ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




শিল্পে উদ্ভাবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আগর-আতর; পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

“বিশেষ উদ্ভাবন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের আগর রেজিন এর উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে যেখানে মাত্র ১০ভাগ আগর পাওয়া যায়, সেখানে গবেষণার মাধ্যমে ৯০ ভাগ পর্যন্ত আগর উৎপাদন করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত এ আগর এর গুণগত মান হবে আন্তর্জাতিক মানের। ফলে আগর শিল্পের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বন অধিদপ্তর, এন.জি.ও, ব্যক্তি মালিকানাধীন আগর বাগান মালিক ও আগর শিল্পকারখানা মালিকগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার আগর চাষি, মালিক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

 

বৃহস্পতিবার(২৯ দিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচিতিমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মোঃ মিজানুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ। এছাড়াও বিএফআরআই এর পরিচালক, আগর আতর শিল্পের সাথে জড়িত আগর সমিতি, মালিক, ব্যবসায়ী, চাষীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় ৬ জন গবেষক নিয়োগ দেয়াসহ ছাত্র, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের আগর গবেষণাগার তৈরির জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আগরজাত পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আগর ও আগর তেলের মান নির্ণয় এবং গ্রেডিং পদ্ধতির বিকাশের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারে আগর পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে স্থাপিত আগর কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। অধিক উৎপাদনশীল এলাকায় পাঁচটি আগর সঞ্চয়ন পরীক্ষণক্ষেত্র স্থাপন করা হবে।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আগর শিল্পকে উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আগর বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কে দায়িত্ব দিয়েছেন। ‘এক জেলা এক পণ্য’ হিসেবে আগরকে মৌলভীবাজার জেলার পণ্য হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি আগরকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এই অঞ্চলের আগর সমিতি, মালিক, চাষিদের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট দীর্ঘদিন ধরে আগর বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিল্পে উদ্ভাবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আগর-আতর; পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

“বিশেষ উদ্ভাবন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের আগর রেজিন এর উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে যেখানে মাত্র ১০ভাগ আগর পাওয়া যায়, সেখানে গবেষণার মাধ্যমে ৯০ ভাগ পর্যন্ত আগর উৎপাদন করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত এ আগর এর গুণগত মান হবে আন্তর্জাতিক মানের। ফলে আগর শিল্পের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বন অধিদপ্তর, এন.জি.ও, ব্যক্তি মালিকানাধীন আগর বাগান মালিক ও আগর শিল্পকারখানা মালিকগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার আগর চাষি, মালিক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

 

বৃহস্পতিবার(২৯ দিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচিতিমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মোঃ মিজানুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ। এছাড়াও বিএফআরআই এর পরিচালক, আগর আতর শিল্পের সাথে জড়িত আগর সমিতি, মালিক, ব্যবসায়ী, চাষীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় ৬ জন গবেষক নিয়োগ দেয়াসহ ছাত্র, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের আগর গবেষণাগার তৈরির জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আগরজাত পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আগর ও আগর তেলের মান নির্ণয় এবং গ্রেডিং পদ্ধতির বিকাশের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারে আগর পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে স্থাপিত আগর কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। অধিক উৎপাদনশীল এলাকায় পাঁচটি আগর সঞ্চয়ন পরীক্ষণক্ষেত্র স্থাপন করা হবে।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আগর শিল্পকে উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আগর বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কে দায়িত্ব দিয়েছেন। ‘এক জেলা এক পণ্য’ হিসেবে আগরকে মৌলভীবাজার জেলার পণ্য হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি আগরকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এই অঞ্চলের আগর সমিতি, মালিক, চাষিদের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট দীর্ঘদিন ধরে আগর বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।