ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




সুপ্রভাতের ১৬৩ বাসের ১৪৫ টিই চলতো ‘কাগজপত্র ছাড়া’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধান প্রতিবেদক; যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার চৌধুরীকে চাপা দেওয়ার পর বন্ধ হওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি বাসের মধ্যে ১৪৫টিরই সড়কে চলার মতো সনদ ছিল না। এই বাসগুলোর ফিটনেস, চলাচলের বৈধতাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।

গত ২১ মার্চ সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের সব বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিআরটিএ।

সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি এবং জাবালে নূর পরিবহনের ২৯টি বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিটি।

বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রতিবেদন আমরা আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছি। “তিনি মনে হয় তা মেয়র মহোদয়ের কাছে দিয়েছেন।… এখন এটা নিয়ে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত হবে।”

বিআরটিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রভাত পরিবহনের ২৯টি বাস চলাচল করছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ নিয়ে। ১৪টি বাসের ট্যাক্স টোকেন ও দুটি বাসের চলাচলের বৈধতা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।

এছাড়া সুপ্রভাতের ১০৪টি বাসের লাইসেন্সের শ্রেণি সঠিক পাওয়া যায়নি; আর ৩২টির লাইসেন্স বিআরটিএতে দাখিল করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে এই পরিবহনের ১৮টি বাসের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। এছাড়া এসব বাসের চালকদের ২৭টির শ্রেণি সঠিক ছিল।

গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত জাবালে নূর পরিবহনের ২৯টি বাসের মধ্যে ৭টির কাগজপত্র বিআরটিএর কমিটির কাছে জমা দেয় মালিকপক্ষ। বাকি ২২টি বাসের কাগজপত্র বিআরটিএর সার্ভার থেকে যাচাই করে কমিটি।

তাতে দেখা যায়, একটি বাসের রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস মেয়াদোত্তীর্ণ; পাঁচটি বাসের রুট পারমিট ও ট্যাক্সটোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ; একটি বাসের ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ; চারটি বাসের রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ।

জাবালে নূর পরিবহনের ১০টি বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন এবং রুট পারমিট সনদ সঠিক পাওয়া যায়। এই পরিবহনের অন্য রুটের বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএর কমিটি।

পাশাপাশি দুই পরিবহনের মালিকদের কাছে ‘আরও কিছু কাগজপত্র’ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

গত ১৯ মার্চ রাজধানীর নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার নিহত হওয়ার পর সেই বাসের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়। সে সময় ওই বাসের চালক মো. সিরাজুল ইসলামের ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল করে বিআরটিএ।

পরের দিন সুপ্রভাত এবং জাবালে নূর পরিবহনের সব বাসের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিআরটিএ জানায়, আবরারকে চাপা দেওয়া ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪১৩৫ নম্বরের বাসটি ঢাকার মহাখালী থেকে টঙ্গী, কালিগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত চলাচল করার কথা।

কিন্তু সেই রুটে চলাচল না করে বাসটি সদরঘাট থেকে টঙ্গী রুটে চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সুপ্রভাতের ১৬৩ বাসের ১৪৫ টিই চলতো ‘কাগজপত্র ছাড়া’

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯

প্রধান প্রতিবেদক; যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার চৌধুরীকে চাপা দেওয়ার পর বন্ধ হওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি বাসের মধ্যে ১৪৫টিরই সড়কে চলার মতো সনদ ছিল না। এই বাসগুলোর ফিটনেস, চলাচলের বৈধতাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।

গত ২১ মার্চ সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের সব বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিআরটিএ।

সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি এবং জাবালে নূর পরিবহনের ২৯টি বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিটি।

বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রতিবেদন আমরা আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছি। “তিনি মনে হয় তা মেয়র মহোদয়ের কাছে দিয়েছেন।… এখন এটা নিয়ে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত হবে।”

বিআরটিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রভাত পরিবহনের ২৯টি বাস চলাচল করছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ নিয়ে। ১৪টি বাসের ট্যাক্স টোকেন ও দুটি বাসের চলাচলের বৈধতা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।

এছাড়া সুপ্রভাতের ১০৪টি বাসের লাইসেন্সের শ্রেণি সঠিক পাওয়া যায়নি; আর ৩২টির লাইসেন্স বিআরটিএতে দাখিল করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে এই পরিবহনের ১৮টি বাসের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। এছাড়া এসব বাসের চালকদের ২৭টির শ্রেণি সঠিক ছিল।

গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত জাবালে নূর পরিবহনের ২৯টি বাসের মধ্যে ৭টির কাগজপত্র বিআরটিএর কমিটির কাছে জমা দেয় মালিকপক্ষ। বাকি ২২টি বাসের কাগজপত্র বিআরটিএর সার্ভার থেকে যাচাই করে কমিটি।

তাতে দেখা যায়, একটি বাসের রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস মেয়াদোত্তীর্ণ; পাঁচটি বাসের রুট পারমিট ও ট্যাক্সটোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ; একটি বাসের ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ; চারটি বাসের রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ।

জাবালে নূর পরিবহনের ১০টি বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন এবং রুট পারমিট সনদ সঠিক পাওয়া যায়। এই পরিবহনের অন্য রুটের বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএর কমিটি।

পাশাপাশি দুই পরিবহনের মালিকদের কাছে ‘আরও কিছু কাগজপত্র’ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

গত ১৯ মার্চ রাজধানীর নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার নিহত হওয়ার পর সেই বাসের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়। সে সময় ওই বাসের চালক মো. সিরাজুল ইসলামের ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল করে বিআরটিএ।

পরের দিন সুপ্রভাত এবং জাবালে নূর পরিবহনের সব বাসের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিআরটিএ জানায়, আবরারকে চাপা দেওয়া ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪১৩৫ নম্বরের বাসটি ঢাকার মহাখালী থেকে টঙ্গী, কালিগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত চলাচল করার কথা।

কিন্তু সেই রুটে চলাচল না করে বাসটি সদরঘাট থেকে টঙ্গী রুটে চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।