ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




চার গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ;সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষের শহর ও হাটবাজারে যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা বাঁশের সাঁকোটি। এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালের উপর দিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন নির্বাচনে বারবার আশ্বাস দিলেও ব্রিজ নির্মাণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের যাতায়াতের সকল রাস্তা পুনঃনির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু চরছোনগাছা, পোটল ছোনগাছা, টুকরা ছোনগাছা ও ছোনগাছা গ্রামের মাঝখানে খালের উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় সাধারণ মানুষ উপায়ন্তর না দেখে বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছে।

খালের পশ্চিম ও দক্ষিণে একাধিক সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডের চারটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে যমুনা নদীর সংযোগ কাটাখালিতে বছরের প্রায় ছয়মাস পানি থাকে। চার গ্রামের সাধারণ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথটি কাটাখালির উপর দিয়ে।

এসব গ্রামে এই নির্জন এলাকা দিয়ে রিকশা, ভ্যানতো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমনকি রোগীকে হাসপাতাল বা স্থানীয় ক্লিনিকে নিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চর ছোনগাছা গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম ও আলহাজ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই কৃষিপণ্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কৃষি পণ্য পরিবহনে নানা প্রকার ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কাটাখালির উপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার তাগাদা দিয়েছি কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্রিজ নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

তারা আরো জানান, গত সপ্তাহে চর ছোনগাছা গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে ছেলেটাকে হয়ত বাঁচানো যেত। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।

এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম রেজা জানান, এই এলাকায় ৬ হাজার লোকের বসবাস। ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প দিয়েছি। যে সময় পরিষদে সরকারি বরাদ্দ আসে সে সময় কাটাখালিতে পানি থাকায় মাটির অভাবে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয় না। তবে ব্রিজটি নির্মাণ হলে মানষের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে।

ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল আলম জানান, একই খালের দক্ষিণে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ত্রাণের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। চর ছোনগাছা গ্রামে আরো একটি ব্রিজের প্রয়োজন। এ অর্থবছরে কাজ করা সম্ভব না হলেও আগামী অর্থবছরে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চার গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮

জেলা প্রতিনিধি ;সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষের শহর ও হাটবাজারে যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা বাঁশের সাঁকোটি। এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালের উপর দিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন নির্বাচনে বারবার আশ্বাস দিলেও ব্রিজ নির্মাণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের যাতায়াতের সকল রাস্তা পুনঃনির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু চরছোনগাছা, পোটল ছোনগাছা, টুকরা ছোনগাছা ও ছোনগাছা গ্রামের মাঝখানে খালের উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় সাধারণ মানুষ উপায়ন্তর না দেখে বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছে।

খালের পশ্চিম ও দক্ষিণে একাধিক সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডের চারটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে যমুনা নদীর সংযোগ কাটাখালিতে বছরের প্রায় ছয়মাস পানি থাকে। চার গ্রামের সাধারণ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথটি কাটাখালির উপর দিয়ে।

এসব গ্রামে এই নির্জন এলাকা দিয়ে রিকশা, ভ্যানতো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমনকি রোগীকে হাসপাতাল বা স্থানীয় ক্লিনিকে নিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চর ছোনগাছা গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম ও আলহাজ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই কৃষিপণ্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কৃষি পণ্য পরিবহনে নানা প্রকার ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কাটাখালির উপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার তাগাদা দিয়েছি কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্রিজ নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

তারা আরো জানান, গত সপ্তাহে চর ছোনগাছা গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে ছেলেটাকে হয়ত বাঁচানো যেত। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।

এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম রেজা জানান, এই এলাকায় ৬ হাজার লোকের বসবাস। ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প দিয়েছি। যে সময় পরিষদে সরকারি বরাদ্দ আসে সে সময় কাটাখালিতে পানি থাকায় মাটির অভাবে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয় না। তবে ব্রিজটি নির্মাণ হলে মানষের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে।

ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল আলম জানান, একই খালের দক্ষিণে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ত্রাণের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। চর ছোনগাছা গ্রামে আরো একটি ব্রিজের প্রয়োজন। এ অর্থবছরে কাজ করা সম্ভব না হলেও আগামী অর্থবছরে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করা হবে।