ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সালিশ বানিজ্যের নামে ইউপি চেয়ারম্যানের হয়রানী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২ ৩৭১ বার পড়া হয়েছে

মুক্তকণ্ঠ কলাম: বর্তমান সমাজ ব্যবস্হায় যে কত রকম ব্যবসা চলছে, ব্যবসার আড়ালে চলছে ঠান্ডা মাথায় দূর্নীতি, তা আপনি তৃনমূল পর্যায়ে ঘোরা ফেরা না থাকলে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না।

 

বিয়ের দালালি ব্যবসা, তেল মারার ব্যবসা, সালিশ বানিজ্যের ব্যবসা, জমির দালালী ব্যবসা । এসব ব্যবসার নেপথ্যে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে থাকেন এলাকার ইউপি সদস্য, সমাজপতি, জনপ্রতিনিধির তাঁবেদারি দালাল চক্র ।

 

এঁরা চেয়ারম্যানকে ভূল বুঝিয়ে ভিন্ন ধারায় আয়ত্তে এনে – তারপর আনে তাঁর মহামূল্যবান স্বাক্ষর । চেয়ারম্যান সাহেবেরা এতটুকু উপলব্ধি করতে পারেন না যে – এই একটি স্বাক্ষরে পক্ষ বিপক্ষের অনেক কিছু উলট পালট হয়ে যেতে পারে, সে ধারণাই হয়তো উনার নেই । ইউনিয়ন কর্মী রাহিমা আক্তারের নোটিশ লিখনের ভাষা কোর্টের ভাষা থেকে জটিলতা পূর্ণ এবং চেয়ারম্যান তাতে স্বাক্ষর করলেই সকল দায় দায়িত্ব তাঁর উপর বর্তায়।

 

যে নোটিশের আইনগত গ্রহণ যোগ্যতা থাকে না। সেখানে সালিশী কার্যক্রম কতটুকু আইনানুসারে সংঘটিত হবে সেটা বিবেচনার দাবী রাখে।

 

শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের ” ইউনিয়ন কর্মীর ” দালিলিক ব্যর্থতার দায় কার ? যেখানে নোটিশের নীচে স্বয়ং চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর রয়েছে।

 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্হানীয় সরকার বিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তাঁদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী একটা ম্যানুয়েল বা তালিকা পরিষদের দেওয়ালে জনগনের জ্ঞাতার্থে সন্নিবেশিত করা আছে। যা আমরা কমবেশি সবাই জানি । তারপরও – সেই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে বিগত দিনে সালিশ কার্যক্রম লিগ্যাল এইডে’ র নামকরণে অবৈধ ভাবে অব্যাহত ছিলো ।

 

সালিশ বানিজ্যের অসংখ্য ভুক্তভোগী আছেন – যারা এসব অবৈধ ঘুষ বানিজ্যের নির্মমতার স্বীকার হয়েছেন । এই রকম অবৈধ কার্যকলাপ এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

 

বাস্তবতায়, চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদে লিগ্যাল এইড এর গ্রাম্য আদালতের কোনপ্রকার বৈধ কার্যক্রম ছিলো না। বিগত বছরে অনিয়ম করেই লিগ্যাল এইডের আড়ালে ঠকবাজি করেই সালিশ কার্যক্রম চলমান ছিলো।

 

জনৈক রাহিমা আক্তার ( বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানা ইউনিটের সভাপতি ) ইউনিয়ন পরিষদের আস্হাভাজন “একজন ইউনিয়ন কর্মী ” বলে নিজকে পরিচয় দেন। তার কোন বৈধ নিয়োগদান এই মূহুর্ত পর্যন্ত নেই । দলীয় সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিশেষ মাসোয়ারার বিনিময়ে – বিশ্বস্ত মাতব্বরের নির্দেশনায় তিনি আর্জি অর্থাৎ অভিযোগের বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ ও বাদী – বিবাদীকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন এবং তাদের বিশ্বস্ত একজন গ্রাম পুলিশকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে উক্ত নোটিশ বিতরণ করেন ।

 

২৬শে মার্চ, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে একটি নোটিশ জারি করা হয় –

 

” ইউনিয়ন কর্মী রাহিমা আক্তারের লিখিত ও চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিকদার স্বাক্ষরিত নোটিশ …..

বাদী – (১) মোঃ রব চোকদার

(২) ইসমাইল চোকদার

উভয়ের পিতা মৃত জব্বর ।

বিবাদী – (১)আবদুল হক দেওয়ান

(২) কাসেম শনি

 

” অভিযোগকৃত জমির সালিশী মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত, ( আর এস দাগ খতিয়ান নেই) খতিয়ান – ৯৩ ডিয়ারা রেকর্ড ২৫৩৭, ২৫৪১ দাগে কোন প্রকার জমি ক্রয়, বিক্রয় ও স্থানান্তর করা বন্ধ থাকিবে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও সালিশসহ

আগামী ২৭শে মার্চ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে উপস্হিত থাকিতে নির্দেশ প্রদান করা গেল “……

 

এই হচ্ছে রাহিমা আক্তারের লিখিত নোটিশ। গ্রাম পুলিশ ইউছুফ নোটিশ দেওয়ার সময় বিবাদীর কোন প্রাপ্তি স্বীকার করে স্বাক্ষর নেয়া হয়নি ( যদিও এটাই বিধান ) লেখার নমুনা – জমির পরিমাণ নেই, অভিযোগকারীর বিবাদের নাতি দীর্ঘ লিখিত জবানবন্দী নেই । বিবাদী দূর্বল বিধায় এ অবস্হা। লক্ষাধিক টাকার জমা জমি নিয়ে সালিশ বানিজ্যে নেপথ্যে থাকা নীতি নির্ধারকরা এভাবেই পরিচালনা করে নিজেরা কৌশলে আর্থিকভাবে লাভবান হন – যা চেয়ারম্যান সাহেব জানতেই পারেন না। বরং আইনের কাছে এবং ব্যর্থতার দায় তাকে বইতে হয়।

 

অলিখিত কয়েকজন উপযাচক মাতব্বর আছেন যারা চেয়ারম্যানকে কৌশলে সবসময়ে গোপনে বিশেষ ভাষায় প্রভাবিত করেন আর চেয়ারম্যান তাদের অবৈধ আবদারকে মনের অজান্তেই হ্যা সূচক শব্দ দিয়ে সমর্থন করেন । বলাবাহুল্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিকদার সাহেব নিজে ব্রেন হেমারেজ বা ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়েছিলেন, সে কারণে সূস্হ মানসিকতায় স্বাভাবিক বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা তাঁর মধ্যে অনুপস্থিত থাকে । অসূস্হতায় স্বাভাবিকভাবেই স্মরণ শক্তি ঘাটতি রয়েই যায়। তাঁর এই অসূস্হতার সুযোগে বেশ কিছু ভূল ভ্রান্তি – নীতি বহির্ভূত কাজ ও হয়ে যায়। সেহেতু সিনিয়র সিটেজেন হিসেবে অনেক কিছুতেই ছাড় পেয়ে যান । সালিশ বাণিজ্যের ব্যবসায়িরা সময় সময় সে-ই সুযোগ গ্রহন করে মাতব্বররা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হন। শারীরিক দূর্বলতার কারণে চেয়ারম্যান সাহেব সালিশ কার্যক্রমে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কোনপ্রকার জেরা অথবা ডিসিশন মেকিংর মত জটিল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবার এই চক্র ই চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে মিথ্যা গুজব ও কুত্সা ছড়িয়ে দিতে পারদর্শীতা দেখান। চেয়ারম্যান এর সাইনবোর্ডকে পুঁজি স্হানীয় ইউপি সদস্য নূরে আলম খান তাঁর ভিলেজ পলিটিক্সের সূত্র ব্যবহার করে এলাকায় একক নেতৃত্ব স্হাপনের প্রয়াস চালান । যার প্রতিফলনে পরোক্ষভাবে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের দায় ভার চেয়ারম্যানের উপর বর্তায়।

 

কেউ তাদের এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ করেন না – জানেন সবাই। কিন্তু ভয়ে অথবা লোক লজ্জার কারণে মুখ খুলতেন আগ্রহী হন না। সামাজিক মান – সন্মানহানির কারণে অনেক সুধীজন রসিকতা করে পাত্তা দেন না।

 

বাস্তবতায় অন্যায়তো অন্যায় ই ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সালিশ বানিজ্যের নামে ইউপি চেয়ারম্যানের হয়রানী

আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

মুক্তকণ্ঠ কলাম: বর্তমান সমাজ ব্যবস্হায় যে কত রকম ব্যবসা চলছে, ব্যবসার আড়ালে চলছে ঠান্ডা মাথায় দূর্নীতি, তা আপনি তৃনমূল পর্যায়ে ঘোরা ফেরা না থাকলে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না।

 

বিয়ের দালালি ব্যবসা, তেল মারার ব্যবসা, সালিশ বানিজ্যের ব্যবসা, জমির দালালী ব্যবসা । এসব ব্যবসার নেপথ্যে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে থাকেন এলাকার ইউপি সদস্য, সমাজপতি, জনপ্রতিনিধির তাঁবেদারি দালাল চক্র ।

 

এঁরা চেয়ারম্যানকে ভূল বুঝিয়ে ভিন্ন ধারায় আয়ত্তে এনে – তারপর আনে তাঁর মহামূল্যবান স্বাক্ষর । চেয়ারম্যান সাহেবেরা এতটুকু উপলব্ধি করতে পারেন না যে – এই একটি স্বাক্ষরে পক্ষ বিপক্ষের অনেক কিছু উলট পালট হয়ে যেতে পারে, সে ধারণাই হয়তো উনার নেই । ইউনিয়ন কর্মী রাহিমা আক্তারের নোটিশ লিখনের ভাষা কোর্টের ভাষা থেকে জটিলতা পূর্ণ এবং চেয়ারম্যান তাতে স্বাক্ষর করলেই সকল দায় দায়িত্ব তাঁর উপর বর্তায়।

 

যে নোটিশের আইনগত গ্রহণ যোগ্যতা থাকে না। সেখানে সালিশী কার্যক্রম কতটুকু আইনানুসারে সংঘটিত হবে সেটা বিবেচনার দাবী রাখে।

 

শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের ” ইউনিয়ন কর্মীর ” দালিলিক ব্যর্থতার দায় কার ? যেখানে নোটিশের নীচে স্বয়ং চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর রয়েছে।

 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্হানীয় সরকার বিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তাঁদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী একটা ম্যানুয়েল বা তালিকা পরিষদের দেওয়ালে জনগনের জ্ঞাতার্থে সন্নিবেশিত করা আছে। যা আমরা কমবেশি সবাই জানি । তারপরও – সেই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে বিগত দিনে সালিশ কার্যক্রম লিগ্যাল এইডে’ র নামকরণে অবৈধ ভাবে অব্যাহত ছিলো ।

 

সালিশ বানিজ্যের অসংখ্য ভুক্তভোগী আছেন – যারা এসব অবৈধ ঘুষ বানিজ্যের নির্মমতার স্বীকার হয়েছেন । এই রকম অবৈধ কার্যকলাপ এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

 

বাস্তবতায়, চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদে লিগ্যাল এইড এর গ্রাম্য আদালতের কোনপ্রকার বৈধ কার্যক্রম ছিলো না। বিগত বছরে অনিয়ম করেই লিগ্যাল এইডের আড়ালে ঠকবাজি করেই সালিশ কার্যক্রম চলমান ছিলো।

 

জনৈক রাহিমা আক্তার ( বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানা ইউনিটের সভাপতি ) ইউনিয়ন পরিষদের আস্হাভাজন “একজন ইউনিয়ন কর্মী ” বলে নিজকে পরিচয় দেন। তার কোন বৈধ নিয়োগদান এই মূহুর্ত পর্যন্ত নেই । দলীয় সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিশেষ মাসোয়ারার বিনিময়ে – বিশ্বস্ত মাতব্বরের নির্দেশনায় তিনি আর্জি অর্থাৎ অভিযোগের বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ ও বাদী – বিবাদীকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন এবং তাদের বিশ্বস্ত একজন গ্রাম পুলিশকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে উক্ত নোটিশ বিতরণ করেন ।

 

২৬শে মার্চ, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে একটি নোটিশ জারি করা হয় –

 

” ইউনিয়ন কর্মী রাহিমা আক্তারের লিখিত ও চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিকদার স্বাক্ষরিত নোটিশ …..

বাদী – (১) মোঃ রব চোকদার

(২) ইসমাইল চোকদার

উভয়ের পিতা মৃত জব্বর ।

বিবাদী – (১)আবদুল হক দেওয়ান

(২) কাসেম শনি

 

” অভিযোগকৃত জমির সালিশী মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত, ( আর এস দাগ খতিয়ান নেই) খতিয়ান – ৯৩ ডিয়ারা রেকর্ড ২৫৩৭, ২৫৪১ দাগে কোন প্রকার জমি ক্রয়, বিক্রয় ও স্থানান্তর করা বন্ধ থাকিবে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও সালিশসহ

আগামী ২৭শে মার্চ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে উপস্হিত থাকিতে নির্দেশ প্রদান করা গেল “……

 

এই হচ্ছে রাহিমা আক্তারের লিখিত নোটিশ। গ্রাম পুলিশ ইউছুফ নোটিশ দেওয়ার সময় বিবাদীর কোন প্রাপ্তি স্বীকার করে স্বাক্ষর নেয়া হয়নি ( যদিও এটাই বিধান ) লেখার নমুনা – জমির পরিমাণ নেই, অভিযোগকারীর বিবাদের নাতি দীর্ঘ লিখিত জবানবন্দী নেই । বিবাদী দূর্বল বিধায় এ অবস্হা। লক্ষাধিক টাকার জমা জমি নিয়ে সালিশ বানিজ্যে নেপথ্যে থাকা নীতি নির্ধারকরা এভাবেই পরিচালনা করে নিজেরা কৌশলে আর্থিকভাবে লাভবান হন – যা চেয়ারম্যান সাহেব জানতেই পারেন না। বরং আইনের কাছে এবং ব্যর্থতার দায় তাকে বইতে হয়।

 

অলিখিত কয়েকজন উপযাচক মাতব্বর আছেন যারা চেয়ারম্যানকে কৌশলে সবসময়ে গোপনে বিশেষ ভাষায় প্রভাবিত করেন আর চেয়ারম্যান তাদের অবৈধ আবদারকে মনের অজান্তেই হ্যা সূচক শব্দ দিয়ে সমর্থন করেন । বলাবাহুল্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিকদার সাহেব নিজে ব্রেন হেমারেজ বা ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়েছিলেন, সে কারণে সূস্হ মানসিকতায় স্বাভাবিক বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা তাঁর মধ্যে অনুপস্থিত থাকে । অসূস্হতায় স্বাভাবিকভাবেই স্মরণ শক্তি ঘাটতি রয়েই যায়। তাঁর এই অসূস্হতার সুযোগে বেশ কিছু ভূল ভ্রান্তি – নীতি বহির্ভূত কাজ ও হয়ে যায়। সেহেতু সিনিয়র সিটেজেন হিসেবে অনেক কিছুতেই ছাড় পেয়ে যান । সালিশ বাণিজ্যের ব্যবসায়িরা সময় সময় সে-ই সুযোগ গ্রহন করে মাতব্বররা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হন। শারীরিক দূর্বলতার কারণে চেয়ারম্যান সাহেব সালিশ কার্যক্রমে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কোনপ্রকার জেরা অথবা ডিসিশন মেকিংর মত জটিল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবার এই চক্র ই চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে মিথ্যা গুজব ও কুত্সা ছড়িয়ে দিতে পারদর্শীতা দেখান। চেয়ারম্যান এর সাইনবোর্ডকে পুঁজি স্হানীয় ইউপি সদস্য নূরে আলম খান তাঁর ভিলেজ পলিটিক্সের সূত্র ব্যবহার করে এলাকায় একক নেতৃত্ব স্হাপনের প্রয়াস চালান । যার প্রতিফলনে পরোক্ষভাবে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের দায় ভার চেয়ারম্যানের উপর বর্তায়।

 

কেউ তাদের এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ করেন না – জানেন সবাই। কিন্তু ভয়ে অথবা লোক লজ্জার কারণে মুখ খুলতেন আগ্রহী হন না। সামাজিক মান – সন্মানহানির কারণে অনেক সুধীজন রসিকতা করে পাত্তা দেন না।

 

বাস্তবতায় অন্যায়তো অন্যায় ই ।