ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার নির্বাচন নয় ছয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্র মহল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সহ একটি মহল, মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দিয়ে চাপে রেখেছেন সংস্থাটির গঠিত নির্বাচন কমিশনকে। এছাড়াও স্ব-স্ব কর্মস্থল থেকে বদলি করে বান্দরবনে পাঠিয়ে দিবেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এমতো অবস্থায় এই কুচক্র মহলের চাপে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে সংখ্যা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিক ও মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদার।

উল্লেখ্য, মিনহাজ উদ্দিন এবং হারুন অর রশিদ জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের কারণে, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। ওই আদেশের পর থেকেই তাদের সদস্য পদ চলে যায়। কিন্তু সমাজসেবা অধিদপ্তরে পুনরায় সদস্য পদ পাওয়ার প্রসঙ্গে গোপন সুএে জানা মৃত ব্যক্তির নাম সহ অধিকাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধির সাক্ষর জাল জালিয়াতি করে দরখাস্ত করেন মিনহাজ উদ্দিন সহ ১৬৮ জন। ওই দরখাস্তের ধারাবাহিকতায় গত ১২ জানুয়ারি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ সাব্বির ইমাম এর স্বাক্ষরিত এক স্মারকে যাহার নাম্বার ৪১.০১০০০০.০৪৬.২৮.২৭৮.১৯.৫০ যাহাতে উল্লেখ আছে প্রাপ্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পত্রের মর্মালোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এমত অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের স্বাক্ষরিত স্মারকের সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে সংখ্যায় আছেন,জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদার।তিনি সাংবাদিকদের জানান গত১০/০১/২২থেকে ৩০/০৬/২২ পর্যন্ত সদস্য নবায়ন ও ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল,তখন তো তারা কোন আপত্তি জানাননি। এই কুচক্র মহল নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, এর আগেও ২০১৭ সালে নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন, যাহার নাম্বার ৪০০৬/১৭ এছাড়াও অনুরূপ নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে ২০২০ সনে মহামান্য হাইকোর্টে আরও তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যাহার নাম্বার ২৭১২/২২১৮/২৫৬৭/২০ এই মামলাগুলো মহামান্য হাইকোর্টে যাচাই-বাছাইয়ের পরে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পক্ষে খারিজ করে দেন। অনুরূপ এই কুচক্র মহল ২০১৭ এবং ২০২০ এর মতো ২০২৩ সনের নির্বাচনকে ঘিরে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে অপচেষ্টার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইয়ুব খান বলেন। আমি নির্বাচনী গঠনতন্ত্রের ১২.১(ক) আইন অনুযায়ী যেই ধারা আছে, আমি সে অনুপাতে নেয়-নীতিভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

সদস্য পদ মৃত ব্যক্তির নাম সহ জালিয়াতি করে আবেদনের বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো সাব্বির ইমাম বলেন, জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সংস্থার ইসি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সদস্য পদ দিবেন, জাল জালিয়াতি নিয়ে তিনি বলেন বিধি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার নির্বাচন নয় ছয়

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্র মহল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সহ একটি মহল, মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দিয়ে চাপে রেখেছেন সংস্থাটির গঠিত নির্বাচন কমিশনকে। এছাড়াও স্ব-স্ব কর্মস্থল থেকে বদলি করে বান্দরবনে পাঠিয়ে দিবেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এমতো অবস্থায় এই কুচক্র মহলের চাপে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে সংখ্যা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিক ও মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদার।

উল্লেখ্য, মিনহাজ উদ্দিন এবং হারুন অর রশিদ জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের কারণে, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। ওই আদেশের পর থেকেই তাদের সদস্য পদ চলে যায়। কিন্তু সমাজসেবা অধিদপ্তরে পুনরায় সদস্য পদ পাওয়ার প্রসঙ্গে গোপন সুএে জানা মৃত ব্যক্তির নাম সহ অধিকাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধির সাক্ষর জাল জালিয়াতি করে দরখাস্ত করেন মিনহাজ উদ্দিন সহ ১৬৮ জন। ওই দরখাস্তের ধারাবাহিকতায় গত ১২ জানুয়ারি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ সাব্বির ইমাম এর স্বাক্ষরিত এক স্মারকে যাহার নাম্বার ৪১.০১০০০০.০৪৬.২৮.২৭৮.১৯.৫০ যাহাতে উল্লেখ আছে প্রাপ্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পত্রের মর্মালোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এমত অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের স্বাক্ষরিত স্মারকের সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে সংখ্যায় আছেন,জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদার।তিনি সাংবাদিকদের জানান গত১০/০১/২২থেকে ৩০/০৬/২২ পর্যন্ত সদস্য নবায়ন ও ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল,তখন তো তারা কোন আপত্তি জানাননি। এই কুচক্র মহল নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, এর আগেও ২০১৭ সালে নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন, যাহার নাম্বার ৪০০৬/১৭ এছাড়াও অনুরূপ নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে ২০২০ সনে মহামান্য হাইকোর্টে আরও তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যাহার নাম্বার ২৭১২/২২১৮/২৫৬৭/২০ এই মামলাগুলো মহামান্য হাইকোর্টে যাচাই-বাছাইয়ের পরে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পক্ষে খারিজ করে দেন। অনুরূপ এই কুচক্র মহল ২০১৭ এবং ২০২০ এর মতো ২০২৩ সনের নির্বাচনকে ঘিরে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে অপচেষ্টার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইয়ুব খান বলেন। আমি নির্বাচনী গঠনতন্ত্রের ১২.১(ক) আইন অনুযায়ী যেই ধারা আছে, আমি সে অনুপাতে নেয়-নীতিভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

সদস্য পদ মৃত ব্যক্তির নাম সহ জালিয়াতি করে আবেদনের বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো সাব্বির ইমাম বলেন, জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সংস্থার ইসি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সদস্য পদ দিবেন, জাল জালিয়াতি নিয়ে তিনি বলেন বিধি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।