ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি পাকিস্তানি হানাদারদের

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি বাহিনী তখনো আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। ঢাকায় তারা স্থল প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করেছে। তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না-ই চায়, তার অর্থ হবে ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যেকোনোভাবেই ঢাকার এ সম্ভাব্য ধ্বংসকা- এড়াতে চাইছিল যৌথ বাহিনী।

জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের সময় বেঁধে দেন। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিশাহারা নিয়াজি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে ইসলামাবাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। রাত দুইটার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা ইউনিটগুলোকে রেডিও মারফত আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রেরণের কাজ শুরু হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল, তখন ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ ঢাকার অবশিষ্ট অধিবাসী অধীর আগ্রহে পরদিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচ- যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।