়াল করেছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন হাক্কানি পাল্প সোসাল ইসলামী ব্যাংক, আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন লাভ করে বলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানায়। একই দিনে কোম্পানিটি তাদের ইটিপি প্লান্টকে পরিবর্তন করে আরো উন্নত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, যার দৈনিক ক্যাপাসিটি হচ্ছে ১২০০ কিউবিক মিটার। এই প্রজেক্টে কোম্পানিটির ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এই অর্থ নিজেদের ফান্ড থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয় হাক্কানি পাল্প।

এদিকে সোসাল ইসলামি ব্যাংকের কাছ থেকে নেয় সোয়া ৪২ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানিটি বিএমআরই এবং টিস্যু প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে টিস্যু প্রজেক্ট এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে রাইটিং,প্রিন্টিং এবং গ্লোসি পেপার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটি তাদের টিস্যু পেপার প্রজেক্টের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, টিস্যু পেপার প্রজেক্টের ব্যয় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭১৪ টাকায় উন্নীত করা হয়। ইলেকট্রিক সাব- স্টেশন বসানো, সিভিল ও ফাউন্ডেশন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রজেক্ট কষ্ট বৃদ্ধি করা হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি টিস্যু উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করছে- এটা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দরে উল্লম্ফনও দেখা দিতে পারে। কিন্তু কোম্পানিটি মূল্য সংবেদনশীল এখন প্রকাশ করেনি। এ নিয়ে অবশ্যই কোম্পানির সাথে সম্পৃক্তদের মধ্যে কোন কুটকৌশল থাকতে পারে।

তাদের মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও কর্মকর্তারা মূলসংবেদনশীল তথ্যকে সামনে রেখে বেনামে শেয়ার কিনে ফাঁয়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্য কারোরই অজানা নয়। এই কোম্পানিটির ক্ষেত্রে কি একই ঘটনা ঘটছে কি-না, তার খোজ খবর নেয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের দায়িত্ব।