ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাঁচাতে রাজউক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা কবজ! Logo অদম্য বাংলাদেশের মূল শক্তি তরুণরাঃ ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo আমরণ অনশনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী Logo রমজানে জাল নোট প্রতিরোধে ভিডিও প্রচারের নির্দেশ Logo শিক্ষকতা কোনো পেশা বা চাকুরী নয়; ব্রত- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo পীরগঞ্জে যে গ্রামে চেরাগের আলোতে চলে লেখাপড়া Logo পরিবার পরিকল্পনার মান্নানের হাতে জিম্মি অধিদপ্তরের হাজারো কর্মচারী পর্ব-২ Logo কুবিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নাট্য উৎসব-২০২৩’ Logo পিরোজপুরের ভূমিদস্য শাহাদাত কর্তৃক যুগান্তরের সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে হত্যার হুমকি Logo বঙ্গবন্ধুর জম্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে শাবির বঙ্গবন্ধু হল




পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯ ৩২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুরো ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা ছাত্র ধর্মঘট চলাকালে রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান ও বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের ছোড়া ইট-পাটকেলে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ডিবি পুলিশের গাড়ি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ধর্মঘটের শুরুতেই শাটল ট্রেন আটকে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের কয়েকটি বগির হোস পাইপ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা প্রধান ফটক আটকে দিয়ে অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা চার ছাত্রলীগ কর্মীকে মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জিরো পয়েন্টে আসেন। তারা দফায় দফায় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করতে অনুরোধ করেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত না হয়ে কর্মীরা তাদের অবস্থানে অটল থাকে। এ সময় তারা উপাচার্যকে তাদের এখানে আসতে স্লোগান দিতে থাকেন।

ctg

বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে জিরো পয়েন্টের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশের জলকামান৷ এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ একপর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দোলা রেজা হ্যান্ডমাইকে ছাত্রলীগ কর্মীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেন, মামলা ও মুক্তির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করবে। তাতেও রাজি হয়নি ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশের জলকামানের গাড়ি ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা ফটক লাগিয়ে পুলিশকে ধাক্কা দেয়। এতে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় পুলিশ জিরো পয়েন্টে এবং ছাত্রলীগ কর্মীরা কাটা পাহাড়ের রাস্তায় ও শাহ জালাল হলের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে৷

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দোলা রেজা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আটকের বিষয়ে পরে জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্র

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুরো ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা ছাত্র ধর্মঘট চলাকালে রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান ও বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের ছোড়া ইট-পাটকেলে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ডিবি পুলিশের গাড়ি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ধর্মঘটের শুরুতেই শাটল ট্রেন আটকে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের কয়েকটি বগির হোস পাইপ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা প্রধান ফটক আটকে দিয়ে অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা চার ছাত্রলীগ কর্মীকে মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জিরো পয়েন্টে আসেন। তারা দফায় দফায় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করতে অনুরোধ করেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত না হয়ে কর্মীরা তাদের অবস্থানে অটল থাকে। এ সময় তারা উপাচার্যকে তাদের এখানে আসতে স্লোগান দিতে থাকেন।

ctg

বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে জিরো পয়েন্টের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশের জলকামান৷ এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ একপর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দোলা রেজা হ্যান্ডমাইকে ছাত্রলীগ কর্মীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেন, মামলা ও মুক্তির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করবে। তাতেও রাজি হয়নি ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশের জলকামানের গাড়ি ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা ফটক লাগিয়ে পুলিশকে ধাক্কা দেয়। এতে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় পুলিশ জিরো পয়েন্টে এবং ছাত্রলীগ কর্মীরা কাটা পাহাড়ের রাস্তায় ও শাহ জালাল হলের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে৷

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দোলা রেজা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আটকের বিষয়ে পরে জানানো হবে।