ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি, কলকাতা; শুভদিন দেখে বিজেপি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডা ঘোষিত তালিকায় রয়েছে দেশের ১৮২ জন বিজেপি প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২৮ জন প্রার্থীর নাম। কিন্তু নাম ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো আসনে দলীয় নেতাদের না দিয়ে নতুন নেতাদের প্রার্থী করায় ক্ষোভ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে লোকসভার ৪২টি আসন।

কোচবিহার আসনে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা নিশীথ প্রামাণিককে বিজেপি প্রার্থী করায় দলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের প্রশ্ন, বিজেপির প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতাকে প্রার্থী করা হলো কেন? বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা হাতে ব্যানার নিয়ে ক্ষোভে অংশ নেন। ব্যানারে লেখা ছিল ‘দিনহাটার স্মাগলারকে একটি ভোটও নয়’।

বীরভূমের আসনে রাজ্য কমিটির নেতা দুধকুমার মণ্ডলকে প্রার্থী করার প্রস্তাব না দিলেও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি তাঁকে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা বিধায়ক খগেন মুর্মুকে উত্তর মালদা আসনে প্রার্থী করায় দলের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

হুগলি বা শ্রীরামপুর আসনে দলের রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠককে প্রার্থী না করায় গতকাল রাতেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। দার্জিলিং আসনে বর্তমান বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া নির্বাচন করবেন না বলে ওই আসনে এখনো বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রার্থীরা: মেদিনীপুর আসনে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, উত্তর কলকাতা আসনে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, দক্ষিণ কলকাতা আসনে নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসু, আসানসোলে বর্তমান সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, যাদবপুরে তৃণমূল থেকে আসা বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা, ব্যারাকপুরে তৃণমূল থেকে আসা বিধায়ক অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুরে তৃণমূল থেকে আসা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ঘাটাল আসনে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতী ঘোষ, মালদহ উত্তরে সিপিএম থেকে আসা বিধায়ক খগেন মুর্মু, হুগলিতে অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, দমদমে শমীক ভট্টাচার্য, বারাসায় মৃণালকান্তি দেবনাথ, বসিরহাটে সায়ন্তন বসু, বীরভূমে দুধকুমার মণ্ডল, কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক, রায়গঞ্জে দেবশ্রী চৌধুরী, মালদহ দক্ষিণে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কৃষ্ণনগরে কল্যাণ চৌবে উল্লেখযোগ্য।

আরও রয়েছেন শ্রীরামপুরে দেবজিৎ সরকার, আরামবাগে তপন রায়, তমলুকে সিদ্ধার্থ নস্কর, ঝাড়গ্রামে কুনর হেমব্রম, বর্ধমান পূর্বে পরেশ চন্দ্র দাস, জয়নগরে অশোক কান্ডারি, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার, আলিপুরদুয়ারে জন বাবলা, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়, মথুরাপুরে শ্যামাপ্রসাদ হালদার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯

প্রতিনিধি, কলকাতা; শুভদিন দেখে বিজেপি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডা ঘোষিত তালিকায় রয়েছে দেশের ১৮২ জন বিজেপি প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২৮ জন প্রার্থীর নাম। কিন্তু নাম ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো আসনে দলীয় নেতাদের না দিয়ে নতুন নেতাদের প্রার্থী করায় ক্ষোভ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে লোকসভার ৪২টি আসন।

কোচবিহার আসনে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা নিশীথ প্রামাণিককে বিজেপি প্রার্থী করায় দলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের প্রশ্ন, বিজেপির প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতাকে প্রার্থী করা হলো কেন? বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা হাতে ব্যানার নিয়ে ক্ষোভে অংশ নেন। ব্যানারে লেখা ছিল ‘দিনহাটার স্মাগলারকে একটি ভোটও নয়’।

বীরভূমের আসনে রাজ্য কমিটির নেতা দুধকুমার মণ্ডলকে প্রার্থী করার প্রস্তাব না দিলেও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি তাঁকে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা বিধায়ক খগেন মুর্মুকে উত্তর মালদা আসনে প্রার্থী করায় দলের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

হুগলি বা শ্রীরামপুর আসনে দলের রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠককে প্রার্থী না করায় গতকাল রাতেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। দার্জিলিং আসনে বর্তমান বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া নির্বাচন করবেন না বলে ওই আসনে এখনো বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রার্থীরা: মেদিনীপুর আসনে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, উত্তর কলকাতা আসনে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, দক্ষিণ কলকাতা আসনে নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসু, আসানসোলে বর্তমান সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, যাদবপুরে তৃণমূল থেকে আসা বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা, ব্যারাকপুরে তৃণমূল থেকে আসা বিধায়ক অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুরে তৃণমূল থেকে আসা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ঘাটাল আসনে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতী ঘোষ, মালদহ উত্তরে সিপিএম থেকে আসা বিধায়ক খগেন মুর্মু, হুগলিতে অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, দমদমে শমীক ভট্টাচার্য, বারাসায় মৃণালকান্তি দেবনাথ, বসিরহাটে সায়ন্তন বসু, বীরভূমে দুধকুমার মণ্ডল, কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক, রায়গঞ্জে দেবশ্রী চৌধুরী, মালদহ দক্ষিণে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কৃষ্ণনগরে কল্যাণ চৌবে উল্লেখযোগ্য।

আরও রয়েছেন শ্রীরামপুরে দেবজিৎ সরকার, আরামবাগে তপন রায়, তমলুকে সিদ্ধার্থ নস্কর, ঝাড়গ্রামে কুনর হেমব্রম, বর্ধমান পূর্বে পরেশ চন্দ্র দাস, জয়নগরে অশোক কান্ডারি, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার, আলিপুরদুয়ারে জন বাবলা, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়, মথুরাপুরে শ্যামাপ্রসাদ হালদার প্রমুখ।