ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




রাজধানীতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে ও গরিব হকার নির্যাতনঃ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবোধক (১ম পর্ব)

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

ইসমাইল আশরাফ / তানজীন মাহমুদ: ঢাকা শহরজুড়েই রয়েছে ফুটপাত বানিজ্য। রাজধানীর এমন জায়গা নেই যেখানে চলে না ফুটপাত বানিজ্য। আর অসাধু এক শ্রেণীর মানুষের চাঁদাবাজি ও অবৈধ প্রভাবে নিষ্পেষিত হওয়া অসহায় মানুষের করুণ আহাজারি।

এভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কুচক্রী মহলের দাপটে গিনিপিগের মতো জীবনযাপন করছে অসংখ্য পরিবার। তাদের কথা শোনার যেন কেউ নেই। এরকম একটি ঘটনার খবর পাওয়া যায় রাজধানীর আজমপুর ওভারব্রীজের পাশের ফাঁকা জায়গার মাছ বিক্রেতার কাছে থেকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাছ বিক্রেতা জানান- গত ১২-০১-২০১৯ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় হাউজ বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে কোয়ার্টারের সামনে মাছ বিক্রি করতেছিলাম।

সে সময় আতিক নামের একজন চাঁদাবাজ আমার কাছে ৩৫০টাকা দাবি করে। আমি কিসের টাকা জিজ্ঞাসা করলে বলে “পুলিশের টাকা”। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে “ আমার মাছের দোকান রাস্তার উপরে ফেলে দেয় এবং আমাকে বেধড়ক মারধর করে”। বিভিন্ন হুমকি দিতেদিতে চলে যায়।

আতিক উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পক্ষে চাঁদা আদায় করে বলে জানান, সেখানকার হকার তথা দোকানদাররা। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা হলো কসাইবাড়ী থেকে আজমপুর পর্যন্ত। রাজলক্ষী, রবীন্দ্র সরণী, হাউজ বিল্ডিং, ৭নং ব্রীজ খালপাড়, ১১নং চৌরাস্তা ময়লার মোড় হচ্ছে উত্তরা পশ্চিম থানার আওতাধীন।

এসব এলাকায় চাঁদা ওঠানোর দায়িত্বে নিয়োজিত আছে বেশ কয়েকজন। তারা উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পরিচয় দিয়ে চাঁদা তোলার কথা বলে কিন্তু থানার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পুরোপুরি পাওয়া যায়নি।

তাহলে এরা কারা আতিক, মাহবুব, মনির, গনি, শামসুল ও মিলন? যারা দীর্ঘদিন থানার পাশের হকারদের কাছে প্রতি দোকান হতে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে। আর প্রশাসনের ভূমিকা নীরব কেন? তবে কি এই চাঁদার টাকা প্রশাসন তুলে নেয় নাকি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির পকেটে চালান হয়ে যায়। এসব প্রশ্ন শুধু নিরীহ হকারদের কাঁদায় না বরং বিজ্ঞ মহলকেও ভাবিয়ে তোলে!!

এ বিষয়ে আতিকের ফোন নাম্বারে(0162*****47) যোগাযোগ করলে সে দেখা করতে বলে এবং এটা নিয়ে বসবে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পরেই রতন নামের এক কথিত সাংবাদিক ফোনে জানায় (0167*****94) আতিক আমারই ভাই, ব্রাদার। নিউজ করার দরকার নাই। আমার সাথে দেখা করো।
(চলবে)

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাজধানীতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে ও গরিব হকার নির্যাতনঃ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবোধক (১ম পর্ব)

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

ইসমাইল আশরাফ / তানজীন মাহমুদ: ঢাকা শহরজুড়েই রয়েছে ফুটপাত বানিজ্য। রাজধানীর এমন জায়গা নেই যেখানে চলে না ফুটপাত বানিজ্য। আর অসাধু এক শ্রেণীর মানুষের চাঁদাবাজি ও অবৈধ প্রভাবে নিষ্পেষিত হওয়া অসহায় মানুষের করুণ আহাজারি।

এভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কুচক্রী মহলের দাপটে গিনিপিগের মতো জীবনযাপন করছে অসংখ্য পরিবার। তাদের কথা শোনার যেন কেউ নেই। এরকম একটি ঘটনার খবর পাওয়া যায় রাজধানীর আজমপুর ওভারব্রীজের পাশের ফাঁকা জায়গার মাছ বিক্রেতার কাছে থেকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাছ বিক্রেতা জানান- গত ১২-০১-২০১৯ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় হাউজ বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে কোয়ার্টারের সামনে মাছ বিক্রি করতেছিলাম।

সে সময় আতিক নামের একজন চাঁদাবাজ আমার কাছে ৩৫০টাকা দাবি করে। আমি কিসের টাকা জিজ্ঞাসা করলে বলে “পুলিশের টাকা”। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে “ আমার মাছের দোকান রাস্তার উপরে ফেলে দেয় এবং আমাকে বেধড়ক মারধর করে”। বিভিন্ন হুমকি দিতেদিতে চলে যায়।

আতিক উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পক্ষে চাঁদা আদায় করে বলে জানান, সেখানকার হকার তথা দোকানদাররা। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা হলো কসাইবাড়ী থেকে আজমপুর পর্যন্ত। রাজলক্ষী, রবীন্দ্র সরণী, হাউজ বিল্ডিং, ৭নং ব্রীজ খালপাড়, ১১নং চৌরাস্তা ময়লার মোড় হচ্ছে উত্তরা পশ্চিম থানার আওতাধীন।

এসব এলাকায় চাঁদা ওঠানোর দায়িত্বে নিয়োজিত আছে বেশ কয়েকজন। তারা উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পরিচয় দিয়ে চাঁদা তোলার কথা বলে কিন্তু থানার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পুরোপুরি পাওয়া যায়নি।

তাহলে এরা কারা আতিক, মাহবুব, মনির, গনি, শামসুল ও মিলন? যারা দীর্ঘদিন থানার পাশের হকারদের কাছে প্রতি দোকান হতে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে। আর প্রশাসনের ভূমিকা নীরব কেন? তবে কি এই চাঁদার টাকা প্রশাসন তুলে নেয় নাকি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির পকেটে চালান হয়ে যায়। এসব প্রশ্ন শুধু নিরীহ হকারদের কাঁদায় না বরং বিজ্ঞ মহলকেও ভাবিয়ে তোলে!!

এ বিষয়ে আতিকের ফোন নাম্বারে(0162*****47) যোগাযোগ করলে সে দেখা করতে বলে এবং এটা নিয়ে বসবে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পরেই রতন নামের এক কথিত সাংবাদিক ফোনে জানায় (0167*****94) আতিক আমারই ভাই, ব্রাদার। নিউজ করার দরকার নাই। আমার সাথে দেখা করো।
(চলবে)