ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




অতিরিক্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল: মতিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

বাঙালির প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুর জন্য পাকিস্তানের জেলে কবর খোঁড়া হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসি দাও। কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও।’ এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম। ডেভিড ফ্রস্ট উনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, হোয়াইট ইজ ইউর উইকনেস অর্থাৎ আপনার দুর্বলতা কি? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালিকে অনেক ভালোবাসি।’ অতিরিক্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আজকে সত্যি হয়েছে। আজকে পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। পাকিস্তানিরা বলেন, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু কবিরাজ আছে। তাদের কিছু বিদেশি ডিগ্রি আছে, যার জোরে তারা নিদান হাঁকেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে সব মিথ্যাচারকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি দেশকে অনেক আগেই উন্নত করে ফেলতেন। তার অসমাপ্ত কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি পরিকল্পনা করেন, আমরা আমরা তার পরিকল্পনার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছি। কেউ কি ভেবেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ রকমের ওষুধ পাওয়া যাবে? এসব পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।

সংসদ উপনেতা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর বাঙালিকে নিয়ে বলা ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি’ কথার উত্তরে বলেছিলেন, ‘কবিগুরু, তোমার কথা মিথ্যে হয়েছে, আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ মুক্তিযুদ্ধের পরে ঢাকায় কোনো রাস্তাঘাট, ব্রিজ ছিল না। তবুও ১০ জানুয়ারি ঢাকার বিমানবন্দর বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসা জনতায় পূর্ণ হয়ে যায়। আমরাও হেঁটে হেঁটে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে এসেছিলাম।

আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা ভুল ইতিহাস প্রচার করেছিল। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এর বয়স ৫১ বছর। এর মধ্যে ৩০ বছর আমরা অন্ধকারে ছিলাম। দেশে গণতন্ত্র ছিল না।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অতিরিক্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল: মতিয়া

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

বাঙালির প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুর জন্য পাকিস্তানের জেলে কবর খোঁড়া হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসি দাও। কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও।’ এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম। ডেভিড ফ্রস্ট উনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, হোয়াইট ইজ ইউর উইকনেস অর্থাৎ আপনার দুর্বলতা কি? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালিকে অনেক ভালোবাসি।’ অতিরিক্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আজকে সত্যি হয়েছে। আজকে পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। পাকিস্তানিরা বলেন, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু কবিরাজ আছে। তাদের কিছু বিদেশি ডিগ্রি আছে, যার জোরে তারা নিদান হাঁকেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে সব মিথ্যাচারকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি দেশকে অনেক আগেই উন্নত করে ফেলতেন। তার অসমাপ্ত কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি পরিকল্পনা করেন, আমরা আমরা তার পরিকল্পনার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছি। কেউ কি ভেবেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ রকমের ওষুধ পাওয়া যাবে? এসব পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।

সংসদ উপনেতা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর বাঙালিকে নিয়ে বলা ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি’ কথার উত্তরে বলেছিলেন, ‘কবিগুরু, তোমার কথা মিথ্যে হয়েছে, আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ মুক্তিযুদ্ধের পরে ঢাকায় কোনো রাস্তাঘাট, ব্রিজ ছিল না। তবুও ১০ জানুয়ারি ঢাকার বিমানবন্দর বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসা জনতায় পূর্ণ হয়ে যায়। আমরাও হেঁটে হেঁটে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে এসেছিলাম।

আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা ভুল ইতিহাস প্রচার করেছিল। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এর বয়স ৫১ বছর। এর মধ্যে ৩০ বছর আমরা অন্ধকারে ছিলাম। দেশে গণতন্ত্র ছিল না।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।