ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন Logo রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলার নিহত ৬০, দায় স্বীকার আইএসের




সেই রেইন্ট্রি হোটেলের মালিক নাকি এমপি হারুন নন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন হলফনামায় আলোচিত ‘দি রেইন্ট্রি হোটেলের’ মালিকানার কথা উল্লেখ করেননি। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর এই রেইনট্রি হোটেলেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ইমেকার্সের মালিক নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে।

ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হোটেলটির মালিক বজলুল হক হারুন, চেয়ারম্যান তার বড় ছেলে নাহিয়ান হারুন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজো ছেলে আদনান হারুন ও পরিচালক ছোট ছেলে মাহির হারুন।

তবে এ বিষয়ে বজলুল হক হারুন বলেন, ‘দি রেইনট্রি হোটেলের মালিক আমি নই। যা সত্য তাই হলফনামায় তুলে ধরেছি। হলফনামার বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই।’

এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া হলফনামার ৬ নম্বর ঘরে প্রার্থী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ ও দেনার বিবরণ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এ ঘরে তিনি স্ত্রীর বিষয়ে উল্লেখ করলেও ছেলেদের কোনো তথ্য দেননি।

২০০৮ সালে নবম এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বজলুল হক হারুন নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তিনি ২০১৪ সাল থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে তার হলফনামায় সম্পদের আর্থিক মূল্য দেখিয়েছিলেন ১০ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ২৮১ টাকা। এর মধ্যে ছিল নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, মোটরগাড়ি, বাড়িভাড়া, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। আর তার স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪১ হাজার ৬১০ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, স্বর্ণালংকার, মোটরগাড়ি, বন্ড ও এফডিআর রয়েছে।

আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি হলফনামায় সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, এফডিআর ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদের মূল্য দেখিয়েছেন। তবে তিনি এবার দেনার পরিমাণ দেখিয়েছেন ২৫ কোটি ৫৭ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ টাকা। আর তার স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৫৮ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, মোটরগাড়ি ও এফডিআর।

বজলুল হক হারুন তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ করলেও এবার হলফনামায় এ খাত থেকে কোনো আয় দেখাননি। জায়গাটি খালি রেখেছেন। তবে ২০০৮ সালের হলফনামায় ব্যবসা থেকে ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন। তিনি তার হলফনামায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক ও আল হোমায়রা ট্রাভেলসের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ। আর তার স্ত্রীর বেড়েছে পাঁচ গুণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সেই রেইন্ট্রি হোটেলের মালিক নাকি এমপি হারুন নন!

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন হলফনামায় আলোচিত ‘দি রেইন্ট্রি হোটেলের’ মালিকানার কথা উল্লেখ করেননি। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর এই রেইনট্রি হোটেলেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ইমেকার্সের মালিক নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে।

ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হোটেলটির মালিক বজলুল হক হারুন, চেয়ারম্যান তার বড় ছেলে নাহিয়ান হারুন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজো ছেলে আদনান হারুন ও পরিচালক ছোট ছেলে মাহির হারুন।

তবে এ বিষয়ে বজলুল হক হারুন বলেন, ‘দি রেইনট্রি হোটেলের মালিক আমি নই। যা সত্য তাই হলফনামায় তুলে ধরেছি। হলফনামার বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই।’

এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া হলফনামার ৬ নম্বর ঘরে প্রার্থী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ ও দেনার বিবরণ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এ ঘরে তিনি স্ত্রীর বিষয়ে উল্লেখ করলেও ছেলেদের কোনো তথ্য দেননি।

২০০৮ সালে নবম এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বজলুল হক হারুন নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তিনি ২০১৪ সাল থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে তার হলফনামায় সম্পদের আর্থিক মূল্য দেখিয়েছিলেন ১০ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ২৮১ টাকা। এর মধ্যে ছিল নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, মোটরগাড়ি, বাড়িভাড়া, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। আর তার স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪১ হাজার ৬১০ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, স্বর্ণালংকার, মোটরগাড়ি, বন্ড ও এফডিআর রয়েছে।

আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি হলফনামায় সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, এফডিআর ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদের মূল্য দেখিয়েছেন। তবে তিনি এবার দেনার পরিমাণ দেখিয়েছেন ২৫ কোটি ৫৭ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ টাকা। আর তার স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৫৮ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, মোটরগাড়ি ও এফডিআর।

বজলুল হক হারুন তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ করলেও এবার হলফনামায় এ খাত থেকে কোনো আয় দেখাননি। জায়গাটি খালি রেখেছেন। তবে ২০০৮ সালের হলফনামায় ব্যবসা থেকে ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন। তিনি তার হলফনামায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক ও আল হোমায়রা ট্রাভেলসের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ। আর তার স্ত্রীর বেড়েছে পাঁচ গুণ।