ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আবারো বাংলাদেশ সীমান্তে ধেয়ে আসছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ: নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের রাখাইনে। এর ফলে আশ্রয়ের আশায় আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

জীবন রক্ষার্থে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবির এসেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক রোহিঙ্গা আবার সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছেন।

নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন হাজেরা বিবি। আশ্রয় নিয়েছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা আত্মীয়ের কাছে।

হাজেরা বিবি জানান, বার্মায় নির্যাতনের কারণে আামার বাবা-মা আগে থেকেই এখানে এসেছে। আমিও বাবা-মার কাছে চলে এসেছি। বার্মার মধ্যে বেশী সংঘর্ষ হচ্ছে তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। জেলেদের নৌকায় করে আরো ২ জন নারীর সাথে আমি এ পাড়ে এসেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা অনেকের স্বজন এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চান না তারা।

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহতের পর তুমব্রু সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৫টি মর্টারশেল এসে পরে বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তে। জিরো পয়েণ্টের কাছে পড়া গোলা দেখতে উৎসুক রোহিঙ্গারা ভিড় করলে ২টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক কিশোর নিহত হয়, আহত হয় আরো ৬ জন। আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে ঘুমধুমে পড়ে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। যদিও তার কোনো সুফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আবারো বাংলাদেশ সীমান্তে ধেয়ে আসছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা

আপডেট সময় : ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সকালের সংবাদ: নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের রাখাইনে। এর ফলে আশ্রয়ের আশায় আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

জীবন রক্ষার্থে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবির এসেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক রোহিঙ্গা আবার সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছেন।

নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন হাজেরা বিবি। আশ্রয় নিয়েছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা আত্মীয়ের কাছে।

হাজেরা বিবি জানান, বার্মায় নির্যাতনের কারণে আামার বাবা-মা আগে থেকেই এখানে এসেছে। আমিও বাবা-মার কাছে চলে এসেছি। বার্মার মধ্যে বেশী সংঘর্ষ হচ্ছে তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। জেলেদের নৌকায় করে আরো ২ জন নারীর সাথে আমি এ পাড়ে এসেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা অনেকের স্বজন এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চান না তারা।

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহতের পর তুমব্রু সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৫টি মর্টারশেল এসে পরে বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তে। জিরো পয়েণ্টের কাছে পড়া গোলা দেখতে উৎসুক রোহিঙ্গারা ভিড় করলে ২টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক কিশোর নিহত হয়, আহত হয় আরো ৬ জন। আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে ঘুমধুমে পড়ে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। যদিও তার কোনো সুফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।