ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




চট্টগ্রামে ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯ ১০০ বার পড়া হয়েছে

এম.এ. আলম শুভঃ ২১ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এর মোড়ে এক শিক্ষার্থী লাঞ্চিত হয় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে৷ ঘটনার পরিপেক্ষিতে জানা যায়, দুই শিক্ষার্থী নতুন ব্রীজ থেকে নিউমার্কেট হয়ে একটা কাজে যাচ্ছিলো৷ নিউ মার্কেট মোড়ে ট্রাফিফ সিগন্যাল দিলে তারা গাড়ি থামায়৷ গাড়ির সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও বাইকের পিছনে বসা শিক্ষার্থীর হেলমেট ছিলোনা।
ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান ও এমদাদ দুজনই তখন ডিউটিতে ছিলেন। সার্জেন্ট ইমরান দ্বারা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মিথুন বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হয়। হেলমেট না থাকায় জরিমানা করা হলে মিথুন জানতে চাই কি কারনে তাকে জরিমানা করা হলো এটা জিজ্ঞেস করাতে সার্জেন্ট বলে তা জানার দরকার নেই। তোমরা শিক্ষিতরা বেশি বুঝো৷ শিক্ষার্থী মিথুন এটা জিজ্ঞেস করাতে সার্জেন্ট ডিজিটাল জরিমানা কাগজে হাতে লিখে তারিখ বদলিয়ে দেয়৷ এতে শিক্ষার্থী জানতে চাইলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় সেই সার্জেন্ট ইমরান৷অন্য একজন ট্রাফিক বলেন শিক্ষিতরা দেশের বাল।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করে বলে আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে সিভিলে থাকা দুজন পুলিশ হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিলো আপনারা তাদের জরিমানা করেননি কেন? তখন তার উত্তরে একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন আইন পুলিশের জন্য আলাদা। তাদের আইন মানতে হয়না।

দুই শিক্ষার্থী জরিমানা পরিশোধ করে এলে গাড়ির কাগজ পত্র গুলো ফেরত চাই তারা, কিন্ত সেই সার্জেন্ট গাড়ির কাগজ না দিয়ে বলে এগুলো এক মাস পরে এসে নিয়ে যেও। আরো বলেন যদি আমি জরিমানাটা হাতে লিখিতাম তবে ২৫০ টাকায় জায়গায় ২৫০০ টাকা করে দিতাম। তোমাদের ভাগ্য অনেক ভালো আমি হাতে লিখিনি। তখনই আবারো শিক্ষার্থী আর সার্জেন্টের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, শিক্ষার্থী বলেন জরিমানা যা দিয়েছেন আমরা পরিশোধ করেছি কিন্ত সে হিসেবে আমাদের কাগজ গুলো ফেরত দেওয়া আপনার উচিত এই কথা বলাতে সার্জেন্ট ইমরান শিক্ষার্থী মিথুনকে গালিগালাজ করে বলে, তুমি একটা ফালতু চোদা গোর, এই ছাড়াও আরো তুই তুকারি করে অনেক লাঞ্চিত করে সার্জেন্ট ইমরান। সার্জেন্ট ইমরান কাগজ গুলো ফেরত দিতে চাচ্ছিল না। আরো থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় তাদের।

এক পর্যায়ে নিউজ টীম সেখানে গেলে ইমরানকে আর পাওয়া যায়নি, সাংবাদিক দেখে তিনি সরে যান৷ ট্রাফিক কোট থেকে সব ট্রাফিক অন্যথায় চলে যায়৷ সাংবাদিকরা ইমরানকে খুজলে অনেক পুলিশ তাকে চিনেনা বলে জানান৷ আবার অনেকে বলেন সেই নতুন এসেছে মাত্র কয়েকদিন হয়। তার ফোন নাম্বার চাওয়া হলে নিউমার্কেটে কর্তব্যরত পুলিশরা নাম্বার নেই বলে জানান৷

এই পর্যায়ে সেই শিক্ষার্থীকে পুরো ঘটনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, যদি বাংলাদেশের আইন সবার জন্য সমান হয় তাহলে পুলিশদের জন্যও নয় কেন?? আর যদি পুলিশের আলাদা কোনো আইন থাকে তাহলে সেটা তারা লিখিত ভাবে আমাদের জানিয়ে দিক আমরা তাদের আর প্রশ্ন করবো না। আর আমার অপরাধের জন্য তিনি আমাকে জরিমানা করতে পারেন কিন্ত আমাকে খারাপ ভাষায় গালি দেওয়ার অধিকার তার নেই। আমি চাই পুরো ঘটনা তদন্ত করে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক যাতে অন্যকোনো শিক্ষার্থীকে সেই গালিগালাজ খারাপ ভাষায় কথা বলতে না পারে৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চট্টগ্রামে ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

আপডেট সময় : ১০:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯

এম.এ. আলম শুভঃ ২১ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এর মোড়ে এক শিক্ষার্থী লাঞ্চিত হয় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে৷ ঘটনার পরিপেক্ষিতে জানা যায়, দুই শিক্ষার্থী নতুন ব্রীজ থেকে নিউমার্কেট হয়ে একটা কাজে যাচ্ছিলো৷ নিউ মার্কেট মোড়ে ট্রাফিফ সিগন্যাল দিলে তারা গাড়ি থামায়৷ গাড়ির সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও বাইকের পিছনে বসা শিক্ষার্থীর হেলমেট ছিলোনা।
ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান ও এমদাদ দুজনই তখন ডিউটিতে ছিলেন। সার্জেন্ট ইমরান দ্বারা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মিথুন বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হয়। হেলমেট না থাকায় জরিমানা করা হলে মিথুন জানতে চাই কি কারনে তাকে জরিমানা করা হলো এটা জিজ্ঞেস করাতে সার্জেন্ট বলে তা জানার দরকার নেই। তোমরা শিক্ষিতরা বেশি বুঝো৷ শিক্ষার্থী মিথুন এটা জিজ্ঞেস করাতে সার্জেন্ট ডিজিটাল জরিমানা কাগজে হাতে লিখে তারিখ বদলিয়ে দেয়৷ এতে শিক্ষার্থী জানতে চাইলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় সেই সার্জেন্ট ইমরান৷অন্য একজন ট্রাফিক বলেন শিক্ষিতরা দেশের বাল।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করে বলে আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে সিভিলে থাকা দুজন পুলিশ হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিলো আপনারা তাদের জরিমানা করেননি কেন? তখন তার উত্তরে একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন আইন পুলিশের জন্য আলাদা। তাদের আইন মানতে হয়না।

দুই শিক্ষার্থী জরিমানা পরিশোধ করে এলে গাড়ির কাগজ পত্র গুলো ফেরত চাই তারা, কিন্ত সেই সার্জেন্ট গাড়ির কাগজ না দিয়ে বলে এগুলো এক মাস পরে এসে নিয়ে যেও। আরো বলেন যদি আমি জরিমানাটা হাতে লিখিতাম তবে ২৫০ টাকায় জায়গায় ২৫০০ টাকা করে দিতাম। তোমাদের ভাগ্য অনেক ভালো আমি হাতে লিখিনি। তখনই আবারো শিক্ষার্থী আর সার্জেন্টের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, শিক্ষার্থী বলেন জরিমানা যা দিয়েছেন আমরা পরিশোধ করেছি কিন্ত সে হিসেবে আমাদের কাগজ গুলো ফেরত দেওয়া আপনার উচিত এই কথা বলাতে সার্জেন্ট ইমরান শিক্ষার্থী মিথুনকে গালিগালাজ করে বলে, তুমি একটা ফালতু চোদা গোর, এই ছাড়াও আরো তুই তুকারি করে অনেক লাঞ্চিত করে সার্জেন্ট ইমরান। সার্জেন্ট ইমরান কাগজ গুলো ফেরত দিতে চাচ্ছিল না। আরো থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় তাদের।

এক পর্যায়ে নিউজ টীম সেখানে গেলে ইমরানকে আর পাওয়া যায়নি, সাংবাদিক দেখে তিনি সরে যান৷ ট্রাফিক কোট থেকে সব ট্রাফিক অন্যথায় চলে যায়৷ সাংবাদিকরা ইমরানকে খুজলে অনেক পুলিশ তাকে চিনেনা বলে জানান৷ আবার অনেকে বলেন সেই নতুন এসেছে মাত্র কয়েকদিন হয়। তার ফোন নাম্বার চাওয়া হলে নিউমার্কেটে কর্তব্যরত পুলিশরা নাম্বার নেই বলে জানান৷

এই পর্যায়ে সেই শিক্ষার্থীকে পুরো ঘটনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, যদি বাংলাদেশের আইন সবার জন্য সমান হয় তাহলে পুলিশদের জন্যও নয় কেন?? আর যদি পুলিশের আলাদা কোনো আইন থাকে তাহলে সেটা তারা লিখিত ভাবে আমাদের জানিয়ে দিক আমরা তাদের আর প্রশ্ন করবো না। আর আমার অপরাধের জন্য তিনি আমাকে জরিমানা করতে পারেন কিন্ত আমাকে খারাপ ভাষায় গালি দেওয়ার অধিকার তার নেই। আমি চাই পুরো ঘটনা তদন্ত করে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক যাতে অন্যকোনো শিক্ষার্থীকে সেই গালিগালাজ খারাপ ভাষায় কথা বলতে না পারে৷