ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আইএসবধূ শামীমা এবার ‘অনুতপ্ত’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ায় গিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম এখন ‘অনুতপ্ত’। দ্য টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন ১৯ বছরের ব্রিটিশ এ তরুণী।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি নিজ দেশ যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো একটি সুযোগ চাই।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আইএসের খেলাফতে যোগ দেয়া, সেখানে বিয়ে ও সন্তান ধারণের জন্য তিনি ‘অনুতপ্ত’। তার তৃতীয় সন্তান মারা যাওয়ার পর গণমাধ্যমে এটিই শামীমার প্রথম সাক্ষাৎকার।

শামীমা বেগম বলেন, সিরিয়ার আইএসের সবশেষ ঘাঁটি বাঘুজ ছেড়ে আসার পর আমি আমার আগের সব কিছুর জন্য খুবই অনুতপ্ত। আমি দ্বিতীয়বারের মতো একটা সুযোগ চাই, যাতে করে যুক্তরাজ্যে ফিরে নিজের জীবনটা আবার শুরু করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে মগজধোলাই করা হয়েছিল। আমাকে যা বোঝানো হয়েছে, তাই বিশ্বাস করে আমি সিরিয়ায় চলে এসেছিলাম। অথচ আমি ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থ কিছুই জানতাম না। আমি আইএস খেলাফতে সন্তান ধারণের ঘটনায় অনুতপ্ত।

২০১৫ সালে নিজের দেশ ও পরিবার ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজের বিষণ্ণতার কথাও বলেন শামীমা। অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত লোকজন তাকে দেশ ছাড়ার কথা বলে।

পূর্ব লন্ডনে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন শামীমা বেগম। পড়তেন বেথনাল গ্রিনের একটি স্কুলে। সেখান থেকে ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় চলে যান তিনি। পরে সেখানে ডাচ বংশোদ্ভূত এক ‘জিহাদিকে’ বিয়ে করেন তিনি। এই দম্পতির প্রথম দুটি সন্তানও অপুষ্টিতে মারা যায়।

সিরিয়া যুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে শামীমার স্বামী আত্মসমর্পণ করেন। আর শামীমাকে সিরিয়ায় একটি শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিবিসির এক সাংবাদিক তার দেখা পান। কিন্তু তখন তিনি ‘অনুতপ্ত’ ছিলেন না।

শামীমা সেখানেই আবারও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এই সন্তানের জন্যই ব্রিটেনে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় শামীমার সেই সন্তানটি মারা যায়। আর শামীমার আবেদন নাকচ করে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাজ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইএসবধূ শামীমা এবার ‘অনুতপ্ত’

আপডেট সময় : ০২:২১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ায় গিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম এখন ‘অনুতপ্ত’। দ্য টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন ১৯ বছরের ব্রিটিশ এ তরুণী।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি নিজ দেশ যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো একটি সুযোগ চাই।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আইএসের খেলাফতে যোগ দেয়া, সেখানে বিয়ে ও সন্তান ধারণের জন্য তিনি ‘অনুতপ্ত’। তার তৃতীয় সন্তান মারা যাওয়ার পর গণমাধ্যমে এটিই শামীমার প্রথম সাক্ষাৎকার।

শামীমা বেগম বলেন, সিরিয়ার আইএসের সবশেষ ঘাঁটি বাঘুজ ছেড়ে আসার পর আমি আমার আগের সব কিছুর জন্য খুবই অনুতপ্ত। আমি দ্বিতীয়বারের মতো একটা সুযোগ চাই, যাতে করে যুক্তরাজ্যে ফিরে নিজের জীবনটা আবার শুরু করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে মগজধোলাই করা হয়েছিল। আমাকে যা বোঝানো হয়েছে, তাই বিশ্বাস করে আমি সিরিয়ায় চলে এসেছিলাম। অথচ আমি ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থ কিছুই জানতাম না। আমি আইএস খেলাফতে সন্তান ধারণের ঘটনায় অনুতপ্ত।

২০১৫ সালে নিজের দেশ ও পরিবার ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজের বিষণ্ণতার কথাও বলেন শামীমা। অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত লোকজন তাকে দেশ ছাড়ার কথা বলে।

পূর্ব লন্ডনে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন শামীমা বেগম। পড়তেন বেথনাল গ্রিনের একটি স্কুলে। সেখান থেকে ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় চলে যান তিনি। পরে সেখানে ডাচ বংশোদ্ভূত এক ‘জিহাদিকে’ বিয়ে করেন তিনি। এই দম্পতির প্রথম দুটি সন্তানও অপুষ্টিতে মারা যায়।

সিরিয়া যুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে শামীমার স্বামী আত্মসমর্পণ করেন। আর শামীমাকে সিরিয়ায় একটি শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিবিসির এক সাংবাদিক তার দেখা পান। কিন্তু তখন তিনি ‘অনুতপ্ত’ ছিলেন না।

শামীমা সেখানেই আবারও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এই সন্তানের জন্যই ব্রিটেনে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় শামীমার সেই সন্তানটি মারা যায়। আর শামীমার আবেদন নাকচ করে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাজ্য।