ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের যত দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

>>সার্ভিস রুল ভংগ করে প্রায় ১৮ বছর ঢাকায়

>>কৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের অসংখ্য দুর্নীতি

>>অর্থ পাচারের অভিযোগ

এইচ আর শফিক:
কেউ কেউ বলে এটা তার নিজস্ব প্রাইভেট কোম্পানি আবার কেউ বলে তার মামার বাড়ির আবদার। তিন বছর পরপর জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলীর বিধান থাকলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতি বছর শতাধিক প্রকৌশলীদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলী করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে (স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল) ঢাকার বাইরে কোন জেলায় বদলী করা হয় না। এ যেন বাপ দাদার জমিদারি। কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর নেপথ্যে? সে রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

জানা গেছে, তিনি ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার আমলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারি প্রকৌশলী পদে চাকুরী লাভ করেন। এরপর তিনি বিএনপির এক মন্ত্রীর সুপারিশে ঢাকাতেই পোষ্টিং পেয়েছেন। অতঃপর দলীয় লবিং মেইনটেন করে ভালো ভালো জায়গায় পোষ্টিং বাগিয়ে নেন। এক পর্যায়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে লোভনীয় বিভাগ ও জোনে পদায়ন নিয়ে বিগত ৬ বছর ধরে দু’হাতে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। বনে গেছেন গণপূর্তের সুপারম্যান। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বড়কর্তা হাতে থাকায় তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকেন। উপ-সহকারি প্রকৌশলী, সহকারি প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের বদলী ও পদায়নে তিনি সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন। শুরু করেন সীমাহীন বদলী বাণিজ্য। এছাড়া বড় বড় ঠিকাদারদের নিয়ে গড়ে তোলেন শক্তিশালী একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তিনি কমিশন নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন ও মেরামত কাজ বন্টনে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। এ পথে তিনি অল্প দিনেই শত কোটি টাকার মালিক বনে যান।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর পুর্বে সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের ইচ্ছায় ঢাকা নগর গণপূতের্র নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। ঢাকা জোনের সবগুলো বিভাগের মধ্যে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ হলো সব থেকে লোভনীয় স্থান। এই পদে পদায়ণ পেতে কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতেও নির্বাহী প্রকৌশলীরা দি¦ধা করেন না। লোভনীয় এই ঢাকা সিটি ডিভিশনে যোগদান করেই তিনি বরাদ্দের চেয়ে কয়েকগুন অতিরিক্ত অর্থের টেন্ডার আহবান করে সরকারি টাকা লুটপাটের আয়োজন করেন। যেমন চলতি বছরে তার ডিভিশনে বরাদ্দ আছে ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু তিনি ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে ঠিকাদার নির্বাচন, কাজ বন্টন ও চুক্তিবদ্ধ করে ২০ থেকে ৩০% পর্যন্ত কমিশন গ্রহন করেছেন। এছাড়া মেরামত কাজের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কাজ না করেই কেবলমাত্র খাতা কলমে সব ঠিক রেখে ঠিকাদারদের সাথে ৫০/৫০ ভাগাভাগি চুক্তিতে বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ টাকাই নিজ পকেটে পুরেছেন। গত অর্থ বছর ও চলতি অর্থ বছরের মেরামত কাজের টেন্ডার ফাইলগুলো নীরিক্ষা করলেই এসব অপকর্মের প্রমাণ মিলবে মর্মে দাবী করেছেন বেশ কয়েকজন ঠিকাদার।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের বেশ কিছু প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার দায়িত্বে থাকাকালে ঢাকা নগর গণপূতের্র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল প্রায় সময়ই সচিবালয়ে অবস্থান করতেন। তাকে বেশিরভাগ সময়েই নিজ অফিসে পাওয়া যেতো না। সচিবের একান্ত লোক হিসাবে তার সুপরিচিতি ছিলো। তিনি তদবীর নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকতেন। তিনি গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীকেও পাত্তা দিতেন না। নিজের ইচ্ছা খুশি মত অফিসে আসতেন আবার বেরিয়ে যেতেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে প্রধান প্রকৌশলী তাকে বহুবার মৌখিক সতর্ক করেছেন কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত করেনি।
সুত্রগুলো আরো জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল তার বন্ধু ও সতীর্থ মহলে নিজেকে বিদেশী একটি রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক বলে পরিচয় দেন। এই সংস্থার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে তিনি মুহুর্তের মধ্যেই শায়েস্তা করতে পারেন বলে দম্ভোক্তি করেন। তার এমন ভীতকর কথায় সকলেই আতংকে থাকেন।

গণপূর্ত বিভাগ থেকে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তিনি সে সব টাকা কি করেছেন? কোথায় রেখেছেন? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, তিনি তার অর্জিত সব টাকাই হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। বিশেষ করে ভারতে তার বাড়ী, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অগাধ সম্পদ রয়েছে। দুদকের মাধ্যমে অনুসন্ধান করলেই তার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

কিভাবে তিনি চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই আজঅব্দি ঢাকাতেই অবস্থান (চাকুরী) করছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি সার্ভিস রুলস অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বা প্রকৌশলী বছরের পর বছর একই জেলায় বা একই বিভাগে কর্মরত থাকতে পারেন না। বিধিগত ভাবেই তাকে দেশের বিভিন্ন জেলা বা বিভাগীয় কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সার্ভিস রুলস ভংগ করে কোন কর্মকর্তা যদি দীর্ঘ সময় একই জেলা বা বিভাগে কর্মরত থাকেন তবে তিনি বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এমন কি তার চাকুরীও চলে যেতে পারে।

এসব নানা অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের যত দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ!

আপডেট সময় : ১১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

>>সার্ভিস রুল ভংগ করে প্রায় ১৮ বছর ঢাকায়

>>কৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের অসংখ্য দুর্নীতি

>>অর্থ পাচারের অভিযোগ

এইচ আর শফিক:
কেউ কেউ বলে এটা তার নিজস্ব প্রাইভেট কোম্পানি আবার কেউ বলে তার মামার বাড়ির আবদার। তিন বছর পরপর জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলীর বিধান থাকলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতি বছর শতাধিক প্রকৌশলীদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলী করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে (স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল) ঢাকার বাইরে কোন জেলায় বদলী করা হয় না। এ যেন বাপ দাদার জমিদারি। কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর নেপথ্যে? সে রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

জানা গেছে, তিনি ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার আমলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারি প্রকৌশলী পদে চাকুরী লাভ করেন। এরপর তিনি বিএনপির এক মন্ত্রীর সুপারিশে ঢাকাতেই পোষ্টিং পেয়েছেন। অতঃপর দলীয় লবিং মেইনটেন করে ভালো ভালো জায়গায় পোষ্টিং বাগিয়ে নেন। এক পর্যায়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে লোভনীয় বিভাগ ও জোনে পদায়ন নিয়ে বিগত ৬ বছর ধরে দু’হাতে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। বনে গেছেন গণপূর্তের সুপারম্যান। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বড়কর্তা হাতে থাকায় তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকেন। উপ-সহকারি প্রকৌশলী, সহকারি প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের বদলী ও পদায়নে তিনি সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন। শুরু করেন সীমাহীন বদলী বাণিজ্য। এছাড়া বড় বড় ঠিকাদারদের নিয়ে গড়ে তোলেন শক্তিশালী একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তিনি কমিশন নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন ও মেরামত কাজ বন্টনে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। এ পথে তিনি অল্প দিনেই শত কোটি টাকার মালিক বনে যান।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর পুর্বে সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের ইচ্ছায় ঢাকা নগর গণপূতের্র নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। ঢাকা জোনের সবগুলো বিভাগের মধ্যে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ হলো সব থেকে লোভনীয় স্থান। এই পদে পদায়ণ পেতে কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতেও নির্বাহী প্রকৌশলীরা দি¦ধা করেন না। লোভনীয় এই ঢাকা সিটি ডিভিশনে যোগদান করেই তিনি বরাদ্দের চেয়ে কয়েকগুন অতিরিক্ত অর্থের টেন্ডার আহবান করে সরকারি টাকা লুটপাটের আয়োজন করেন। যেমন চলতি বছরে তার ডিভিশনে বরাদ্দ আছে ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু তিনি ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে ঠিকাদার নির্বাচন, কাজ বন্টন ও চুক্তিবদ্ধ করে ২০ থেকে ৩০% পর্যন্ত কমিশন গ্রহন করেছেন। এছাড়া মেরামত কাজের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কাজ না করেই কেবলমাত্র খাতা কলমে সব ঠিক রেখে ঠিকাদারদের সাথে ৫০/৫০ ভাগাভাগি চুক্তিতে বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ টাকাই নিজ পকেটে পুরেছেন। গত অর্থ বছর ও চলতি অর্থ বছরের মেরামত কাজের টেন্ডার ফাইলগুলো নীরিক্ষা করলেই এসব অপকর্মের প্রমাণ মিলবে মর্মে দাবী করেছেন বেশ কয়েকজন ঠিকাদার।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের বেশ কিছু প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার দায়িত্বে থাকাকালে ঢাকা নগর গণপূতের্র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল প্রায় সময়ই সচিবালয়ে অবস্থান করতেন। তাকে বেশিরভাগ সময়েই নিজ অফিসে পাওয়া যেতো না। সচিবের একান্ত লোক হিসাবে তার সুপরিচিতি ছিলো। তিনি তদবীর নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকতেন। তিনি গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীকেও পাত্তা দিতেন না। নিজের ইচ্ছা খুশি মত অফিসে আসতেন আবার বেরিয়ে যেতেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে প্রধান প্রকৌশলী তাকে বহুবার মৌখিক সতর্ক করেছেন কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত করেনি।
সুত্রগুলো আরো জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল তার বন্ধু ও সতীর্থ মহলে নিজেকে বিদেশী একটি রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক বলে পরিচয় দেন। এই সংস্থার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে তিনি মুহুর্তের মধ্যেই শায়েস্তা করতে পারেন বলে দম্ভোক্তি করেন। তার এমন ভীতকর কথায় সকলেই আতংকে থাকেন।

গণপূর্ত বিভাগ থেকে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তিনি সে সব টাকা কি করেছেন? কোথায় রেখেছেন? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, তিনি তার অর্জিত সব টাকাই হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। বিশেষ করে ভারতে তার বাড়ী, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অগাধ সম্পদ রয়েছে। দুদকের মাধ্যমে অনুসন্ধান করলেই তার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

কিভাবে তিনি চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই আজঅব্দি ঢাকাতেই অবস্থান (চাকুরী) করছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি সার্ভিস রুলস অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বা প্রকৌশলী বছরের পর বছর একই জেলায় বা একই বিভাগে কর্মরত থাকতে পারেন না। বিধিগত ভাবেই তাকে দেশের বিভিন্ন জেলা বা বিভাগীয় কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সার্ভিস রুলস ভংগ করে কোন কর্মকর্তা যদি দীর্ঘ সময় একই জেলা বা বিভাগে কর্মরত থাকেন তবে তিনি বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এমন কি তার চাকুরীও চলে যেতে পারে।

এসব নানা অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।